পাইপলাইন পুনরায় চালু ও প্রথম কার্গো
দুই বছর ছয় মাসের স্থগিতাবস্থার পর কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে তুরস্কের জেইহান টার্মিনাল হয়ে ইরাক আবারও ক্রুড রপ্তানি শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিমাণে তেল পাঠানো হচ্ছে, যাতে কিরকুক–জেইহান পাইপলাইনের চাপ, মিটারিং ও লোডিং উইন্ডো পরীক্ষা করা যায়। বাগদাদ ও এরবিল রাজস্ব বণ্টন ও অডিটের নতুন কাঠামোয় একমত হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ কাটে। অপারেটররা রক্ষণাবেক্ষণ, ক্ষয়-পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পুরোনো অফটেকারদের দিকে প্রথম শিপমেন্ট যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, আর জেইহানের স্টোরেজ ব্যবস্থায় ব্লেন্ডিং নমনীয় থাকবে। এই পুনরারম্ভে পূর্বে বিকল্প গ্রেডে ঝুঁকে যাওয়া কিছু রিফাইনার আবার ভূমধ্যসাগরীয় সরবরাহে ফিরে আসতে পারে।
দাম, বাজার ও আঞ্চলিক প্রভাব
ধারাবাহিক রপ্তানি হলে চতুর্থ প্রান্তিকের দামে চাপ কমতে পারে, বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরীয় বাজারে। তবে তুরস্ক অংশের রক্ষণাবেক্ষণ, পাইপলাইনের নিরাপত্তা ও নতুন রাজস্ব কাঠামো মানা—এসব অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। ইরাকের জন্য স্থিতিশীল রপ্তানি বাজেট পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে আস্থা জোগাবে; তুরস্কের জন্য এটি ট্রানজিট ফি ও জেইহানকে হাব হিসেবে শক্তিশালী করবে। ইউরোপীয় রিফাইনাররা যদি ছাড় পায়, তাহলে স্লেট সামঞ্জস্য করবে। প্রাক-স্থগিত স্তরের কাছাকাছি ভলিউম ফিরলে উরালস ও সিপিসি গ্রেডের মূল্য সম্পর্কেও প্রভাব পড়তে পারে। প্রথম কয়েক সপ্তাহ মসৃণ কাস্টমস প্রক্রিয়া, স্বচ্ছ মিটারিং ও নিয়মিত লোডিং—বিশ্বাস ফেরাতে এগুলোই নির্ধারক হবে।