নিহতের সংখ্যা ও স্বাস্থ্যসেবা সংকট
গাজায় নতুন হামলা ও গুলিতে অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান। হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ও জরুরি সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতায় অপারেশন ও নবজাতক পরিচর্যা ব্যাহত। মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, পূর্বঘোষিত করিডর ও জেনারেটরের জ্বালানি ছাড়া ত্রাণ কার্যক্রম বাড়ানো যাচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের লক্ষ্য মিলিট্যান্ট অবকাঠামো; দক্ষিণাঞ্চলে গুলিতে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কিছু দাবি তারা অস্বীকার করে। অবরুদ্ধ পরিবেশে বহু পরিবার নিরাপত্তার খোঁজে ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয়ে ছুটছে, স্যানিটেশন ভেঙে পড়ায় রোগসঙ্কটের আশঙ্কা বাড়ছে।
সমঝোতার চেষ্টা ও প্রধান বাধা
মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি ও ধাপে ধাপে বন্দি-বন্দিমুক্তিকে এক প্যাকেজে ফের তুলতে চায়, যেখানে যাচাই-পদ্ধতি ও সময়সূচিই বড় সংকট। সীমান্তপথে ধারাবাহিক ত্রাণযান ও হাসপাতালসংলগ্ন ‘ডিকনফ্লিকশন’ ব্যবস্থা চাওয়া হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ময়দানের পরিস্থিতি ও দেশীয় রাজনীতি যেকোনো সময় অগ্রগতি আটকে দিতে পারে। শীত ঘনালে আশ্রয়, চিকিৎসা ও খাদ্যসুরক্ষায় বাড়তি প্রস্তুতি জরুরি। শক্তিশালী প্রয়োগব্যবস্থা ও প্রবেশাধিকার নিশ্চয়তা না থাকলে ছোট বিরতির পর নতুন করে সহিংসতা মাথাচাড়া দেবে—এমন সতর্কতা দিয়েছেন মানবিক সংস্থাগুলো।