কী বদলাল
বেইজিং রেয়ার আর্থ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে কঠোর করেছে। অল্পমাত্রা রেয়ার আর্থ থাকলেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির আগে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। সামরিক ও সেমিকন্ডাক্টর–সম্পর্কিত ব্যবহারে লাইসেন্স দেওয়ায় কড়া筛ন প্রযোজ্য থাকবে।
জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা। খনি, গলন–বিচ্ছেদ, চুম্বক–উৎপাদন ও রিসাইক্লিং–সম্পর্কিত প্রযুক্তি বিদেশে পাঠাতেও সরকার–অনুমতি বাধ্যতামূলক। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কাজেও আগাম অনুমতি ছাড়া এগোনো যাবে না।
কেন তা গুরুত্বপূর্ণ
রেয়ার আর্থ স্মার্টফোন, ইভি, উইন্ড টারবাইন থেকে জেট ইঞ্জিন ও ডিফেন্স সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়। চীন বৈশ্বিক প্রক্রিয়াকরণে প্রভাবশালী হওয়ায় নতুন নিয়ম বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিরক্ষা–উৎপাদক দেশগুলো বিকল্প সরবরাহ জোগাড়ে চাপের মুখে পড়বে।
ভূ–রাজনীতি ও বাজারসঙ্কেত
এই পদক্ষেপটি বেইজিং–ওয়াশিংটনের বাণিজ্য টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এসেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনার আগে চীন কৌশলগতভাবে শক্তি প্রদর্শন করছে; পাল্টা হিসেবে মার্কিন ও মিত্র দেশগুলো নিজস্ব ভ্যালু–চেইন গঠনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।