কী রয়েছে এই ধাপে
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়ার কথা। স্থলবাহিনী গাজায় একটি সম্মত লাইনে সরে যাচ্ছে—এটি তিন ধাপের প্রত্যাহারের প্রথম অংশ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই সরে যাওয়া সম্পন্ন হলে হামাসের কাছে অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি শুরু হবে এবং ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছাড়বে।
জিম্মি–বন্দি বিনিময়ের কাঠামো
চুক্তি অনুযায়ী হামাস জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেবে, পরে নিহতদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া হবে। পাল্টা হিসেবে ইসরায়েল আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকশ বন্দিসহ বহু আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে—তালিকা চূড়ান্ত করতে উভয় পক্ষ কাজ করছে। উচ্চপ্রসঙ্গ কয়েকজনকে অন্তত এই ধাপে রাখা হচ্ছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।
মানবিক সহায়তা ও পর্যবেক্ষণ
সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত ত্রাণ ট্রাক ঢোকানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে—খাদ্য, চিকিৎসা ও জরুরি সরঞ্জামকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে মিশর, কাতার, তুরkiye ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্য নিয়ে বহুজাতিক একটি ছোট বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে; তাদের কাজ হবে লঙ্ঘন নজরদারি ও সমন্বয়।
পরবর্তী ধাপের জটিলতা
পরবর্তী ধাপে গাজা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শাসনব্যবস্থার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তাবনায় গাজাকে সামরিকভাবে নিরস্ত্রীকরণের কথা আছে, অন্তর্বর্তী সময়ে প্রযুক্তিবিদ–নির্ভর প্রশাসনের ধারণাও রয়েছে। হামাসের ভবিষ্যৎ ভূমিকা, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততা এবং চূড়ান্ত প্রত্যাহারের সময়সীমা—এসব প্রশ্নে পক্ষগুলোর অবস্থান এখনও দূরত্বে।