বাম্পার ফলন, কিন্তু বাজারে সংকেত মিশ্র
জাপানের কৃষিমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালে চালের ফলন প্রায় ৭.৪৮ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে—গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি এবং ২০১৬–এর পর সর্বোচ্চ। সেপ্টেম্বরে শেষভাগে কাঁটা শীষের পরিমাপ ও কাটা ধানের হিসাব ধরে এই অনুমান করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, বড় দানার দিকে কৃষকদের নজর এবং কৌশলগত কৃষিচর্চা ফলন টেনেছে। তবে বিপুল উৎপাদন মানে সরবরাহ উদ্বৃত্তও বাড়তে পারে, যা ২০২২–এর পর প্রথম বড় উদ্বৃত্ত। এদিকে খুচরা দামে সাম্প্রতিক উল্লম্ফন ও কো-অপরেটিভদের অগ্রিম মূল্যবৃদ্ধি—সব মিলিয়ে ক্রেতারা কতটা স্বস্তি পাবে, তা নির্ভর করবে মজুত ও লজিস্টিক খরচের ওপর।
নীতিনির্ধারণ ও বাজারব্যবস্থাপনার প্রশ্ন
বড় ফলন পরীক্ষা নেবে গুদামক্ষমতা, অর্থায়ন ও পরিবহন শৃঙ্খলের। কো-অপগুলো ধাপে ধাপে বাজারে চাল ছাড়তে পারে, যাতে দাম স্থিতিশীল থাকে এবং কৃষকের আয়ও ধাক্কা না খায়। রপ্তানির সুযোগ সীমিত; ফলে গৃহস্থালি, রেস্তোরাঁ ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত খাতেই অতিরিক্ত চালের বড় অংশ খপ্পরে যাবে। নীতিনির্ধারকদের জন্য চ্যালেঞ্জ—উৎপাদক সহায়তা ও ক্রেতার সামর্থ্যের ভারসাম্য। মজুত অতিরিক্ত হলে স্কুল মিল বা লক্ষ্যভিত্তিক সরকারি ক্রয় দিয়ে স্টক কমানো যেতে পারে। একই সঙ্গে জলবায়ু সহনশীলতা ও ফসলবৈচিত্র্যের আলোচনাও মাথা চাড়া দেবে। ক্রেতাদের জন্য মূল্যস্ফীতির চাপ খানিকটা কমতে পারে, তবে তা হবে ধীরে ধীরে।