‘প্রকৃতি হ্যাক’ বিতর্কে নতুন গতি
উষ্ণায়নের ক্ষতি বাড়ছে, নির্গমন কমার গতি ঢিল; এমন প্রেক্ষাপটে মেরিন ক্লাউড ব্রাইটেনিং বা স্ট্র্যাটোস্ফেয়ারে অ্যারোসল ছড়ানোর মতো ধারণা আবার আলোচনায়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়। সমর্থকদের মতে, কঠোর শাসন ও স্বচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে সূর্যালোক প্রতিফলন বাড়িয়ে অস্থায়ীভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমানো যেতে পারে—সমাজকে সময় কিনে দিতে পারে অভিযোজন ও ডিকার্বনাইজেশনের জন্য। সমালোচকেরা বলেন, বৃষ্টিপাতের ধরন পাল্টে অঞ্চলভিত্তিক ক্ষতি হতে পারে; কে ‘থার্মোস্ট্যাট’ ঘুরাবে—এই ভূ–রাজনৈতিক টানাপোড়েনও বড় ঝুঁকি। তবু কার্বন অপসারণ ও আবহাওয়া–ঝুঁকি বিশ্লেষণে বিনিয়োগ বাড়ায় ইঙ্গিত মিলছে—প্রতিরোধের পাশাপাশি অভিযোজন ও সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ—একটি সমন্বিত পোর্টফোলিও ভাবনায় নীতিনির্ধারকেরা ফিরছেন।
ছোট স্কেলে নজির আছে—ক্লাউড সিডিং, শীতল ছাদ, আগ্নেয়গিরির অস্থায়ী শীতল প্রভাব—তবে বিস্তৃত প্রয়োগে দরকার আন্তর্জাতিক নীতিমালা, দায়–দায়িত্ব কাঠামো, আর নির্ভরযোগ্য মনিটরিং যাতে সুবিধা বা ক্ষতি পরিমাপযোগ্য ও ফিরিয়ে নেওয়া যায়। গবেষণা–ফ্লাইটও জনআতঙ্ক তুলতে পারে; প্রমাণ–দায় তাই উচ্চ। এখন প্রশ্ন ‘করব কি করব না’ নয়; বরং ‘কীভাবে’—স্বচ্ছ শাসনে পরীক্ষার নকশা ও একই সঙ্গে নির্গমন হ্রাসকে সর্বাগ্রে রাখা।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও পরবর্তী ধাপ
যে কোনো পাইলটের তিন জবাব চাই: কাঙ্ক্ষিত ফল দেয় কি? পার্শ্ব–প্রতিক্রিয়া কী? পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্ধ করা যাবে কীভাবে? উত্তর পেতে লাগবে ভাগ করা ডেটা, স্বাধীন তদারকি ও ‘রেড টিম’—সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়া ধরে স্ট্রেস–টেস্ট। সীমিত এলাকা ও সময়ের স্বচ্ছ ট্রায়াল আস্থা গড়তে পারে—বা অনিবার্য ঝুঁকি চিহ্নিত করতে পারে—বড় পদক্ষেপের আগে। পাশাপাশি শহরগুলো প্রতিফলক পৃষ্ঠ, ছায়া–করিডর, তাপ–স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা বাড়াচ্ছে—যেখানে বৈশ্বিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।
ফ্রন্টলাইনে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠ ও প্রতিকার নিশ্চিত করাই শাসনের পরীক্ষার পাথর। বৃষ্টিপাত সরে গিয়ে কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ কে দেবে? প্যারামেট্রিক বীমা, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল—এসব আর্থিক যন্ত্রও পরীক্ষায় পড়বে। নীতিগত বার্তা স্পষ্ট: দ্রুত নির্গমন কমাও, অবকাঠামো শক্ত করো, কার্বন সিংক বাড়াও—আর সূর্যালোক ব্যবস্থাপনার গবেষণা করো কড়াকড়ি বৈশ্বিক গার্ডরেলের মধ্যে; শর্টকাট নয়, contingency হিসেবে।