কৃষি, রপ্তানি ও প্রযুক্তির সমন্বয়—সামনের পথ
নিউজিল্যান্ড ঘোষণা দিয়েছে—২০১৭ সালের ভিত্তি থেকে ২০৫০–এর মধ্যে ‘বায়োজেনিক’ মিথেন নির্গমন সর্বোচ্চ ২৪% কমানো হবে। দেশের মোট নির্গমনে কৃষির অংশ সবচেয়ে বড়; তাই জলবায়ু–নীতির ফোকাসও সেখানে। বৈশ্বিক ক্রেতারা দুগ্ধ–মাংসের কার্বন–ফুটপ্রিন্ট খুঁটিয়ে দেখায় রপ্তানির চাপ বাড়ছে। ওয়েলিংটন বলছে—কৃষক–আয়ের ভারসাম্য রেখেই এগোনো হবে; তবে বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও ন্যায্য সময়সূচি দরকার। সম্ভাব্য পথনকশায় আছে বিশেষ খাদ্য–সংযোজক, কম–নির্গমন গবাদি প্রজনন, সারের/মল–ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও চারণভূমি ব্যবস্থাপনা।
চ্যালেঞ্জও কম নয়। মিথেনের স্থায়িত্ব কম হলেও তাপধারণ ক্ষমতা বেশি—তাই দ্রুত কাটছাঁটেই সুবিধা বেশি। কিন্তু ক্ষুদ্র খামারগুলোর মার্জিন পাতলা; টেক–আপগ্রেডে পুঁজি কম। তাই শিল্পখাত প্রণোদনা, আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া কৃষকের ক্রেডিট এবং খামারের বৃক্ষ–পল্লব/মাটির কার্বন–শোষণের স্বীকৃতি চায়। পরিবেশবাদীরা মনে করেন—লক্ষ্য আরও উচ্চ হওয়া উচিত এবং স্থায়ী হ্রাসে পশু–সংখ্যায় সীমা দরকার। এদিকে ইউরোপীয় সবুজ–ক্রয়নীতি ও নির্বাচিত ট্যারিফ—অনুগত উৎপাদককে পুরস্কার, পিছিয়ে পড়াদের শাস্তি—দুটোই আনতে পারে।
গবেষণা–উদ্ভাবন নির্ধারণ করবে শেষ কথা। আশাব্যঞ্জক হাতিয়ার—সামুদ্রিক শৈবাল–ভিত্তিক ইনহিবিটর, উন্নয়নাধীন ‘মিথেন ভ্যাকসিন’, নির্ভুল খাদ্য–ব্যবস্থাপনা। কিন্তু একক সমাধান নেই; কার্যকারিতা ভিন্ন, পশুকল্যাণ–ট্রেসেবিলিটির মান বজায় রাখতে হবে। ব্যাংক ঋণের শর্ত ও সুপারমার্কেট–লেবেলিংয়ে নির্গমন–পরিকল্পনা জুড়ে যাবে। গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য এটি সহনশীলতার নীতিও—খরা–সহনশীল চারণভূমি, পানি–সংরক্ষণ, বীমা–পণ্য। যদি আয়–ঝুঁকি না বাড়িয়ে মাপযোগ্য হ্রাস আনা যায়, তবে গবাদিপশু–নির্ভর অন্যান্য অর্থনীতির জন্যও এটি মডেল হতে পারে—রপ্তানি–প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু–লক্ষ্য একসঙ্গে রাখা যায় কীভাবে।