০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
করপোরেট ছাঁটাই ও ব্যয়ের কড়াকড়ির মাঝেও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ বেড়েছে ৭৭ শতাংশ টিম্বার র‍্যাটলস্নেক: উত্তর আমেরিকার বনে এক ঝনঝনানো সতর্কতার প্রতীক কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রশ্ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৬) মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ, হিজলায় যৌথ অভিযানে ২৭ আটক দক্ষ ব্যবস্থাপকরা জানেন কোথায় কাকে বসাতে হয় — কর্মীদের সঠিক ভূমিকা নির্ধারণই সাফল্যের মূল রহস্য কয়রায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ নারী আটক—সুন্দরবন ঘিরে চোরাশিকার রুট খতিয়ে দেখছে পুলিশ জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পর—চীন কীভাবে নতুনভাবে গড়ে তুলছে নিজের ‘বিজয়ের ইতিহাস’ মধ্যযুগে ব্রিটেনে রুটি বিক্রিতে কঠোর শাস্তি—‘আসাইজ’ আইন কীভাবে রক্ষা করেছিল ক্রেতার অধিকার ইংল্যান্ডের অভিজাত ভোজসভায় ছুরি-চামচ ছিল সামাজিক মর্যাদার প্রতীক

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ, হিজলায় যৌথ অভিযানে ২৭ আটক

বরিশালের হিজলায় মেঘনা নদী ও আশপাশের এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সেনাবাহিনীর একটি দল সরাসরি মাঠে নামে। সকালজুড়ে চলা এই যৌথ অভিযানে ২৭ জনকে আটক করা হয়; জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১২টি ইলিশ। এর মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৯ মে জারি করা টাস্কফোর্স পরিপত্রের পর এবারই প্রথম সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ দেখা গেল।

কেন সেনাবাহিনী মাঠে

পূর্বের টাস্কফোর্স কাঠামোয় সেনা বা নৌবাহিনীর প্রতিনিধি ছিল না। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণ জোরদার ও নদী-কেন্দ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত শক্তি নিশ্চিত করতেই এবার সেনাবাহিনী যুক্ত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানায়।

কোথায় অভিযান, কী জব্দ

মেঘনার শান্তিরবাজার, চর বাউসিয়া ও বোম্বে শহরসংলগ্ন নদী-খালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বড় মজুত ধরা পড়ে এবং ১২টি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়।

নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকারী সংস্থা

অভিযানের নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মারুফুল ইসলাম, কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা মাসুদ ও হিজলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম। মাঠপর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড হিজলা এবং নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অংশ নেন।

প্রশাসনের বার্তা

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, এ বছরের অভিযান আগের চেয়ে “কঠোর ও সমন্বিত”; সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ বড় পদক্ষেপ। স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যাশা, কঠোর নজরদারিতে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম দিতে পারবে।

জেলেদের সহায়তার দাবি

বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, প্রয়োজনে সেনা–বিমানবাহিনীও মাঠে নামিয়ে অভিযান জোরদার করতে হবে। নিষেধাজ্ঞাকালে প্রত্যেক জেলেকে ৬০ কেজি চাল ও ৫ হাজার টাকা সহায়তা দিলে জীবিকার চাপ কমবে এবং অনিয়মও কমবে।

পরবর্তী করণীয়

হিজলা জুড়ে এ মুহূর্তে অভিযান অব্যাহত। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার ও অবৈধ আহরণে ‘জিরো টলারেন্স’ বজায় থাকবে; সচেতনতা ও আইন প্রয়োগ একসঙ্গে চলবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

করপোরেট ছাঁটাই ও ব্যয়ের কড়াকড়ির মাঝেও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ বেড়েছে ৭৭ শতাংশ

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ, হিজলায় যৌথ অভিযানে ২৭ আটক

০২:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

বরিশালের হিজলায় মেঘনা নদী ও আশপাশের এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সেনাবাহিনীর একটি দল সরাসরি মাঠে নামে। সকালজুড়ে চলা এই যৌথ অভিযানে ২৭ জনকে আটক করা হয়; জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১২টি ইলিশ। এর মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৯ মে জারি করা টাস্কফোর্স পরিপত্রের পর এবারই প্রথম সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ দেখা গেল।

কেন সেনাবাহিনী মাঠে

পূর্বের টাস্কফোর্স কাঠামোয় সেনা বা নৌবাহিনীর প্রতিনিধি ছিল না। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণ জোরদার ও নদী-কেন্দ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত শক্তি নিশ্চিত করতেই এবার সেনাবাহিনী যুক্ত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানায়।

কোথায় অভিযান, কী জব্দ

মেঘনার শান্তিরবাজার, চর বাউসিয়া ও বোম্বে শহরসংলগ্ন নদী-খালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বড় মজুত ধরা পড়ে এবং ১২টি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়।

নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকারী সংস্থা

অভিযানের নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মারুফুল ইসলাম, কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা মাসুদ ও হিজলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম। মাঠপর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড হিজলা এবং নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অংশ নেন।

প্রশাসনের বার্তা

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, এ বছরের অভিযান আগের চেয়ে “কঠোর ও সমন্বিত”; সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ বড় পদক্ষেপ। স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যাশা, কঠোর নজরদারিতে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম দিতে পারবে।

জেলেদের সহায়তার দাবি

বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, প্রয়োজনে সেনা–বিমানবাহিনীও মাঠে নামিয়ে অভিযান জোরদার করতে হবে। নিষেধাজ্ঞাকালে প্রত্যেক জেলেকে ৬০ কেজি চাল ও ৫ হাজার টাকা সহায়তা দিলে জীবিকার চাপ কমবে এবং অনিয়মও কমবে।

পরবর্তী করণীয়

হিজলা জুড়ে এ মুহূর্তে অভিযান অব্যাহত। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার ও অবৈধ আহরণে ‘জিরো টলারেন্স’ বজায় থাকবে; সচেতনতা ও আইন প্রয়োগ একসঙ্গে চলবে।