ডেটা, টার্নঅ্যারাউন্ড ও পুনঃব্যবহারের লক্ষ্য
স্পেসএক্সের সর্বশেষ স্টারশিপ মিশন পুনঃব্যবহারযোগ্য সুপার-হেভি রকেটকে নিয়মিত পরিষেবার কাছাকাছি টেনে এনেছে। তাপরোধক টাইল, ইঞ্জিন স্বাস্থ্য ও স্টেজ বিচ্ছিন্নতা—সব ক্ষেত্রেই এবার বেশি স্থিতিশীলতা ধরা পড়েছে। সুপার হেভি বুস্টারের থ্রটলিং ও প্রপেল্যান্ট ম্যানেজমেন্ট উন্নত হওয়ায় অপ্রয়োজনীয় ইন্ধন ‘স্লশ’ কমেছে। কোম্পানি বলছে, দ্বিতীয় প্রজন্মের কনফিগারেশনের এই ছিল শেষ বড় পরীক্ষা; পরের ধাপ হলো আরও লম্বা ও ভারী ‘ভার্সন ৩’।
স্টারশিপের ব্যবসায়িক যুক্তি নির্ভর করছে দ্রুত টার্নঅ্যারাউন্ডের ওপর। বিমানসেবার মতো কম সময়ে রকেট প্রস্তুত করতে টাইলের স্থায়িত্ব, ইঞ্জিন বদলের গতি ও গ্রাউন্ড সিস্টেমের স্বয়ংক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ। এবার লিডিং-এজ টাইল ও ফ্ল্যাপ হিঞ্জে সেন্সর বেশি রাখা হয়, যেখানে তাপ ও মেকানিক্যাল চাপ কেন্দ্রিত হয়। প্রাথমিক ডেটা বলছে, হটস্পট কমেছে এবং তাপীয় পারফরম্যান্স বেশি সমান হয়েছে। প্লাজমা ব্ল্যাকআউটের সময়েও টেলিমেট্রি ধরে রাখার ব্যবস্থা যাচাই করা হয়েছে, যাতে সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহের মুহূর্তের ডেটা না হারায়।
বাজার ও নিয়মকানুনের চাপে গতি বাড়ানো জরুরি। নাসার আর্টেমিসে চন্দ্র ল্যান্ডারের নির্ভরতা মানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উৎক্ষেপণ দরকার। বড় স্যাটেলাইট ব্যাচে কম খরচে পাঠানোর চাহিদা বাড়ছে। প্রতিদ্বন্দ্বীরাও নতুন সুপার-হেভি লিফট নিয়ে এগোচ্ছে। তাই প্রতিটি ফ্লাইটে নির্ভরযোগ্য উৎক্ষেপণ, বিচ্ছিন্নতা, পুনঃপ্রবেশ ও পুনরুদ্ধার দেখাতে পারলেই বড় বাণিজ্যিক অর্ডার আসবে।
ভার্সন ৩-এ কাঠামোগত উন্নয়ন, নতুন র্যাপটার ইঞ্জিন ও সরলীকৃত প্লাম্বিং থাকবে—রক্ষণাবেক্ষণ সহজ করতে। বেশি প্রপেল্যান্ট বহনে ট্যাংকার মিশনে মার্জিন বাড়বে। গ্রিড ফিন ও ‘ক্যাচার’ সিস্টেম কম ক্ষয় নিয়ে কাজ করার মতো করে টিউন করা হচ্ছে, যাতে একই বুস্টার বহুবার উড়তে পারে। আবহাওয়া ও রেঞ্জ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনুশীলনগুলোর সময় স্থির রাখতে প্রপেল্যান্ট লোডিং আরও স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে।
তবু ঝুঁকি আছে। তাপচক্রে ক্ষুদ্র ফাটল দেখা দিতে পারে। রেঞ্জ সমন্বয় ও পরিবেশগত অনুমোদন টার্নঅ্যারাউন্ড আটকে দিতে পারে। তবু এই ফ্লাইট ডেটা সবচেয়ে পরিষ্কার এবং শিক্ষা সবচেয়ে বেশি। ভার্সন ৩ লক্ষ্য পূরণ করলে প্রশ্নটা হবে—“কাজ করে কি না” নয়, “কত দ্রুত করা যায়”—যেটিই প্রদর্শনী থেকে পরিষেবায় রূপান্তরের সীমানা।