০৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১ জন মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড—গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গুদামে ৯ জনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের শুল্কের আসল বোঝা: ভোক্তা ও কোম্পানিই এখন মূল দাম দিচ্ছে এলএনজি বাড়ানোর পরিকল্পনা—দাম কমবে, নাকি পাইপলাইনই বাধা? ব্রিটিশ রাজনীতিকদের প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির হুমকি—রাশিয়া ও চীনের কার্যক্রমে সতর্ক করল এমআই৫ সুন্দরবনের মাডস্কিপার: হারিয়ে যাওয়া ইন্ডিকেটর প্রজাতি ও ডাঙায় ওঠার বিবর্তন-গল্প ইউরোপ প্রযুক্তি দৌড়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে—নোবেলজয়ী ফিলিপ আগিয়োঁর ঘৃণার মঞ্চ নাকি সমুদ্রের সহমর্মিতা?—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান ইউ-বোট অভিযানের সত্য-অন্বেষণ “চুক্তির পরের পরীক্ষা: নেতানিয়াহুকে কি ট্রাম্প বোঝাতে পারবেন? ইউএইতে স্বর্ণের দাম দিরহাম ৫০০ ছোঁয়ার দরজায়—ভবিষ্যত বিশ্লেষকরা বলছে দাম আরো বাড়বে্

জাপানে ভালুকের আনাগোনা রেকর্ড, বাড়ছে সতর্কতা

হটস্পট, কারণ ও প্রতিরোধ

তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে ভালুক শহরপাড়ায় নামছে—জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা-শুনা ও আক্রমণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ফুকুশিমার একটি অনসেন এলাকায় ভালুক কয়েক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করায় ব্যবসা বন্ধ থাকে, বাসিন্দারা ঘরেই ছিলেন; ভোরের আগে প্রাণীটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়। স্থানীয় সরকার অনাবশ্যক বাইরে যাওয়া কমাতে বলছে, আর ট্রেইলে ঘণ্টা বা রেডিও ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। সড়কের সাইনবোর্ডে এখন ট্রাফিক তথ্যের পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সতর্কতাও ভেসে উঠছে। পুলিশ ও শিকার-দল নদীতীর, বাগান ও পাহাড়পাদে টহল জোরদার করেছে।

কয়েকটি কারণ মিলছে। বছরে একাধিক স্থানে একোর্ন-চেস্টনাট-বিচনাট কম হওয়ায় ভালুক পাহাড় ছেড়ে নিচে নামে। গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধ হওয়ায় বসতি ঘিরে ‘বাফার জোন’ রক্ষণাবেক্ষণ কমে গেছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও ঝোপঝাড় রাতে চলাচলের আড়াল দেয়। উষ্ণ গ্রীষ্মের পর হঠাৎ শীত পড়লে খাবার সংগ্রহের ধারা বদলে যায়; গর্তে ঢোকার আগে ভালুকেরা মানুষের খাবারের উৎসের কাছে ভিড়তে থাকে। অধিকাংশ ঘটনায় প্রাণীটি চমকে যায়—লক্ষ্যভিত্তিক আক্রমণ নয়—তবু শাবক থাকলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

প্রতিরোধের কৌশল আগে। স্কুল ও বাসস্টপের আশেপাশে ঝোপ ছাঁটা হচ্ছে, সেন্সর লাইট বসানো হচ্ছে, বনকর্মীদের মধ্যে রিপেলেন্ট স্প্রে বিতরণ চলছে। কৃষকেরা সৌরচালিত বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে পার্সিমন ও মিষ্টি আলুর ক্ষেত বাঁচাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবীরা মোবাইল অ্যাপে লোকেশনসহ দেখা-শোনার তথ্য যোগ করতে শেখাচ্ছেন। হাইকিং গ্রুপগুলো ছোট দলে চলা, শব্দ করা ও বাঁশি বহনের পরামর্শ দিচ্ছে। আবর্জনা সংগ্রহের সময় নির্দিষ্ট করা হচ্ছে এবং লক করা খাঁচা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় হত্যার অনুমতি, স্থানান্তর ও নির্বীজন—এই সবের ভারসাম্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। স্থানান্তর কঠিন; অনেক ভালুক ফিরে আসে কিংবা নতুন জায়গায় টিকে থাকতে পারে না। নির্বীজন ব্যয়বহুল ও সীমিত। প্রিফেকচারের মধ্যে ডেটা ভাগাভাগি করলে চলাচল করিডর চিহ্নিত করা সহজ হবে, তখন বেড়া ঠিক জায়গায় বসানো যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষির জন্য বীমা, ফেন্সিং-নেটিংয়ে ভর্তুকি বাড়লে প্রাণী নিধনের চাপও কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জনসচেতনতা, মৌসুমি সতর্কতা ও সমন্বিত রেসপন্স প্ল্যানই সবচেয়ে কার্যকর।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১ জন

জাপানে ভালুকের আনাগোনা রেকর্ড, বাড়ছে সতর্কতা

০৩:১৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

হটস্পট, কারণ ও প্রতিরোধ

তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে ভালুক শহরপাড়ায় নামছে—জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা-শুনা ও আক্রমণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ফুকুশিমার একটি অনসেন এলাকায় ভালুক কয়েক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করায় ব্যবসা বন্ধ থাকে, বাসিন্দারা ঘরেই ছিলেন; ভোরের আগে প্রাণীটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়। স্থানীয় সরকার অনাবশ্যক বাইরে যাওয়া কমাতে বলছে, আর ট্রেইলে ঘণ্টা বা রেডিও ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। সড়কের সাইনবোর্ডে এখন ট্রাফিক তথ্যের পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সতর্কতাও ভেসে উঠছে। পুলিশ ও শিকার-দল নদীতীর, বাগান ও পাহাড়পাদে টহল জোরদার করেছে।

কয়েকটি কারণ মিলছে। বছরে একাধিক স্থানে একোর্ন-চেস্টনাট-বিচনাট কম হওয়ায় ভালুক পাহাড় ছেড়ে নিচে নামে। গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধ হওয়ায় বসতি ঘিরে ‘বাফার জোন’ রক্ষণাবেক্ষণ কমে গেছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও ঝোপঝাড় রাতে চলাচলের আড়াল দেয়। উষ্ণ গ্রীষ্মের পর হঠাৎ শীত পড়লে খাবার সংগ্রহের ধারা বদলে যায়; গর্তে ঢোকার আগে ভালুকেরা মানুষের খাবারের উৎসের কাছে ভিড়তে থাকে। অধিকাংশ ঘটনায় প্রাণীটি চমকে যায়—লক্ষ্যভিত্তিক আক্রমণ নয়—তবু শাবক থাকলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

প্রতিরোধের কৌশল আগে। স্কুল ও বাসস্টপের আশেপাশে ঝোপ ছাঁটা হচ্ছে, সেন্সর লাইট বসানো হচ্ছে, বনকর্মীদের মধ্যে রিপেলেন্ট স্প্রে বিতরণ চলছে। কৃষকেরা সৌরচালিত বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে পার্সিমন ও মিষ্টি আলুর ক্ষেত বাঁচাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবীরা মোবাইল অ্যাপে লোকেশনসহ দেখা-শোনার তথ্য যোগ করতে শেখাচ্ছেন। হাইকিং গ্রুপগুলো ছোট দলে চলা, শব্দ করা ও বাঁশি বহনের পরামর্শ দিচ্ছে। আবর্জনা সংগ্রহের সময় নির্দিষ্ট করা হচ্ছে এবং লক করা খাঁচা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় হত্যার অনুমতি, স্থানান্তর ও নির্বীজন—এই সবের ভারসাম্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। স্থানান্তর কঠিন; অনেক ভালুক ফিরে আসে কিংবা নতুন জায়গায় টিকে থাকতে পারে না। নির্বীজন ব্যয়বহুল ও সীমিত। প্রিফেকচারের মধ্যে ডেটা ভাগাভাগি করলে চলাচল করিডর চিহ্নিত করা সহজ হবে, তখন বেড়া ঠিক জায়গায় বসানো যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষির জন্য বীমা, ফেন্সিং-নেটিংয়ে ভর্তুকি বাড়লে প্রাণী নিধনের চাপও কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জনসচেতনতা, মৌসুমি সতর্কতা ও সমন্বিত রেসপন্স প্ল্যানই সবচেয়ে কার্যকর।