১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঝুঁকছে বৈশ্বিক পুঁজি, ওয়াল স্ট্রিটের বুদ্বুদ আতঙ্কে বিনিয়োগের নতুন দিশা ট্রাম্প প্রশাসনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্যোগে সাড়া, ২৫ হাজার আগ্রহী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মালয়েশিয়া–চীন জ্বালানি সমঝোতা: পেট্রোনাস ও সিএনওওসি’র এলএনজি চুক্তিতে এশিয়ার বাজারে নতুন বার্তা দীপু দাসের মৃত্যু ও দারিদ্র্য বিমোচন নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত

জাপানে ভালুকের আনাগোনা রেকর্ড, বাড়ছে সতর্কতা

হটস্পট, কারণ ও প্রতিরোধ

তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে ভালুক শহরপাড়ায় নামছে—জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা-শুনা ও আক্রমণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ফুকুশিমার একটি অনসেন এলাকায় ভালুক কয়েক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করায় ব্যবসা বন্ধ থাকে, বাসিন্দারা ঘরেই ছিলেন; ভোরের আগে প্রাণীটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়। স্থানীয় সরকার অনাবশ্যক বাইরে যাওয়া কমাতে বলছে, আর ট্রেইলে ঘণ্টা বা রেডিও ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। সড়কের সাইনবোর্ডে এখন ট্রাফিক তথ্যের পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সতর্কতাও ভেসে উঠছে। পুলিশ ও শিকার-দল নদীতীর, বাগান ও পাহাড়পাদে টহল জোরদার করেছে।

কয়েকটি কারণ মিলছে। বছরে একাধিক স্থানে একোর্ন-চেস্টনাট-বিচনাট কম হওয়ায় ভালুক পাহাড় ছেড়ে নিচে নামে। গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধ হওয়ায় বসতি ঘিরে ‘বাফার জোন’ রক্ষণাবেক্ষণ কমে গেছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও ঝোপঝাড় রাতে চলাচলের আড়াল দেয়। উষ্ণ গ্রীষ্মের পর হঠাৎ শীত পড়লে খাবার সংগ্রহের ধারা বদলে যায়; গর্তে ঢোকার আগে ভালুকেরা মানুষের খাবারের উৎসের কাছে ভিড়তে থাকে। অধিকাংশ ঘটনায় প্রাণীটি চমকে যায়—লক্ষ্যভিত্তিক আক্রমণ নয়—তবু শাবক থাকলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

প্রতিরোধের কৌশল আগে। স্কুল ও বাসস্টপের আশেপাশে ঝোপ ছাঁটা হচ্ছে, সেন্সর লাইট বসানো হচ্ছে, বনকর্মীদের মধ্যে রিপেলেন্ট স্প্রে বিতরণ চলছে। কৃষকেরা সৌরচালিত বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে পার্সিমন ও মিষ্টি আলুর ক্ষেত বাঁচাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবীরা মোবাইল অ্যাপে লোকেশনসহ দেখা-শোনার তথ্য যোগ করতে শেখাচ্ছেন। হাইকিং গ্রুপগুলো ছোট দলে চলা, শব্দ করা ও বাঁশি বহনের পরামর্শ দিচ্ছে। আবর্জনা সংগ্রহের সময় নির্দিষ্ট করা হচ্ছে এবং লক করা খাঁচা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় হত্যার অনুমতি, স্থানান্তর ও নির্বীজন—এই সবের ভারসাম্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। স্থানান্তর কঠিন; অনেক ভালুক ফিরে আসে কিংবা নতুন জায়গায় টিকে থাকতে পারে না। নির্বীজন ব্যয়বহুল ও সীমিত। প্রিফেকচারের মধ্যে ডেটা ভাগাভাগি করলে চলাচল করিডর চিহ্নিত করা সহজ হবে, তখন বেড়া ঠিক জায়গায় বসানো যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষির জন্য বীমা, ফেন্সিং-নেটিংয়ে ভর্তুকি বাড়লে প্রাণী নিধনের চাপও কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জনসচেতনতা, মৌসুমি সতর্কতা ও সমন্বিত রেসপন্স প্ল্যানই সবচেয়ে কার্যকর।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঝুঁকছে বৈশ্বিক পুঁজি, ওয়াল স্ট্রিটের বুদ্বুদ আতঙ্কে বিনিয়োগের নতুন দিশা

জাপানে ভালুকের আনাগোনা রেকর্ড, বাড়ছে সতর্কতা

০৩:১৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

হটস্পট, কারণ ও প্রতিরোধ

তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় খাবারের খোঁজে ভালুক শহরপাড়ায় নামছে—জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা-শুনা ও আক্রমণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ফুকুশিমার একটি অনসেন এলাকায় ভালুক কয়েক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করায় ব্যবসা বন্ধ থাকে, বাসিন্দারা ঘরেই ছিলেন; ভোরের আগে প্রাণীটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়। স্থানীয় সরকার অনাবশ্যক বাইরে যাওয়া কমাতে বলছে, আর ট্রেইলে ঘণ্টা বা রেডিও ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। সড়কের সাইনবোর্ডে এখন ট্রাফিক তথ্যের পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সতর্কতাও ভেসে উঠছে। পুলিশ ও শিকার-দল নদীতীর, বাগান ও পাহাড়পাদে টহল জোরদার করেছে।

কয়েকটি কারণ মিলছে। বছরে একাধিক স্থানে একোর্ন-চেস্টনাট-বিচনাট কম হওয়ায় ভালুক পাহাড় ছেড়ে নিচে নামে। গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধ হওয়ায় বসতি ঘিরে ‘বাফার জোন’ রক্ষণাবেক্ষণ কমে গেছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও ঝোপঝাড় রাতে চলাচলের আড়াল দেয়। উষ্ণ গ্রীষ্মের পর হঠাৎ শীত পড়লে খাবার সংগ্রহের ধারা বদলে যায়; গর্তে ঢোকার আগে ভালুকেরা মানুষের খাবারের উৎসের কাছে ভিড়তে থাকে। অধিকাংশ ঘটনায় প্রাণীটি চমকে যায়—লক্ষ্যভিত্তিক আক্রমণ নয়—তবু শাবক থাকলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

প্রতিরোধের কৌশল আগে। স্কুল ও বাসস্টপের আশেপাশে ঝোপ ছাঁটা হচ্ছে, সেন্সর লাইট বসানো হচ্ছে, বনকর্মীদের মধ্যে রিপেলেন্ট স্প্রে বিতরণ চলছে। কৃষকেরা সৌরচালিত বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে পার্সিমন ও মিষ্টি আলুর ক্ষেত বাঁচাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবীরা মোবাইল অ্যাপে লোকেশনসহ দেখা-শোনার তথ্য যোগ করতে শেখাচ্ছেন। হাইকিং গ্রুপগুলো ছোট দলে চলা, শব্দ করা ও বাঁশি বহনের পরামর্শ দিচ্ছে। আবর্জনা সংগ্রহের সময় নির্দিষ্ট করা হচ্ছে এবং লক করা খাঁচা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদে, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় হত্যার অনুমতি, স্থানান্তর ও নির্বীজন—এই সবের ভারসাম্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। স্থানান্তর কঠিন; অনেক ভালুক ফিরে আসে কিংবা নতুন জায়গায় টিকে থাকতে পারে না। নির্বীজন ব্যয়বহুল ও সীমিত। প্রিফেকচারের মধ্যে ডেটা ভাগাভাগি করলে চলাচল করিডর চিহ্নিত করা সহজ হবে, তখন বেড়া ঠিক জায়গায় বসানো যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষির জন্য বীমা, ফেন্সিং-নেটিংয়ে ভর্তুকি বাড়লে প্রাণী নিধনের চাপও কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জনসচেতনতা, মৌসুমি সতর্কতা ও সমন্বিত রেসপন্স প্ল্যানই সবচেয়ে কার্যকর।