১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
উইন্ডোজ ১০ শেষ—কোন ল্যাপটপে আপগ্রেড করবেন, আজকের গাইড বাণিজ্য-উদ্বেগে তেলদাম নিম্নমুখী—সরবরাহ এখনো স্বচ্ছন্দ রকেট’ ভঙ্গির ড্রোনে এক সেন্ট ডেলিভারি—এয়ারবাউন্ডের তহবিল ৮.৬৫ মিলিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৭) হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ল ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আখ নয়, শস্যই এখন ভারতের ইথানল বিপ্লবের চালিকাশক্তি ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ৬ ব্যাংক থেকে আরও ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৫ দিন ধরে ওসি শূন্য বেনাপোল পোর্ট থানা—অপরাধ ও চোরাচালানে বাড়ছে তিন দফা দাবিতে উচ্চ আদালতের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে শিক্ষকরা ভারতের তেলঙ্গানার প্রাক্তন সাংসদ কে. কবিতা বললেন, ‘সত্য বলার কারণেই আজ আমি একা

ডিএসই ও সিএসই দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষে পতনে বন্ধ

মঙ্গলবার বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে প্রাথমিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা গেলেও দিন শেষে ঢাকাসহ চট্টগ্রামের প্রধান সূচকগুলো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষ ঘণ্টাগুলোতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমে যায়, ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি হয়।


দিনের শুরুতে উত্থান, শেষে পতন

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দুই প্রধান সূচক—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষে নিম্নমুখী হয়ে বন্ধ হয়েছে। লেনদেনের শেষ ঘণ্টাগুলোতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমে যায়, ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়।


সূচকের পতন

দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট হারায়।
শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ১৪ পয়েন্ট কমে যায়।

মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়, যার মধ্যে ১০৫টির দাম বেড়েছে, ২৩৩টির দাম কমেছে এবং ৫৮টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।


তিন ক্যাটাগরিতেই নিম্নগতি

এ, বি ও জেড—তিন ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানি দিনের শেষে লাল চিহ্নে শেষ করেছে। উচ্চ লভ্যাংশ প্রদানকারী ‘এ’ ক্যাটাগরির ৬৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে, ১১৯টির দাম কমেছে এবং ৩১টি অপরিবর্তিত রয়েছে।


দিনের শুরুতে আশাবাদী সূচনা

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ বাড়তে থাকায় সূচক ধীরে ধীরে পতনের দিকে যায়।

ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারে কমেছে লেনদেনলেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি

ব্লক মার্কেটে ৩০টি কোম্পানির মোট ১৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক একাই প্রায় ৬.৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে শীর্ষস্থানে উঠে আসে।

মূল বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের ৫৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬০৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।


সর্বাধিক লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি

দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠান ছিল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), যার শেয়ারমূল্য ১০ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড দিনের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি হিসেবে ৮ শতাংশের বেশি দর হারায়।


সিএসইতেও একই ধারা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচকও নিম্নমুখী ছিল। বাজারের সার্বিক সূচক ৫৪ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়।

মোট ২০৭টি কোম্পানির মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে, ১০৮টির কমেছে এবং ২৫টির অপরিবর্তিত থেকেছে।

দিনের লেনদেনের পরিমাণ আগের ১৯ কোটি টাকা থেকে কমে ১৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।


সিএসইর শীর্ষে এসআইবিএল, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত জাহিনটেক্স

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সিএসইতেও ৯ শতাংশের বেশি দরবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখে। বিপরীতে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১০ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে দিনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে পরিণত হয়।


#শেয়ারবাজার #ডিএসই #সিএসই #ঢাকা_স্টক_এক্সচেঞ্জ #চট্টগ্রাম_স্টক_এক্সচেঞ্জ #বাংলাদেশ_অর্থনীতি #বিনিয়োগ #স্টক_মার্কেট #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

উইন্ডোজ ১০ শেষ—কোন ল্যাপটপে আপগ্রেড করবেন, আজকের গাইড

ডিএসই ও সিএসই দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষে পতনে বন্ধ

০৭:০৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মঙ্গলবার বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে প্রাথমিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা গেলেও দিন শেষে ঢাকাসহ চট্টগ্রামের প্রধান সূচকগুলো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষ ঘণ্টাগুলোতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমে যায়, ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি হয়।


দিনের শুরুতে উত্থান, শেষে পতন

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দুই প্রধান সূচক—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষে নিম্নমুখী হয়ে বন্ধ হয়েছে। লেনদেনের শেষ ঘণ্টাগুলোতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমে যায়, ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়।


সূচকের পতন

দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট হারায়।
শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ১৪ পয়েন্ট কমে যায়।

মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়, যার মধ্যে ১০৫টির দাম বেড়েছে, ২৩৩টির দাম কমেছে এবং ৫৮টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।


তিন ক্যাটাগরিতেই নিম্নগতি

এ, বি ও জেড—তিন ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানি দিনের শেষে লাল চিহ্নে শেষ করেছে। উচ্চ লভ্যাংশ প্রদানকারী ‘এ’ ক্যাটাগরির ৬৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে, ১১৯টির দাম কমেছে এবং ৩১টি অপরিবর্তিত রয়েছে।


দিনের শুরুতে আশাবাদী সূচনা

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ বাড়তে থাকায় সূচক ধীরে ধীরে পতনের দিকে যায়।

ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারে কমেছে লেনদেনলেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি

ব্লক মার্কেটে ৩০টি কোম্পানির মোট ১৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক একাই প্রায় ৬.৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে শীর্ষস্থানে উঠে আসে।

মূল বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের ৫৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬০৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।


সর্বাধিক লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি

দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠান ছিল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), যার শেয়ারমূল্য ১০ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড দিনের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি হিসেবে ৮ শতাংশের বেশি দর হারায়।


সিএসইতেও একই ধারা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচকও নিম্নমুখী ছিল। বাজারের সার্বিক সূচক ৫৪ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়।

মোট ২০৭টি কোম্পানির মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে, ১০৮টির কমেছে এবং ২৫টির অপরিবর্তিত থেকেছে।

দিনের লেনদেনের পরিমাণ আগের ১৯ কোটি টাকা থেকে কমে ১৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।


সিএসইর শীর্ষে এসআইবিএল, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত জাহিনটেক্স

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সিএসইতেও ৯ শতাংশের বেশি দরবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখে। বিপরীতে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১০ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে দিনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে পরিণত হয়।


#শেয়ারবাজার #ডিএসই #সিএসই #ঢাকা_স্টক_এক্সচেঞ্জ #চট্টগ্রাম_স্টক_এক্সচেঞ্জ #বাংলাদেশ_অর্থনীতি #বিনিয়োগ #স্টক_মার্কেট #সারাক্ষণ_রিপোর্ট