০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুধ খামার বিক্রয়: লাভজনক সুযোগ এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য গঠনমূলক পদক্ষপে ভালো স্মৃতি চাই? আগে ‘স্মৃতি’ বলতে কী বোঝায় তা নতুন করে ভাবুন দক্ষিণ আফ্রিকার রহস্যময় ও বিস্ময়কর রিংখালস সাপ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১১) এই সপ্তাহে কী দেখবেন–শুনবেন: বিগেলোর থ্রিলার, স্টিলারের পারিবারিক ডক, কারলাইল–লোভাটো ব্রডওয়েতে ‘রাগটাইম’ মঞ্চায়ন: শক্তিশালী সুর ও আবেগের পরিপূরক স্মৃতি দ্রুত মলিন হয়ে যায় কিন্তু ফটোগ্রাফি মুহূর্তটিকে থামিয়ে দিতে পারে এসএনএলে সাব্রিনা কারপেন্টার: ইমেজ, রসিকতা আর ভাইরাল কৌশল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: বিশ্বে উন্নতির সুযোগ, সতর্কতার সাথে পরিচালনা জরুরি – প্রেসিডেন্ট থারমান বালি পাচার নিয়ে তল্লাশি ইডি-র, ভোটের আগে সক্রিয়তার অভিযোগ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১১)

পছন্দমত রাশিটিকে ঠিক পূর্বের পংক্তিতে অবস্থিত ঠিক পূর্বের রাশি দিয়ে গুণ কর এবং এই পছন্দমত রাশিটির নীচস্থ রাশি যোগ কর।

বলা বাহুল্য গোবিন্দস্বামী এইটুকু ব্যাখ্যায় দৃঢ় কাকে বলে সেই কথাই উল্লেখ করেছেন।

যাই হোক এবার প্রথম ভাস্করাচার্যের মূল শ্লোকটি এবং তার অনুবাদ তুলে ধরছি। মহাভাস্করীয়ের প্রথম অধ্যায়ের ৪২-৪৪ তম শ্লোকগুলিতে প্রথম ভাস্করাচার্য বলেছেন

ভাজ্যৎ ন্যসেছপরি হারমঘশ্চ ত্য খওয়াত, পরস্পরমধৈা বিনিধায় লব্ধম্।

কেনাহতোহয়মপনীয় যথাস্থ্য শেষং ভাগং দদাতি পরিস্তদ্ধমিতি প্রচিন্ত্যম্।

আপ্তাং মতিং তাং বিনিধায় বল্ল্যাং নিত্যং হাধোহধঃ ক্রমশশ্চ লব্ধম্।

মত্যা হতং শ্যাছপরিস্থিতং যল্লতেন যুক্তং পরতশ্চ তত্ত্বত।

হারেণ ভাজ্যো বিধিনোপরিস্থো ভাজ্যেন নিত্যং তদ্‌ধঃস্থিতশ্চ

অহর্গণোহস্মিন্ ভগনাদয়শ্চ তত্ত্বা ভব্যেশ্য সমীহিতং যত্।

মর্মার্থ: উপরে ভাজ্য বসাও আর তার নীচে ভাজক বসাও। তারপর ভাগ কর। এবং এইভাবে পরস্পর ভাগ করে যাও। ভাগফলগুলিকে একটি পংক্তিতে সাজাও। তারপর এমন একটি রাশি পছন্দ কর যাতে ভাগশেষের সঙ্গে ঐ রাশিটিকে গুণ করে ঐ গুণফলের সঙ্গে ভাগের অবশিষ্টাংশ (residue of revolution) বিয়োগ করে তারপর ভাগশেষের সঙ্গে জুড়িত ভাজক দিয়ে ভাগ কর।

এবার ঐ পঙক্তিতে ঐ পছন্দমত রাশি এবং তারপর নূতন ভাগফলকে বসাও। পছন্দমত রাশিটিকে ঠিক পূর্বের পংক্তিতে অবস্থিত ঠিক পূর্বের রাশি দিয়ে গুণ কর এবং এই পছন্দমত রাশিটির নীচস্থ রাশি যোগ কর। এইভাবে এই পদ্ধতি অনুসরণ কর। এইভাবে সর্বোচ্চ রাশিটিকে ভাজক দিয়ে ভাগ কর এবং এর ঠিক নীচের রাশিটিকে ভাজ্য দিয়ে ভাগ করলে আমাদের প্রার্থিত অহর্গণ পাওয়া যাবে। বলা বাহুল্য প্রথম ভাস্করাচার্য যুগ্ম সংখ্যক ভাগফল এই পড়ুক্তিতে নিয়েছেন।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুধ খামার বিক্রয়: লাভজনক সুযোগ এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য গঠনমূলক পদক্ষপে

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১১)

০৩:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

পছন্দমত রাশিটিকে ঠিক পূর্বের পংক্তিতে অবস্থিত ঠিক পূর্বের রাশি দিয়ে গুণ কর এবং এই পছন্দমত রাশিটির নীচস্থ রাশি যোগ কর।

বলা বাহুল্য গোবিন্দস্বামী এইটুকু ব্যাখ্যায় দৃঢ় কাকে বলে সেই কথাই উল্লেখ করেছেন।

যাই হোক এবার প্রথম ভাস্করাচার্যের মূল শ্লোকটি এবং তার অনুবাদ তুলে ধরছি। মহাভাস্করীয়ের প্রথম অধ্যায়ের ৪২-৪৪ তম শ্লোকগুলিতে প্রথম ভাস্করাচার্য বলেছেন

ভাজ্যৎ ন্যসেছপরি হারমঘশ্চ ত্য খওয়াত, পরস্পরমধৈা বিনিধায় লব্ধম্।

কেনাহতোহয়মপনীয় যথাস্থ্য শেষং ভাগং দদাতি পরিস্তদ্ধমিতি প্রচিন্ত্যম্।

আপ্তাং মতিং তাং বিনিধায় বল্ল্যাং নিত্যং হাধোহধঃ ক্রমশশ্চ লব্ধম্।

মত্যা হতং শ্যাছপরিস্থিতং যল্লতেন যুক্তং পরতশ্চ তত্ত্বত।

হারেণ ভাজ্যো বিধিনোপরিস্থো ভাজ্যেন নিত্যং তদ্‌ধঃস্থিতশ্চ

অহর্গণোহস্মিন্ ভগনাদয়শ্চ তত্ত্বা ভব্যেশ্য সমীহিতং যত্।

মর্মার্থ: উপরে ভাজ্য বসাও আর তার নীচে ভাজক বসাও। তারপর ভাগ কর। এবং এইভাবে পরস্পর ভাগ করে যাও। ভাগফলগুলিকে একটি পংক্তিতে সাজাও। তারপর এমন একটি রাশি পছন্দ কর যাতে ভাগশেষের সঙ্গে ঐ রাশিটিকে গুণ করে ঐ গুণফলের সঙ্গে ভাগের অবশিষ্টাংশ (residue of revolution) বিয়োগ করে তারপর ভাগশেষের সঙ্গে জুড়িত ভাজক দিয়ে ভাগ কর।

এবার ঐ পঙক্তিতে ঐ পছন্দমত রাশি এবং তারপর নূতন ভাগফলকে বসাও। পছন্দমত রাশিটিকে ঠিক পূর্বের পংক্তিতে অবস্থিত ঠিক পূর্বের রাশি দিয়ে গুণ কর এবং এই পছন্দমত রাশিটির নীচস্থ রাশি যোগ কর। এইভাবে এই পদ্ধতি অনুসরণ কর। এইভাবে সর্বোচ্চ রাশিটিকে ভাজক দিয়ে ভাগ কর এবং এর ঠিক নীচের রাশিটিকে ভাজ্য দিয়ে ভাগ করলে আমাদের প্রার্থিত অহর্গণ পাওয়া যাবে। বলা বাহুল্য প্রথম ভাস্করাচার্য যুগ্ম সংখ্যক ভাগফল এই পড়ুক্তিতে নিয়েছেন।

(চলবে)