০৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা অ্যাশেজ ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া মাত্র এগারো দিনে, কথিত দুর্বল দলেই ইংল্যান্ডকে ধস গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী এবার বিএনপি-জামায়াত!

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১২)

বিহার থেকে তারা পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন মুখল আমলেই ভাগ্যান্বেষণে। আলীবর্দী খাঁর সেনাবাহিনীতে দোসাদ ছিলো বলে জানা যায়

দোলমা

ছেলেবেলায়ও দোলমার চল ছিল দেখেছি। ছেলেবেলা বললেও ৬০ বছরতো হবেই। দোলমা পটলের দোলমা তুর্কি শব্দ। অর্থাৎ ঢাকায় প্রচলন হয় প্রাক মুঘল অথবা মুঘল যুগে। পটলের দোলমারই চলন ছিল বেশি। পটলের ভিতর মাংসের কিমা দিয়ে সুতা দিয়ে তা বেঁধে ঘিয়ে ভেজে দোলমা তৈরি হতো। এখন দোলমা প্রায় লুপ্ত।

পটলের দোলমা

দোসাদ

ভারতের আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত দোসাদ। অন্তর্জালে ‘ট্রাইব’ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিহার থেকে তারা পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন মুখল আমলেই ভাগ্যান্বেষণে। আলীবর্দী খাঁর সেনাবাহিনীতে দোসাদ ছিলো বলে জানা যায়। সে-সময় থেকে দোসাদদের কেউ কেউ থেকে যান পূর্ববঙ্গে।

উনিশ শতকে একজন দোসাদ 

ওয়াইজ যখন অনুসন্ধান করেন তখন শুধু ঢাকাতেই ১৫/২০টি পরিবার পেয়েছিলেন। তার মানে, বিশ শতকে ঢাকায় আর দোসাদদের উত্তরাধিকারীরা ছিলেন না।

ওয়াইজ জানিয়েছেন, দোসাদরা দাবি করেন তারা তীম সেনের বংশধর। পূজা করেন রাহুর। ওয়াইজের মতে এরা সুপুরুষ। ঢাকায় তারা গৃহ-ভৃত্য বা পাংখাকুলি হিসেবে কাজ করতেন। বিহারে তাদের প্রধান পেশা ছিল চৌকিদার।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১২)

০৯:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বিহার থেকে তারা পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন মুখল আমলেই ভাগ্যান্বেষণে। আলীবর্দী খাঁর সেনাবাহিনীতে দোসাদ ছিলো বলে জানা যায়

দোলমা

ছেলেবেলায়ও দোলমার চল ছিল দেখেছি। ছেলেবেলা বললেও ৬০ বছরতো হবেই। দোলমা পটলের দোলমা তুর্কি শব্দ। অর্থাৎ ঢাকায় প্রচলন হয় প্রাক মুঘল অথবা মুঘল যুগে। পটলের দোলমারই চলন ছিল বেশি। পটলের ভিতর মাংসের কিমা দিয়ে সুতা দিয়ে তা বেঁধে ঘিয়ে ভেজে দোলমা তৈরি হতো। এখন দোলমা প্রায় লুপ্ত।

পটলের দোলমা

দোসাদ

ভারতের আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত দোসাদ। অন্তর্জালে ‘ট্রাইব’ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিহার থেকে তারা পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন মুখল আমলেই ভাগ্যান্বেষণে। আলীবর্দী খাঁর সেনাবাহিনীতে দোসাদ ছিলো বলে জানা যায়। সে-সময় থেকে দোসাদদের কেউ কেউ থেকে যান পূর্ববঙ্গে।

উনিশ শতকে একজন দোসাদ 

ওয়াইজ যখন অনুসন্ধান করেন তখন শুধু ঢাকাতেই ১৫/২০টি পরিবার পেয়েছিলেন। তার মানে, বিশ শতকে ঢাকায় আর দোসাদদের উত্তরাধিকারীরা ছিলেন না।

ওয়াইজ জানিয়েছেন, দোসাদরা দাবি করেন তারা তীম সেনের বংশধর। পূজা করেন রাহুর। ওয়াইজের মতে এরা সুপুরুষ। ঢাকায় তারা গৃহ-ভৃত্য বা পাংখাকুলি হিসেবে কাজ করতেন। বিহারে তাদের প্রধান পেশা ছিল চৌকিদার।

(চলবে)