বিহার থেকে তারা পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন মুখল আমলেই ভাগ্যান্বেষণে। আলীবর্দী খাঁর সেনাবাহিনীতে দোসাদ ছিলো বলে জানা যায়
দোলমা
ছেলেবেলায়ও দোলমার চল ছিল দেখেছি। ছেলেবেলা বললেও ৬০ বছরতো হবেই। দোলমা পটলের দোলমা তুর্কি শব্দ। অর্থাৎ ঢাকায় প্রচলন হয় প্রাক মুঘল অথবা মুঘল যুগে। পটলের দোলমারই চলন ছিল বেশি। পটলের ভিতর মাংসের কিমা দিয়ে সুতা দিয়ে তা বেঁধে ঘিয়ে ভেজে দোলমা তৈরি হতো। এখন দোলমা প্রায় লুপ্ত।

পটলের দোলমা
দোসাদ
ভারতের আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত দোসাদ। অন্তর্জালে ‘ট্রাইব’ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিহার থেকে তারা পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন মুখল আমলেই ভাগ্যান্বেষণে। আলীবর্দী খাঁর সেনাবাহিনীতে দোসাদ ছিলো বলে জানা যায়। সে-সময় থেকে দোসাদদের কেউ কেউ থেকে যান পূর্ববঙ্গে।

উনিশ শতকে একজন দোসাদ
ওয়াইজ যখন অনুসন্ধান করেন তখন শুধু ঢাকাতেই ১৫/২০টি পরিবার পেয়েছিলেন। তার মানে, বিশ শতকে ঢাকায় আর দোসাদদের উত্তরাধিকারীরা ছিলেন না।
ওয়াইজ জানিয়েছেন, দোসাদরা দাবি করেন তারা তীম সেনের বংশধর। পূজা করেন রাহুর। ওয়াইজের মতে এরা সুপুরুষ। ঢাকায় তারা গৃহ-ভৃত্য বা পাংখাকুলি হিসেবে কাজ করতেন। বিহারে তাদের প্রধান পেশা ছিল চৌকিদার।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















