০১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
দুর্নীতিমুক্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর ভূমিসেবা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার – সালেহ আহমেদ মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ৫০ লাখ টাকা খরচ, কিন্তু কালভার্ট নেই—চাঁদপুরে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আরমানিটোলায় জুবায়ের হত্যা: এক কলেজছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ : সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের তীর আলতাফ শাহনেওয়াজের দিকে বরিশালের হিজলায় ইলিশ অভিযানে হামলা—মৎস্য কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান সোনার দামে নতুন রেকর্ড — ভরি প্রতি মূল্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায় পৌঁছাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা: ঋণ মওকুফের আগে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে ভোক্তা আচরণে পরিবর্তন—চট্টগ্রামে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট’ বিষয়ক আলোচনায় উদ্যোক্তাদের মতামত

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল।

দৈনিক আজাদ [১৯৩৬-১৯৯০]

বলা যেতে পারে, পূর্ববঙ্গ/বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাংলা দৈনিক আজাদ। ১৯৩৬ সালে মওলানা আকরাম খাঁ কলকাতা থেকে দৈনিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। প্রধানত বাঙালি মুসলমানদের মুখপত্র হিসেবে, আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মুসলিম লীগের মুখপত্র হিসেবে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। দ্রুত পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। আমাদের দেশের চল্লিশ থেকে ষাট দশকের প্রথিতযশা অনেক সাংবাদিক যুক্ত ছিলেন পত্রিকাটির সঙ্গে।

১৯৪৭ এর পর আবু জাফর শামসুদ্দীন ঢাকায় [ঢাকেশ্বরীর পাশে] আজাদ স্থানান্তর করেন। মওলানা আকরাম খাঁ এর মালিক হলেও সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীন।

দৈনিক আজাদের প্রথমপাতা; পুরানো একটি সংখ্যা

তিনি ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল। অদ্ভুত বানানরীতি প্রচলন করতে চেয়েছিল। ১৯৬৯ সালে আকরাম খাঁর মৃত্যু হলে পত্রিকাটি প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারা থেকে সরে আসার চেষ্টা করে।

পরবর্তীকালে মালিকানায় দ্বন্দ্ব ও পতনশীল সার্কুলেশনের কারণে আজাদ বন্ধ হয়ে যায়। তবে, মুসলমান ‘জাগরণে’ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান, আব্বাস উদ্দিনের গান এবং আজাদ বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিমুক্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর ভূমিসেবা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার – সালেহ আহমেদ

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

০৯:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল।

দৈনিক আজাদ [১৯৩৬-১৯৯০]

বলা যেতে পারে, পূর্ববঙ্গ/বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাংলা দৈনিক আজাদ। ১৯৩৬ সালে মওলানা আকরাম খাঁ কলকাতা থেকে দৈনিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। প্রধানত বাঙালি মুসলমানদের মুখপত্র হিসেবে, আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মুসলিম লীগের মুখপত্র হিসেবে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। দ্রুত পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। আমাদের দেশের চল্লিশ থেকে ষাট দশকের প্রথিতযশা অনেক সাংবাদিক যুক্ত ছিলেন পত্রিকাটির সঙ্গে।

১৯৪৭ এর পর আবু জাফর শামসুদ্দীন ঢাকায় [ঢাকেশ্বরীর পাশে] আজাদ স্থানান্তর করেন। মওলানা আকরাম খাঁ এর মালিক হলেও সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীন।

দৈনিক আজাদের প্রথমপাতা; পুরানো একটি সংখ্যা

তিনি ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল। অদ্ভুত বানানরীতি প্রচলন করতে চেয়েছিল। ১৯৬৯ সালে আকরাম খাঁর মৃত্যু হলে পত্রিকাটি প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারা থেকে সরে আসার চেষ্টা করে।

পরবর্তীকালে মালিকানায় দ্বন্দ্ব ও পতনশীল সার্কুলেশনের কারণে আজাদ বন্ধ হয়ে যায়। তবে, মুসলমান ‘জাগরণে’ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান, আব্বাস উদ্দিনের গান এবং আজাদ বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।

(চলবে)