০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা অ্যাশেজ ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া মাত্র এগারো দিনে, কথিত দুর্বল দলেই ইংল্যান্ডকে ধস গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী এবার বিএনপি-জামায়াত!

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল।

দৈনিক আজাদ [১৯৩৬-১৯৯০]

বলা যেতে পারে, পূর্ববঙ্গ/বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাংলা দৈনিক আজাদ। ১৯৩৬ সালে মওলানা আকরাম খাঁ কলকাতা থেকে দৈনিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। প্রধানত বাঙালি মুসলমানদের মুখপত্র হিসেবে, আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মুসলিম লীগের মুখপত্র হিসেবে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। দ্রুত পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। আমাদের দেশের চল্লিশ থেকে ষাট দশকের প্রথিতযশা অনেক সাংবাদিক যুক্ত ছিলেন পত্রিকাটির সঙ্গে।

১৯৪৭ এর পর আবু জাফর শামসুদ্দীন ঢাকায় [ঢাকেশ্বরীর পাশে] আজাদ স্থানান্তর করেন। মওলানা আকরাম খাঁ এর মালিক হলেও সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীন।

দৈনিক আজাদের প্রথমপাতা; পুরানো একটি সংখ্যা

তিনি ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল। অদ্ভুত বানানরীতি প্রচলন করতে চেয়েছিল। ১৯৬৯ সালে আকরাম খাঁর মৃত্যু হলে পত্রিকাটি প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারা থেকে সরে আসার চেষ্টা করে।

পরবর্তীকালে মালিকানায় দ্বন্দ্ব ও পতনশীল সার্কুলেশনের কারণে আজাদ বন্ধ হয়ে যায়। তবে, মুসলমান ‘জাগরণে’ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান, আব্বাস উদ্দিনের গান এবং আজাদ বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।

মাওলানা আকরাম খাঁ। দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক 

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

০৯:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল।

দৈনিক আজাদ [১৯৩৬-১৯৯০]

বলা যেতে পারে, পূর্ববঙ্গ/বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাংলা দৈনিক আজাদ। ১৯৩৬ সালে মওলানা আকরাম খাঁ কলকাতা থেকে দৈনিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। প্রধানত বাঙালি মুসলমানদের মুখপত্র হিসেবে, আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মুসলিম লীগের মুখপত্র হিসেবে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। দ্রুত পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। আমাদের দেশের চল্লিশ থেকে ষাট দশকের প্রথিতযশা অনেক সাংবাদিক যুক্ত ছিলেন পত্রিকাটির সঙ্গে।

১৯৪৭ এর পর আবু জাফর শামসুদ্দীন ঢাকায় [ঢাকেশ্বরীর পাশে] আজাদ স্থানান্তর করেন। মওলানা আকরাম খাঁ এর মালিক হলেও সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন আবুল কালাম শামসুদ্দীন।

দৈনিক আজাদের প্রথমপাতা; পুরানো একটি সংখ্যা

তিনি ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণের কারণে পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আজাদ মূলত প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারার সমর্থক ছিল। অদ্ভুত বানানরীতি প্রচলন করতে চেয়েছিল। ১৯৬৯ সালে আকরাম খাঁর মৃত্যু হলে পত্রিকাটি প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাধারা থেকে সরে আসার চেষ্টা করে।

পরবর্তীকালে মালিকানায় দ্বন্দ্ব ও পতনশীল সার্কুলেশনের কারণে আজাদ বন্ধ হয়ে যায়। তবে, মুসলমান ‘জাগরণে’ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান, আব্বাস উদ্দিনের গান এবং আজাদ বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।

মাওলানা আকরাম খাঁ। দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক 

(চলবে)