ইনভেন্টরি, চাহিদা ও দামের চাপ
প্রায় পাঁচ বছরে সবচেয়ে নিচের স্তরে নেমেছে তেলের দাম; মার্কিন ক্রুড ব্যারেলপ্রতি ৫৭ ডলারের নিচে। বড়সড় ইনভেন্টরি বৃদ্ধি, রেকর্ড উৎপাদন আর দুর্বল চাহিদার ইঙ্গিত—এই তিন কারণ মিলেই পতন ত্বরান্বিত করেছে। দামের চাপ কমায় পেট্রোল ও হিটিংয়ের খরচ কমতে পারে, তবে শেল প্রযোজকদের মুনাফা ও নগদপ্রবাহে ধাক্কা বাড়বে। ব্রেন্ট মূল্যও কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিক পতনে।
কে জিতবে, কী ঝুঁকি রইল
ভোক্তা ও জ্বালানি-নির্ভর শিল্পগুলো স্বস্তি পাচ্ছে; এয়ারলাইন, শিপিং কোম্পানি হেজিংয়ে আগ্রহী হতে পারে। বিপরীতে তেল-নির্ভর অর্থনীতিগুলো বাজেট চাপে পড়বে এবং উৎপাদন কমানোর সমন্বয় ভাবতে পারে। বিশ্লেষকদের সতর্কবার্তা—ওপেক+ নীতিবদল বা ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়ে গেলে দাম হঠাৎ ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আপাতত উচ্চ মজুত ও সতর্ক ম্যাক্রো সেন্টিমেন্টই বাজারকে টেনে ধরে রেখেছে। বিদ্যুৎ-খাত ও ডেটা সেন্টারের খরচে সাময়িক স্বস্তি এলেও, কম দামে পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিনিয়োগ ধীর হতে পারে কিনা—সেটিই নজরে।