সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ গৃহভাড়া ভাতা প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রবিবার অষ্টম দিনের মতো তাদের অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষকদের অবস্থান ও ঘোষণা
রবিবার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সরকারের ৫ শতাংশ ভাতার প্রস্তাব শিক্ষকদের প্রতি “অবজ্ঞা ও উপহাসের সামিল”।
মাগুরা থেকে আসা আন্দোলনকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, “আজকের বৈঠকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না এলে আমরা পদযাত্রা করে যমুনার দিকে যাব।”
বিএনপি নেতার সঙ্গে বৈঠক
শিক্ষক নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে আন্দোলনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত ও শর্ত
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রবিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ গৃহভাড়া ভাতা (ন্যূনতম ২,০০০ টাকা) অনুমোদন দেয়।
চিঠিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবদের কাছে পাঠানো হয়, যেখানে বাস্তবায়নের ছয়টি শর্তও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
শিক্ষকদের দাবি ও ক্ষোভ
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১,০০০ টাকা গৃহভাড়া পান। এর আগে অর্থ বিভাগ ৫০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মত হলেও চলমান আন্দোলনের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা স্থগিত করে।
শিক্ষকরা দাবি করেছেন, ন্যূনতম ৩,০০০ টাকা বা ২০ শতাংশ গৃহভাড়া ভাতা দিতে হবে। তারা টানা অষ্টম দিনের মতো শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
কয়েক দিন আগে আন্দোলনরত শিক্ষকরা শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে সরকার ৫ শতাংশ ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলে তারা তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।
শিক্ষকদের ভাষায়, “আমরা আমাদের দাবির ন্যায্যতা থেকে এক পা-ও পিছু হটব না।”
#এমপিও #শিক্ষকআন্দোলন #গৃহভাড়াভাতা #অর্থমন্ত্রণালয় #মির্জাফখরুল #সারাক্ষণরিপোর্ট