১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
আরমানিটোলায় জুবায়ের হত্যা: এক কলেজছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ : সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের তীর আলতাফ শাহনেওয়াজের দিকে বরিশালের হিজলায় ইলিশ অভিযানে হামলা—মৎস্য কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান সোনার দামে নতুন রেকর্ড — ভরি প্রতি মূল্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায় পৌঁছাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা: ঋণ মওকুফের আগে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে ভোক্তা আচরণে পরিবর্তন—চট্টগ্রামে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট’ বিষয়ক আলোচনায় উদ্যোক্তাদের মতামত গাজায় নতুন করে সহিংসতা—ইসরায়েলি হামলায় ২৬ নিহতের পর যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর হামাসের গুলিতে দুই সেনা নিহতের ঘটনায় গাজায় তীব্র বিমান ও ট্যাংক হামলা—সহায়তা স্থগিত, যুদ্ধবিরতি ভাঙার অভিযোগে নতুন উত্তেজনা স্কুলে সহিংসতা রোধে বেত্রাঘাত পুনরুজ্জীবনের ভাবনা — মালয়েশিয়ায় বিতর্ক

যাদুকাটায় বালু লুটের মহোৎসব

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “যাদুকাটায় বালু লুটের মহোৎসব”

‘সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার এবং বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে এই নদীতে লুটপাট চালিয়েছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতাদের মিত্র হিসেবে পেয়েছেন ইজারাদারেরা। বিশেষ করে সম্প্রতি (৭-১১ অক্টোবর) প্রায় শতকোটি টাকার বালু লুটের ঘটনায় স্থানীয়রা হতভম্ব।

যাদুকাটা নদীর উৎপত্তি ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ে। তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলা ও লাউড়গড়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই নদী একসময় ছিল মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫৭ মিটার প্রশস্ত। কিন্তু বছরের পর বছর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এর গড় প্রস্থ এখন এক কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ইজারাদার ও স্থানীয় রাজনীতিকদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধেও এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৪ অক্টোবর তাহিরপুর থানায় বালুমহাল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করেন ইজারাদারের লোকজন। যদিও এটিকে লোকদেখানো বলছেন স্থানীয়রা। একই দিন থানার এসআই পংকজ দাশ বাদী হয়ে আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৬ অক্টোবর সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল হক ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন, তাঁর ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকাব উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ সরকার এবং নদীর তীরসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোশাহিদ আলম ওরফে রানু মেম্বার। রানু মেম্বার এর আগেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার, খাজা মাঈন উদ্দিন, আবু বক্কর, বিএনপির রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা গোলাপ মাহমুদের চাচাতো ভাই শিপন, শোভন, শাহান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

জানা যায়, এই লুটপাটের অগ্রভাগে ছিলেন খেলু মাস্টার ও খাজা মাঈন উদ্দিন। যদিও প্রথমে তারাই বালু সরানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরাও বালু লুটে শামিল হন।

 

সমকালের একটি শিরোনাম”জামায়াতের ওপর হঠাৎ এনসিপির তোপ, বিএনপির প্রতিও বিরাগ”

একটি বক্তব্যের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানোর পরদিন গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীর চলমান আন্দোলনকে প্রতারণা বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। জামায়াত এই বক্তব্যকে ‘বালখিল্য’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা থেকে এনসিপির এমন প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করেনি।

জামায়াত ও এনসিপি সূত্র জানায়, এনসিপি চেয়েছিল জামায়াতও যেন জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে। সে অনুযায়ী দলটির সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও করেছে তারা। এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্তকে জামায়াত সরকার ও বিএনপির ওপর ‘চাপ রাখার কৌশল’ হিসেবে সমর্থন দেয়। কিন্তু জামায়াত নিজে এই ‘চাপ-কৌশলে’ যুক্ত হতে রাজি হয়নি।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এনসিপির গণপরিষদ গঠনের দাবিকে জামায়াত সমর্থন করে না। আবার জামায়াতের নিম্নকক্ষে পিআরের দাবিকে এনসিপি সমর্থন করে না। এই মতপার্থক্য নিয়েও দুদল এতদিন কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর সংলাপের সময় কার্যত জামায়াতকে সমর্থন দিয়ে আসছিল এনসিপি।

এনসিপি নেতারা বলছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে তারা বিএনপির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের উষ্মার প্রকাশ ঘটেছে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে। সনদ স্বাক্ষরের দিন ‘জুলাইযোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংসদ ভবনের সামনে আহত জুলাইযোদ্ধাদের তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুসারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আহত যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অর্থনীতির গতি শ্লথই থাকছে চলতি প্রান্তিকে”

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে সরকার ও ব্যবসায়ীরা। ব্যাংক খাতে রয়েছে তারল্য সংকট। অস্থিরতা বিরাজ করছে পুঁজিবাজারে। গত ২৮ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ৫৯২ পয়েন্ট। রফতানির গতিও শ্লথ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, চলতি বছরের একই সময়ে যা নেমেছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চপর্যায়ে। সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বা অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অর্থনীতির গতি শ্লথই থাকছে, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা ভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সরকারের আমদানি পরিসংখ্যানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬ অক্টোবর ‘মডিফাই’ করা ‘মেজর ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস: মান্থলি আপডেট সেপ্টেম্বর, ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশে পণ্য আমদানির অর্থমূল্য ছিল ৬২৭ কোটি ডলার। আগস্টে যা কমে হয়েছে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ডলার।

একই প্রতিবেদনে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের আমদানির প্রক্ষেপণও দেয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের অর্থমূল্য হতে পারে ৪৬৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বর—দুই মাসেই ঋণপত্র খোলা হতে পারে কমবেশি ৪৬৭ কোটি ডলারের। অর্থাৎ আমদানিতে প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়বে।

প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর প্রান্তিকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার প্রক্ষেপণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের প্রক্ষেপণ ১৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম। একই সময়ে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির সম্ভাব্য দায় দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুদের ৫১ দশমিক ৮৩ শতাংশের সমান। এ বৈদেশিক মুদ্রা মজুদের মধ্যে রয়েছে নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের নিট ব্যালান্স, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা বৈদেশিক মুদ্রার ব্যালান্স।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “যেসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না”

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সুরক্ষিত ও অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটলো, শুরুতে কেন আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের এই হাবে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল কিনা এসব প্রশ্ন সামনে আসছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল বিকাল ৪টায় পুরোপুরি নির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। ততক্ষণে আমদানি কার্গোর হাজার কোটি টাকার পণ্য আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান। তবে এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন, প্রত্যক্ষদর্শী, বিভিন্ন মহল এটিকে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড ও নাশকতা বলেই মন্তব্য করেছেন। বলা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ধ্বংস করে দিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য এমনটি করছে কোনো মহল।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখানে মোটাদাগে বেশকিছু বিষয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একটি ছোট আগুন কীভাবে এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব দমকল বাহিনী রয়েছে। তাদের কার্যালয় থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব একেবারে সন্নিকটে। প্রাথমিকভাবে আগুনের যে অবস্থা ছিল সেটি তাদের পক্ষে নির্বাপণ করা সম্ভব ছিল। অথচ ছাদবিহীন খোলা জায়গার আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকারে। আগুন এতটা ভয়াবহ হয়েছিল সেটা নির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট কাজ করেছে। পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব দমকল বাহিনী, বিমান, সেনা ও নৌ বাহিনীও কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে প্রতি বছরই অগ্নি নিরাপত্তার স্বার্থে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া হয়। ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে সেটিতে আগুন লাগানোর পর ছুটে আসেন বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিটের অত্যাধুনিক এয়ারপোর্ট ক্রাশ টেন্ডারগুলো। তখন বিমানবন্দরের ফায়ারকর্মীরা ডামি উড়োজাহাজের আগুন নিভিয়ে দেন। কিন্তু শনিবার যখন বাস্তবে কার্গো ভিলেজে আগুন লেগেছে তখন তাদের কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া অনুমতি না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ৮ নম্বর গেটে আধাঘণ্টার মতো আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে যদি অনুমতির জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে না রেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হতো তবে আরও অনেক আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারতেন। ফায়ার সার্ভিসকে অনুমতি না দেয়ায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার অভিযোগটি সঠিক নয়। বিমানবন্দরের ভেতরে অগ্নিনির্বাপণে যারা ছিলেন, তারা ঘটনার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। এসময় তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এটি একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা, এখানে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগুনের পূর্ব ও পরবর্তী অবস্থা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করবে।
আগুন লাগার সময়ের বিষয়ে বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগুন লেগেছে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে। অপরদিকে ফায়ার সার্ভিস বলছে, তারা আগুন লাগার খবর পেয়েছে ২টা ৩০ মিনিটে। তাদের প্রথম ইউনিটটি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ২টা ৫০ মিনিটে। এ হিসাবে আগুন লাগার অন্তত ৩৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম গাড়িটি সেখানে পৌঁছেছিল। এরকম একটা স্পর্শকাতর স্থানে আগুন লাগার ৩৫ মিনিট পর কেন ফায়ার সার্ভিস পৌঁছালো সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর মিলছে না। ঘটনাস্থলে থাকা ইমরান হোসেন নামে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাবি দুপুর ২টার আগেই আগুন লেগেছে। এদিকে, শনিবার ছুটির দিন কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

আরমানিটোলায় জুবায়ের হত্যা: এক কলেজছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ

যাদুকাটায় বালু লুটের মহোৎসব

০৮:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “যাদুকাটায় বালু লুটের মহোৎসব”

‘সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার এবং বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে এই নদীতে লুটপাট চালিয়েছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতাদের মিত্র হিসেবে পেয়েছেন ইজারাদারেরা। বিশেষ করে সম্প্রতি (৭-১১ অক্টোবর) প্রায় শতকোটি টাকার বালু লুটের ঘটনায় স্থানীয়রা হতভম্ব।

যাদুকাটা নদীর উৎপত্তি ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ে। তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলা ও লাউড়গড়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই নদী একসময় ছিল মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫৭ মিটার প্রশস্ত। কিন্তু বছরের পর বছর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এর গড় প্রস্থ এখন এক কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ইজারাদার ও স্থানীয় রাজনীতিকদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধেও এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৪ অক্টোবর তাহিরপুর থানায় বালুমহাল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করেন ইজারাদারের লোকজন। যদিও এটিকে লোকদেখানো বলছেন স্থানীয়রা। একই দিন থানার এসআই পংকজ দাশ বাদী হয়ে আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৬ অক্টোবর সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল হক ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন, তাঁর ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকাব উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ সরকার এবং নদীর তীরসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোশাহিদ আলম ওরফে রানু মেম্বার। রানু মেম্বার এর আগেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার, খাজা মাঈন উদ্দিন, আবু বক্কর, বিএনপির রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা গোলাপ মাহমুদের চাচাতো ভাই শিপন, শোভন, শাহান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

জানা যায়, এই লুটপাটের অগ্রভাগে ছিলেন খেলু মাস্টার ও খাজা মাঈন উদ্দিন। যদিও প্রথমে তারাই বালু সরানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরাও বালু লুটে শামিল হন।

 

সমকালের একটি শিরোনাম”জামায়াতের ওপর হঠাৎ এনসিপির তোপ, বিএনপির প্রতিও বিরাগ”

একটি বক্তব্যের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানোর পরদিন গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীর চলমান আন্দোলনকে প্রতারণা বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। জামায়াত এই বক্তব্যকে ‘বালখিল্য’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা থেকে এনসিপির এমন প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করেনি।

জামায়াত ও এনসিপি সূত্র জানায়, এনসিপি চেয়েছিল জামায়াতও যেন জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে। সে অনুযায়ী দলটির সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও করেছে তারা। এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্তকে জামায়াত সরকার ও বিএনপির ওপর ‘চাপ রাখার কৌশল’ হিসেবে সমর্থন দেয়। কিন্তু জামায়াত নিজে এই ‘চাপ-কৌশলে’ যুক্ত হতে রাজি হয়নি।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এনসিপির গণপরিষদ গঠনের দাবিকে জামায়াত সমর্থন করে না। আবার জামায়াতের নিম্নকক্ষে পিআরের দাবিকে এনসিপি সমর্থন করে না। এই মতপার্থক্য নিয়েও দুদল এতদিন কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর সংলাপের সময় কার্যত জামায়াতকে সমর্থন দিয়ে আসছিল এনসিপি।

এনসিপি নেতারা বলছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে তারা বিএনপির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের উষ্মার প্রকাশ ঘটেছে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে। সনদ স্বাক্ষরের দিন ‘জুলাইযোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংসদ ভবনের সামনে আহত জুলাইযোদ্ধাদের তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুসারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আহত যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অর্থনীতির গতি শ্লথই থাকছে চলতি প্রান্তিকে”

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে সরকার ও ব্যবসায়ীরা। ব্যাংক খাতে রয়েছে তারল্য সংকট। অস্থিরতা বিরাজ করছে পুঁজিবাজারে। গত ২৮ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ৫৯২ পয়েন্ট। রফতানির গতিও শ্লথ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, চলতি বছরের একই সময়ে যা নেমেছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চপর্যায়ে। সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বা অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অর্থনীতির গতি শ্লথই থাকছে, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা ভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সরকারের আমদানি পরিসংখ্যানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬ অক্টোবর ‘মডিফাই’ করা ‘মেজর ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস: মান্থলি আপডেট সেপ্টেম্বর, ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশে পণ্য আমদানির অর্থমূল্য ছিল ৬২৭ কোটি ডলার। আগস্টে যা কমে হয়েছে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ডলার।

একই প্রতিবেদনে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের আমদানির প্রক্ষেপণও দেয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের অর্থমূল্য হতে পারে ৪৬৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বর—দুই মাসেই ঋণপত্র খোলা হতে পারে কমবেশি ৪৬৭ কোটি ডলারের। অর্থাৎ আমদানিতে প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়বে।

প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর প্রান্তিকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার প্রক্ষেপণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের প্রক্ষেপণ ১৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম। একই সময়ে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির সম্ভাব্য দায় দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুদের ৫১ দশমিক ৮৩ শতাংশের সমান। এ বৈদেশিক মুদ্রা মজুদের মধ্যে রয়েছে নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের নিট ব্যালান্স, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা বৈদেশিক মুদ্রার ব্যালান্স।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “যেসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না”

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সুরক্ষিত ও অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটলো, শুরুতে কেন আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের এই হাবে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল কিনা এসব প্রশ্ন সামনে আসছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল বিকাল ৪টায় পুরোপুরি নির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। ততক্ষণে আমদানি কার্গোর হাজার কোটি টাকার পণ্য আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান। তবে এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন, প্রত্যক্ষদর্শী, বিভিন্ন মহল এটিকে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড ও নাশকতা বলেই মন্তব্য করেছেন। বলা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ধ্বংস করে দিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য এমনটি করছে কোনো মহল।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখানে মোটাদাগে বেশকিছু বিষয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একটি ছোট আগুন কীভাবে এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব দমকল বাহিনী রয়েছে। তাদের কার্যালয় থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব একেবারে সন্নিকটে। প্রাথমিকভাবে আগুনের যে অবস্থা ছিল সেটি তাদের পক্ষে নির্বাপণ করা সম্ভব ছিল। অথচ ছাদবিহীন খোলা জায়গার আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকারে। আগুন এতটা ভয়াবহ হয়েছিল সেটা নির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট কাজ করেছে। পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব দমকল বাহিনী, বিমান, সেনা ও নৌ বাহিনীও কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে প্রতি বছরই অগ্নি নিরাপত্তার স্বার্থে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া হয়। ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে সেটিতে আগুন লাগানোর পর ছুটে আসেন বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিটের অত্যাধুনিক এয়ারপোর্ট ক্রাশ টেন্ডারগুলো। তখন বিমানবন্দরের ফায়ারকর্মীরা ডামি উড়োজাহাজের আগুন নিভিয়ে দেন। কিন্তু শনিবার যখন বাস্তবে কার্গো ভিলেজে আগুন লেগেছে তখন তাদের কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া অনুমতি না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ৮ নম্বর গেটে আধাঘণ্টার মতো আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে যদি অনুমতির জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে না রেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হতো তবে আরও অনেক আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারতেন। ফায়ার সার্ভিসকে অনুমতি না দেয়ায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার অভিযোগটি সঠিক নয়। বিমানবন্দরের ভেতরে অগ্নিনির্বাপণে যারা ছিলেন, তারা ঘটনার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। এসময় তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এটি একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা, এখানে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগুনের পূর্ব ও পরবর্তী অবস্থা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করবে।
আগুন লাগার সময়ের বিষয়ে বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগুন লেগেছে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে। অপরদিকে ফায়ার সার্ভিস বলছে, তারা আগুন লাগার খবর পেয়েছে ২টা ৩০ মিনিটে। তাদের প্রথম ইউনিটটি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ২টা ৫০ মিনিটে। এ হিসাবে আগুন লাগার অন্তত ৩৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম গাড়িটি সেখানে পৌঁছেছিল। এরকম একটা স্পর্শকাতর স্থানে আগুন লাগার ৩৫ মিনিট পর কেন ফায়ার সার্ভিস পৌঁছালো সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর মিলছে না। ঘটনাস্থলে থাকা ইমরান হোসেন নামে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাবি দুপুর ২টার আগেই আগুন লেগেছে। এদিকে, শনিবার ছুটির দিন কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।