০৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোয় শিল্প স্থাপনায় আগুন ইন্দোনেশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সমঝোতা চূড়ান্তের পথে, জানুয়ারিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা শিকাগোতে সেনা মোতায়েন আটকাল সুপ্রিম কোর্ট, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা প্রশ্নের মুখে কুয়েত-চীনের চারশ কোটি ডলারের চুক্তিতে বদলে যাচ্ছে বন্দর ভবিষ্যৎ, জোরালো হবে বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বোমা আর বাস্তুচ্যুতির মাঝখানে গাজা, ফের ঘরছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অবরুদ্ধ মানুষ উত্তর সীমান্তে আকাশজুড়ে আলোর স্তম্ভ বিস্ময়ে মুগ্ধ বাসিন্দারা, বিরল শীতের ইঙ্গিত বিশ্ব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়াদ: সংঘাত নিরসনে সৌদি আরবের সংজ্ঞায়িত বছর ইয়েমেনে বন্দিবিনিময়ে বড় অগ্রগতি, দুই হাজার নয়শ’ জনের মুক্তিতে সমঝোতা অর্থনীতি টিকে থাকলেও জীবনের চাপে ক্লান্ত আমেরিকা, দুশ্চিন্তায় নতুন বছর

কেরালায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি, নদীর পানি উপচে পড়ায় শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে

কেরালার ইডুক্কি জেলায় টানা প্রবল বর্ষণে ফ্ল্যাশ ফ্লাড ও ভূমিধসের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) রবিবার জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন সব ধরনের পর্যটন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে, যাতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধ করা যায়।


পর্যটন কার্যক্রমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা

প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, ইডুক্কিতে সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন যেমন বোটিং, কায়াকিং, জিপ ট্রেকিং এবং অন্যান্য জলক্রীড়া কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহাড়ি বা ভূমিধসপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোনো পর্যটককে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।


নদীর পানি বৃদ্ধি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত

পেরিয়ার নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে ভান্ডিপেরিয়ার চন্দ্রবনম ও বিকাশ নগর এলাকায় সাতটি ঘর প্লাবিত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রশাসনের আশঙ্কা, মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়লে নিচু এলাকার আরও ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে যেতে পারে।


বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সতর্কতা

কেরালা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (KSDMA) পেরিয়ার নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের চরম সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়লে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম ও জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি

শুক্রবার রাত থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাদাধস, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে ভেল্লারামকুন্নু এলাকায় এক মোটরসাইকেলচালক কাদার স্তূপে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ায় সড়কপথে চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


প্লাবন ও উদ্ধার কার্যক্রম

কুমিলি, নেদুমকান্দম ও কাট্টাপানায় শুক্রবার রাতের প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বহু বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়। শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।


নদী ফুলে ওঠা ও যানবাহন ক্ষতি

কুট্টার নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় নেদুমকান্দম এলাকায় পার্ক করে রাখা একটি ভ্যান স্রোতে ভেসে যায়। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতে যানবাহনটি মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যায়।


ইডুক্কিতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা অব্যাহত থাকায় প্রশাসন জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় জনগণকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং বাঁধ, নদী ও পাহাড়ি ঢাল সংলগ্ন এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে। উদ্ধার দল ও স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।


ইডুক্কি#, কেরালা#, ফ্ল্যাশ ফ্লাড,# ভূমিধস,# অরেঞ্জ অ্যালার্ট, #পর্যটন নিষেধাজ্ঞা,# সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি

কেরালায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি, নদীর পানি উপচে পড়ায় শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে

১১:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

কেরালার ইডুক্কি জেলায় টানা প্রবল বর্ষণে ফ্ল্যাশ ফ্লাড ও ভূমিধসের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) রবিবার জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন সব ধরনের পর্যটন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে, যাতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধ করা যায়।


পর্যটন কার্যক্রমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা

প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, ইডুক্কিতে সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন যেমন বোটিং, কায়াকিং, জিপ ট্রেকিং এবং অন্যান্য জলক্রীড়া কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহাড়ি বা ভূমিধসপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোনো পর্যটককে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।


নদীর পানি বৃদ্ধি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত

পেরিয়ার নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে ভান্ডিপেরিয়ার চন্দ্রবনম ও বিকাশ নগর এলাকায় সাতটি ঘর প্লাবিত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রশাসনের আশঙ্কা, মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়লে নিচু এলাকার আরও ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে যেতে পারে।


বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সতর্কতা

কেরালা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (KSDMA) পেরিয়ার নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের চরম সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়লে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম ও জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি

শুক্রবার রাত থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাদাধস, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে ভেল্লারামকুন্নু এলাকায় এক মোটরসাইকেলচালক কাদার স্তূপে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ায় সড়কপথে চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


প্লাবন ও উদ্ধার কার্যক্রম

কুমিলি, নেদুমকান্দম ও কাট্টাপানায় শুক্রবার রাতের প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বহু বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়। শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।


নদী ফুলে ওঠা ও যানবাহন ক্ষতি

কুট্টার নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় নেদুমকান্দম এলাকায় পার্ক করে রাখা একটি ভ্যান স্রোতে ভেসে যায়। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতে যানবাহনটি মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যায়।


ইডুক্কিতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা অব্যাহত থাকায় প্রশাসন জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় জনগণকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং বাঁধ, নদী ও পাহাড়ি ঢাল সংলগ্ন এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে। উদ্ধার দল ও স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।


ইডুক্কি#, কেরালা#, ফ্ল্যাশ ফ্লাড,# ভূমিধস,# অরেঞ্জ অ্যালার্ট, #পর্যটন নিষেধাজ্ঞা,# সারাক্ষণ রিপোর্ট