নীতি সংকেত ও কর্পোরেট সতর্কতা
নতুন নীতিগত বার্তা পাওয়ার পর চীনের শীর্ষ ইন্টারনেট ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠানগুলো ডলার-পেগড স্টেবলকয়েন আনার উদ্যোগ স্থগিত করেছে। যেসব ওয়ালেট ও সুপার-অ্যাপ দেশজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে সেবা দেয়, তারা পাইলট, অংশীদারিত্ব ও ডেভেলপমেন্ট টাস্ক থামিয়েছে বলে শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বেসরকারি টোকেন চালু হলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা ও শ্যাডো ব্যাংকিংয়ের সীমারেখা মিশে যাবে; রিজার্ভ, রিয়েল-টাইম অডিট, মানি-লন্ডারিং রিস্ক ও মূলধন নিয়ন্ত্রণ একসঙ্গে চাপে ফেলবে। একই সময়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল ইউয়ান বা e-CNY-কে উদ্ভাবনের প্রাথমিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জোর দিচ্ছে, যাতে প্রোগ্রামেবল পেমেন্ট, লক্ষ্যভিত্তিক ভর্তুকি বা ট্রাভেল রুল সরাসরি এমবেড করা যায়।
পেমেন্ট নেটওয়ার্কে প্রভাব ও সম্ভাব্য পথচিত্র
এ স্থগিতাদেশ এশিয়ার বৃহৎ ই-কমার্স, রেমিট্যান্স ও অফলাইন পেমেন্ট রেলে টোকেনাইজড ডলার সংযুক্তির গতি কমিয়ে দিল। ফলে কম খরচে ক্রস-বর্ডার সেটেলমেন্টের আশাও পিছোলো। অপরদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হলো; বেসরকারি স্টেবলকয়েনের বদলে e-CNY-কেন্দ্রিক ইকোসিস্টেম এগোবে। গ্লোবাল ক্রিপ্টো ফার্মগুলোর জন্য বার্তাটি দ্বিমুখী—দেশের ভেতরে দরজা প্রায় বন্ধ, বাইরে সীমিত প্রবেশ সম্ভব হলেও মেজর অ্যাপের ব্যাপক বিতরণ থাকবে না। বিনিয়োগ প্রবাহ তাই রিটেল টোকেনের বদলে ব্যাংক-সমর্থিত টোকেনাইজড ডিপোজিট, ট্রেড ফাইন্যান্স ও এন্টারপ্রাইজ ব্লকচেইনে সরে যেতে পারে। ভবিষ্যৎ অনেকটাই নীতিগত স্বচ্ছতার ওপর—রিজার্ভ রুল, কেওয়াইসি মান, সীমান্তপারের ফ্রেমওয়ার্ক নির্দিষ্ট হলে স্থগিত পাইলট ফের শুরু হতে পারে। ততদিন ডলার-পেগড টোকেনের বৃদ্ধি বেশি হবে সেসব বাজারে, যেখানে বিধিমালা স্পষ্ট; আর চীনে রাষ্ট্রনেতৃত্বাধীন মডেলই এগোবে।