০২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর শেষ অধ্যায়—নেটফ্লিক্সের মহাকাব্যিক সিরিজের অন্তরালের গল্প ‘হোয়েন দে বার্নড দ্য বাটারফ্লাই’—নারী গোপন সমাজের ইতিহাস ও আগুনের শক্তি নিয়ে ওয়েন–ই লির নতুন উপন্যাস মেগান লাউ—দর্শনশাস্ত্রের শিক্ষার্থী থেকে ‘হাউস অব ড্যান্সিং ওয়াটার’-এর আকাশচারী নায়িকা সুদানের জ্বালানি পুনর্গঠনে রাশিয়া—যুদ্ধোত্তর পুনরুদ্ধারে মস্কো প্রধান অংশীদার হতে পারে আফগানিস্তানে মাদকবিরোধী কঠোর অভিযান—আসক্তি, ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের নতুন বাস্তবতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩) অফিসে ফিরছে ওয়াই-টু-কে ফ্যাশন—জেন জেডের হাতে ড্রেস কোডের বদল মানসিক রোগের ভাইরাস কোথা থেকে আসছে হোক্কাইদোতে স্যামন রোর দাম চড়া—ধরা কম, খরচ বেশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

আফগানিস্তানে মাদকবিরোধী কঠোর অভিযান—আসক্তি, ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের নতুন বাস্তবতা

তালেবান সরকার কাবুলের রাস্তাঘাট, সেতু ও পার্ক থেকে মাদকাসক্তদের উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু শহরের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর বারান্দাবিহীন কক্ষের ভেতর এক ভিন্ন যুদ্ধ এখনো চলছেই—মাদকের নেশা ও হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই।


কাবুলের জঙ্গলাক কেন্দ্রের বাস্তবতা

সবুজ পোশাক পরা এক তরুণ নিজের গলায় থাকা তিনটি তারকা ট্যাটু দেখিয়ে গর্বের সঙ্গে বলেন, “এটাও ছবি তুলুন।” তার হাতে ছুরি আকৃতির ট্যাটু এবং আঙুলে লেখা ‘PJR’ — পাঞ্জশির প্রদেশের সংক্ষিপ্ত রূপ। কয়েক বছর আগে রাস্তার মারামারির দায়ে জেলে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই ট্যাটুগুলো করিয়েছিলেন। এখন তিনি আছেন কাবুলের জঙ্গলাক ড্রাগ ট্রিটমেন্ট সেন্টারে।

কক্ষে পাঁচজন রোগী—কেউ ১৫ বছর বয়সে মাদক নেওয়া শুরু করেছেন, কেউ চুরি বা ছোট অপরাধে জেলে গেছেন। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। কেউ ১৭ বছর ধরে নেশায় আসক্ত, কেউ মাত্র তিন বছর।

কেন শুরু করেছিলেন জানতে চাইলে তারা বলেন—বেকারত্ব, হতাশা, ভাঙা সম্পর্ক, ভুল বন্ধুত্ব, অশিক্ষা, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর নিরানন্দ গ্রামের জীবন। ব্যবহৃত মাদকের মধ্যে আছে গাঁজা, হেরোইন, আফিম, ক্রিস্টাল মেথ, কোকেন, প্রেগাবালিন এবং পাকিস্তানের খাইবার পাশের ‘কারখানা বাজার’ থেকে আসা ‘ট্যাবলেট কে’।


আফগানিস্তানের মাদক ইতিহাস

মধ্যযুগ থেকেই আফগানিস্তানে আফিম ব্যবহারের প্রচলন ছিল। মুঘল সম্রাট বাবরও আফিম গ্রহণ করতেন। পরবর্তীতে, যুদ্ধক্ষেত্রে মনোবল বাড়াতে আফিম ব্যবহার হতো। আধুনিক যুগে, বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসা না থাকায় দাঁতের ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত ব্যথানাশক হিসেবে আফিম ব্যবহৃত হতো।

RT

২০০০-এর দশকে এসে দেশজুড়ে মাদকাসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে আফিম উৎপাদন দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছায়। পরে, ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্তি-সম্পর্কিত মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে।


তালেবানের কঠোর অভিযান

২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান ব্যাপক মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে। প্রথমে তারা রাস্তায় থাকা আসক্তদের জোর করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এক হাজার শয্যার হাসপাতালগুলোতে তখন তিন হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসক ও ওষুধের সংকটে তারা ভুগছিল।

এক প্রাক্তন মাদকাসক্ত বলেন, “আমাদের খাবারও নেই”—এবং পকেট থেকে ঘাস বের করে চিবাতে শুরু করেন।

তবে কঠোর ব্যবস্থা কিছু ফল দিয়েছে—কাবুলের পার্কগুলো এখন পরিষ্কার, শিশুরা খেলছে, কিন্তু সমস্যার মূল শিকড় এখনও অমীমাংসিত।


ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা

জঙ্গলাক চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মনোবিজ্ঞানী ফাওয়াদ হামিদি বলেন, “সব আসক্তই নিরাশ নয়। যারা এক-দু’বার পোল-সোখতা ব্রিজ-এর নিচে গেছে, তারা কেবল দিশেহারা। তাদের দিকনির্দেশনা দরকার।”

চিকিৎসা বিনামূল্যে হওয়ায় অনেক রোগী স্বেচ্ছায় বা পরিবারের মাধ্যমে এখানে আসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক লেকচার ও লিফলেট বিতরণ করে। পাশাপাশি ধর্মীয় আলেমদেরও যুক্ত করা হয়েছে।

হাসপাতালের সভাপতি আবদুল কাদির দানিশমাল বলেন, “মোল্লারা খুতবায় মাদকবিরোধী বার্তা দেন, যা মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।”

বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচজন মোল্লা আছেন, যারা মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি রোগীদের নৈতিক সহায়তা দেন। কোরআন শরিফ হাসপাতালের লাইব্রেরিতে প্রধান স্থান দখল করে আছে, তার পাশেই রয়েছে ইংরেজি বই ‘Change Your Thinking, Change Your Life’।

চিকিৎসা প্রক্রিয়া ৪৫ দিনের—প্রথম ১৫ দিন ডিটক্সিফিকেশন, পরের ৩০ দিন পুনর্বাসন। ডিটক্সিফিকেশন ধাপটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এই সময়ে ডোপামিনের ঘাটতির ফলে হতাশা ও রাগ বেড়ে যায়।

RT

আর্থিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ

চিকিৎসা শেষে রোগীদের সাপ্তাহিক চেকআপে আসতে হয়, কিন্তু হাসপাতাল নিজেও দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ শুধু বেতন ও দৈনন্দিন খরচ মেটাতে যথেষ্ট, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ নেই।

এক চিকিৎসক বলেন, “হাতে গ্লাভস, স্যানিটাইজার, এমনকি সাবানও নেই।” আরেকজন জানান, তারা নিয়মিত বেতন পেলেও ১০,০০০ আফগানি (প্রায় ১৫০ ডলার) তাদের পরিশ্রমের তুলনায় নগণ্য।

তালেবান এপ্রিল ২০২২-এ আফিম চাষ নিষিদ্ধ করার পর সিনথেটিক মাদকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। হাসপাতালের কর্মীরা আন্তর্জাতিক কোনো প্রশিক্ষণ চার বছরেরও বেশি সময় পাননি, ফলে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে তাল মিলাতে পারছেন না।

এছাড়া সংক্রামক রোগীদের মধ্যে, যেমন টিবি, এইচআইভি, জন্য একটিই ওয়ার্ড রয়েছে। অনেকে হাসপাতালের ভেতরেও মাদক পাচারের চেষ্টা করে।

RT

আশার আলো

সব সংকটের মাঝেও হাসপাতালের ছোট বাগানে ফুটে আছে সাদা, নীল ও কমলা রঙের ফুল। চিকিৎসকেরা বলেন, “চোখের প্রশান্তির জন্য।” তারা নিজেদের অর্থে এই বাগান তৈরি করেছেন।

প্রধান চিকিৎসক বিদায় জানাতে জানাতে বলেন, “আমাদের হাতে যত কমই থাকুক, আমরা তবু চেষ্টা করি—কারণ জীবন এখনো বাঁচানো সম্ভব।”

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর শেষ অধ্যায়—নেটফ্লিক্সের মহাকাব্যিক সিরিজের অন্তরালের গল্প

আফগানিস্তানে মাদকবিরোধী কঠোর অভিযান—আসক্তি, ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের নতুন বাস্তবতা

১০:০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

তালেবান সরকার কাবুলের রাস্তাঘাট, সেতু ও পার্ক থেকে মাদকাসক্তদের উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু শহরের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর বারান্দাবিহীন কক্ষের ভেতর এক ভিন্ন যুদ্ধ এখনো চলছেই—মাদকের নেশা ও হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই।


কাবুলের জঙ্গলাক কেন্দ্রের বাস্তবতা

সবুজ পোশাক পরা এক তরুণ নিজের গলায় থাকা তিনটি তারকা ট্যাটু দেখিয়ে গর্বের সঙ্গে বলেন, “এটাও ছবি তুলুন।” তার হাতে ছুরি আকৃতির ট্যাটু এবং আঙুলে লেখা ‘PJR’ — পাঞ্জশির প্রদেশের সংক্ষিপ্ত রূপ। কয়েক বছর আগে রাস্তার মারামারির দায়ে জেলে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই ট্যাটুগুলো করিয়েছিলেন। এখন তিনি আছেন কাবুলের জঙ্গলাক ড্রাগ ট্রিটমেন্ট সেন্টারে।

কক্ষে পাঁচজন রোগী—কেউ ১৫ বছর বয়সে মাদক নেওয়া শুরু করেছেন, কেউ চুরি বা ছোট অপরাধে জেলে গেছেন। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। কেউ ১৭ বছর ধরে নেশায় আসক্ত, কেউ মাত্র তিন বছর।

কেন শুরু করেছিলেন জানতে চাইলে তারা বলেন—বেকারত্ব, হতাশা, ভাঙা সম্পর্ক, ভুল বন্ধুত্ব, অশিক্ষা, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর নিরানন্দ গ্রামের জীবন। ব্যবহৃত মাদকের মধ্যে আছে গাঁজা, হেরোইন, আফিম, ক্রিস্টাল মেথ, কোকেন, প্রেগাবালিন এবং পাকিস্তানের খাইবার পাশের ‘কারখানা বাজার’ থেকে আসা ‘ট্যাবলেট কে’।


আফগানিস্তানের মাদক ইতিহাস

মধ্যযুগ থেকেই আফগানিস্তানে আফিম ব্যবহারের প্রচলন ছিল। মুঘল সম্রাট বাবরও আফিম গ্রহণ করতেন। পরবর্তীতে, যুদ্ধক্ষেত্রে মনোবল বাড়াতে আফিম ব্যবহার হতো। আধুনিক যুগে, বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসা না থাকায় দাঁতের ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত ব্যথানাশক হিসেবে আফিম ব্যবহৃত হতো।

RT

২০০০-এর দশকে এসে দেশজুড়ে মাদকাসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে আফিম উৎপাদন দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছায়। পরে, ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্তি-সম্পর্কিত মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে।


তালেবানের কঠোর অভিযান

২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান ব্যাপক মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে। প্রথমে তারা রাস্তায় থাকা আসক্তদের জোর করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এক হাজার শয্যার হাসপাতালগুলোতে তখন তিন হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসক ও ওষুধের সংকটে তারা ভুগছিল।

এক প্রাক্তন মাদকাসক্ত বলেন, “আমাদের খাবারও নেই”—এবং পকেট থেকে ঘাস বের করে চিবাতে শুরু করেন।

তবে কঠোর ব্যবস্থা কিছু ফল দিয়েছে—কাবুলের পার্কগুলো এখন পরিষ্কার, শিশুরা খেলছে, কিন্তু সমস্যার মূল শিকড় এখনও অমীমাংসিত।


ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা

জঙ্গলাক চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মনোবিজ্ঞানী ফাওয়াদ হামিদি বলেন, “সব আসক্তই নিরাশ নয়। যারা এক-দু’বার পোল-সোখতা ব্রিজ-এর নিচে গেছে, তারা কেবল দিশেহারা। তাদের দিকনির্দেশনা দরকার।”

চিকিৎসা বিনামূল্যে হওয়ায় অনেক রোগী স্বেচ্ছায় বা পরিবারের মাধ্যমে এখানে আসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক লেকচার ও লিফলেট বিতরণ করে। পাশাপাশি ধর্মীয় আলেমদেরও যুক্ত করা হয়েছে।

হাসপাতালের সভাপতি আবদুল কাদির দানিশমাল বলেন, “মোল্লারা খুতবায় মাদকবিরোধী বার্তা দেন, যা মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।”

বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচজন মোল্লা আছেন, যারা মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি রোগীদের নৈতিক সহায়তা দেন। কোরআন শরিফ হাসপাতালের লাইব্রেরিতে প্রধান স্থান দখল করে আছে, তার পাশেই রয়েছে ইংরেজি বই ‘Change Your Thinking, Change Your Life’।

চিকিৎসা প্রক্রিয়া ৪৫ দিনের—প্রথম ১৫ দিন ডিটক্সিফিকেশন, পরের ৩০ দিন পুনর্বাসন। ডিটক্সিফিকেশন ধাপটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এই সময়ে ডোপামিনের ঘাটতির ফলে হতাশা ও রাগ বেড়ে যায়।

RT

আর্থিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ

চিকিৎসা শেষে রোগীদের সাপ্তাহিক চেকআপে আসতে হয়, কিন্তু হাসপাতাল নিজেও দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ শুধু বেতন ও দৈনন্দিন খরচ মেটাতে যথেষ্ট, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ নেই।

এক চিকিৎসক বলেন, “হাতে গ্লাভস, স্যানিটাইজার, এমনকি সাবানও নেই।” আরেকজন জানান, তারা নিয়মিত বেতন পেলেও ১০,০০০ আফগানি (প্রায় ১৫০ ডলার) তাদের পরিশ্রমের তুলনায় নগণ্য।

তালেবান এপ্রিল ২০২২-এ আফিম চাষ নিষিদ্ধ করার পর সিনথেটিক মাদকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। হাসপাতালের কর্মীরা আন্তর্জাতিক কোনো প্রশিক্ষণ চার বছরেরও বেশি সময় পাননি, ফলে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে তাল মিলাতে পারছেন না।

এছাড়া সংক্রামক রোগীদের মধ্যে, যেমন টিবি, এইচআইভি, জন্য একটিই ওয়ার্ড রয়েছে। অনেকে হাসপাতালের ভেতরেও মাদক পাচারের চেষ্টা করে।

RT

আশার আলো

সব সংকটের মাঝেও হাসপাতালের ছোট বাগানে ফুটে আছে সাদা, নীল ও কমলা রঙের ফুল। চিকিৎসকেরা বলেন, “চোখের প্রশান্তির জন্য।” তারা নিজেদের অর্থে এই বাগান তৈরি করেছেন।

প্রধান চিকিৎসক বিদায় জানাতে জানাতে বলেন, “আমাদের হাতে যত কমই থাকুক, আমরা তবু চেষ্টা করি—কারণ জীবন এখনো বাঁচানো সম্ভব।”