ব্লকের বার্তা ও রাজনৈতিক সংকেত
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন—ভ্লাদিমির পুতিনের হাঙ্গেরি সফরের সম্ভাবনা “ভালো না।” রাশিয়া নীতিতে সদস্যদের ভেতরের মতপার্থক্য তাই আবারও প্রকাশ্য। অধিকাংশ ইউরোপীয় রাজধানী যেখানে নিষেধাজ্ঞা কড়া করছে, বুদাপেস্ট সেখানে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা একজন নেতার সম্ভাব্য আতিথ্য ইইউর জন্য বিব্রতকর হবে—এমনটাই সদস্যদের শঙ্কা। ইউক্রেনকে সহায়তা, নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ও বাজেটের মতো ফাইলে এর প্রভাব পড়তে পারে।
বুদাপেস্টের যুক্তি ও জোটের চাপ
হাঙ্গেরির বক্তব্য—আলাপচারি বাস্তববাদী; জ্বালানি নিরাপত্তা, পারমাণবিক সহযোগিতা ও বন্দি বিনিময়েই ফোকাস। তারা এটাও বলছে, আইসিসি ওয়ারেন্ট কূটনৈতিক-আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞার বাইরের যোগাযোগে বাধা নয়। কিন্তু অন্যান্য সদস্য দেশ মনে করে—এ ধরনের ছবি বা অনুষ্ঠানে রাশিয়ারই সুবিধা হবে। বিশ্লেষকদের মতে, নজির তৈরি হওয়াই বড় ঝুঁকি; একজন নেতা পথ দেখালে জোটের সম্মিলিত অবস্থান দুর্বল হয়। সফর এগোলে কাউন্সিলের বৈঠকে কঠোর শব্দচয়ন ও বুদাপেস্টের কাঙ্ক্ষিত অন্যান্য ফাইলে (তহবিল, শিল্প প্রকল্প, অভিবাসন সহযোগিতা) নীরব দরকষাকষি—দুটোই বাড়তে পারে।