যুক্তি, প্রেক্ষাপট ও পাল্টা বক্তব্য
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি মতামত নিবন্ধ বলছে—তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতির সঙ্গে শুধু মিটিগেশন বা নির্গমন কমানো তাল মেলাতে পারছে না; তাই ‘অ্যাডাপ্টেশন’ বা অভিযোজনে বড় বিনিয়োগ জরুরি। গ্রিড-পোর্ট শক্তিশালীকরণ, বন্যা প্রতিরোধ, বিল্ডিং কোড সংস্কার, দুর্যোগ বীমায় প্রাক-অর্থায়ন—এসবকে লেখক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন। সমর্থকরা বলছেন—পরিকল্পিত অভিযোজনে ক্ষয়ক্ষতি কমবে; সমালোচকেরা আশঙ্কা করেন—অভিযোজনকে প্রাধান্য দিলে নির্গমন কমানোর তাগিদ শিথিল হতে পারে।
কীভাবে ভারসাম্য টানা যায়
অভিযোজন ব্যয়বহুল; খারাপ পরিকল্পনায় বৈষম্য বাড়তে পারে—দামি এলাকায় সী-ওয়াল, বাকি পাড়ায় পানি। সমাধান হিসেবে বিশেষজ্ঞরা ‘কো-বেনিফিট’ প্রকল্পের কথা বলেন—শহরে গাছপালা ও ছায়া, পানি শোষণকারী রাস্তা, এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য ট্রান্সমিশন আপগ্রেড—যা নির্ভরযোগ্যতাও বাড়ায়। মূল চ্যালেঞ্জ—নিকটমেয়াদি সুরক্ষা দ্রুততর করা, আবার ২০৩০–৪০ লক্ষ্য রেখে ডিকার্বনাইজেশন চালিয়ে যাওয়া। কে অর্থ দেবে, কোন সম্পদ অগ্রাধিকার পাবে, বাজেটে ‘এভয়েডেড লস’ কীভাবে ধরা হবে—এগুলোই আগামী জলবায়ু রাজনীতির কেন্দ্র।