১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
বিলি আইলিশের ২০২৬ বিশ্ব ট্যুর ঘোষণা—নতুন অ্যালবামের আগে স্টেডিয়ামে AWS বিভ্রাট দেখালো ইন্টারনেটের ভঙ্গুরতা ভনসালির ‘হীরামন্ডি ২’-তে ফিরছেন দীপিকা ও রণবীর” যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনায় রাশিয়া ইস্যুতে নতুন বার্তা চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ঢাকার শেয়ারবাজারে শাহজাহানপুরে রেললাইনের পাশে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা — যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানির শুল্ক কমে আসতে পারে ১৫–১৬ শতাংশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও যৌন হয়রানির অভিযোগে বুয়েট শিক্ষার্থী সৃশান্ত রায় গ্রেপ্তার উন্নয়ন অর্জনের পর কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ: আইসিসিবি নরসিংদীর হাজি টেক্সটাইল মিলে অগ্নিকাণ্ড—মূল্যবান তুলা ও কাপড় পুড়ে ছাই

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনায় রাশিয়া ইস্যুতে নতুন বার্তা

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক, যেখানে শক্তি খাত ও রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ও গুরুত্ব পেয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা সীমিত করবে।


বাণিজ্য আলোচনাই ছিল কেন্দ্রবিন্দু

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, তবে মূলত বাণিজ্য নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে শুল্কনীতি ও আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে ভারতের তেল আমদানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।


রাশিয়ার তেল কেনা সীমিত করবে ভারত

ট্রাম্প জানান, আলোচনায় শক্তি খাতও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভাষায়, “মোদি বলেছেন, তিনি রাশিয়া থেকে খুব বেশি তেল কিনবেন না। তিনিও চান যুদ্ধের অবসান হোক, যেমনটা আমি চাই।”

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে ভারতের, শুল্ক নেমে আসবে ১৫-১৬ শতাংশে
ভারত ও চীন বর্তমানে রাশিয়ার সমুদ্রপথে তেল রপ্তানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তাই রাশিয়ার তেল ক্রয় কমানো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন চাপ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। এর লক্ষ্য হলো ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে উৎসাহিত করা এবং একই সঙ্গে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা চাই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। ভারতও সেই একই অবস্থানে রয়েছে।”


বিশ্লেষণ

এই ফোনালাপকে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও মোদির কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়াস দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক জ্বালানি সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা নয়াদিল্লির জন্য বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ট্রাম্প-মোদির সাম্প্রতিক আলোচনা শুধু বাণিজ্য নয়, বরং ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। রাশিয়া, ইউক্রেন ও এশীয় জ্বালানি বাজারে এই আলোচনার প্রভাব আগামী মাসগুলোতে আরও স্পষ্ট হবে।

# ভারত_মার্কিন_সম্পর্ক, রাশিয়া_তেল, ট্রাম্প, নরেন্দ্র_মোদি, ইউক্রেন_যুদ্ধ, বাণিজ্য_নীতি, সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বিলি আইলিশের ২০২৬ বিশ্ব ট্যুর ঘোষণা—নতুন অ্যালবামের আগে স্টেডিয়ামে

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত আলোচনায় রাশিয়া ইস্যুতে নতুন বার্তা

০৮:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক, যেখানে শক্তি খাত ও রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ও গুরুত্ব পেয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা সীমিত করবে।


বাণিজ্য আলোচনাই ছিল কেন্দ্রবিন্দু

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, তবে মূলত বাণিজ্য নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে শুল্কনীতি ও আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে ভারতের তেল আমদানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।


রাশিয়ার তেল কেনা সীমিত করবে ভারত

ট্রাম্প জানান, আলোচনায় শক্তি খাতও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভাষায়, “মোদি বলেছেন, তিনি রাশিয়া থেকে খুব বেশি তেল কিনবেন না। তিনিও চান যুদ্ধের অবসান হোক, যেমনটা আমি চাই।”

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে ভারতের, শুল্ক নেমে আসবে ১৫-১৬ শতাংশে
ভারত ও চীন বর্তমানে রাশিয়ার সমুদ্রপথে তেল রপ্তানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তাই রাশিয়ার তেল ক্রয় কমানো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন চাপ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। এর লক্ষ্য হলো ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে উৎসাহিত করা এবং একই সঙ্গে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা চাই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। ভারতও সেই একই অবস্থানে রয়েছে।”


বিশ্লেষণ

এই ফোনালাপকে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও মোদির কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়াস দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক জ্বালানি সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা নয়াদিল্লির জন্য বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ট্রাম্প-মোদির সাম্প্রতিক আলোচনা শুধু বাণিজ্য নয়, বরং ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। রাশিয়া, ইউক্রেন ও এশীয় জ্বালানি বাজারে এই আলোচনার প্রভাব আগামী মাসগুলোতে আরও স্পষ্ট হবে।

# ভারত_মার্কিন_সম্পর্ক, রাশিয়া_তেল, ট্রাম্প, নরেন্দ্র_মোদি, ইউক্রেন_যুদ্ধ, বাণিজ্য_নীতি, সারাক্ষণ_রিপোর্ট