সময়সূচি ও নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জ
টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, বছরের শেষ নাগাদ কোম্পানিটি রোবোট্যাক্সিতে মানব ‘সেফটি মনিটর’ বাদ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৮–১০টি বাজারে যাত্রা শুরুর পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। কেবল ক্যামেরাভিত্তিক এন্ড-টু-এন্ড নিউরাল নেটওয়ার্ককে ভরসা করে টেসলার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরও স্পষ্ট হলো। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর শর্ত কড়া—জটিল মোড়, জরুরি যান, নির্মাণকাজ বা হঠাৎ প্রতিবন্ধকতার মতো ‘এজ কেস’ সামাল দেওয়ার প্রমাণ চাই। বীমা খাতও দায়–দায়িত্ব ও ঘটনার মানসম্মত রিপোর্টিংয়ে নিশ্চয়তা চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, টেসলার সামনে তিনটি তাত্ক্ষণিক পরীক্ষা—নিরাপত্তা যাচাইয়ের পর্যাপ্ত ডেটা, দায়বদ্ধতার কাঠামো ও বীমা কভারেজের স্বচ্ছতা, এবং চালক—বিহীন মডেলে টেকসই ইউনিট–ইকোনমিক্স। কিছু শহর স্বাধীন নিরাপত্তা অডিটের আগে রোবোট্যাক্সি সীমিত রাখছে। শ্রম সংগঠনগুলো সম্ভাব্য কর্মসংস্থান–প্রভাব নজরে রাখছে; বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার দাবিও জোরালো। মাস্কের সময়সীমা পূরণ হলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়তে পারে; ব্যর্থ হলে ক্যামেরা–নির্ভর স্বচালিত পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক জোরদার হবে। সামনের কয়েক প্রান্তিকেই নির্ধারিত হবে অনুমোদন, জনবিশ্বাস ও ব্যবসায়িক যুক্তির ভাগ্য।