বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত বা মহামারির মতো সংকটময় সময়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক জরুরি সহায়তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এসব পরিস্থিতিতে মানসিক সুস্থতা প্রায়ই উপেক্ষিত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তির ও সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনার
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার আহসানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের অধীনে পরিচালিত ‘মনোজত্ন আউটডোর কাউন্সেলিং সেন্টার’ এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল—“সেবায় প্রবেশাধিকার: বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য।”
আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহসানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক এবং আন্তর্জাতিক আসক্তি বিশেষজ্ঞ ইকবাল মাসুদ।
অংশগ্রহণকারীরা ও তাদের মতামত
ওয়েবিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সাইকোথেরাপি উইংয়ের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন,
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান গবেষক নুসরাত শারমিন,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আবাসিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রাহানুল ইসলাম,
এবং ঢাকা আহসানিয়া মিশনের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট ও মনোজত্ন কেন্দ্রের ফোকাল পারসন রাখি গাঙ্গুলি।
জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা অপরিহার্য
বক্তারা বলেন, দুর্যোগ, সংঘাত কিংবা মহামারির মতো সংকটে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
এতে সময়মতো সহায়তা প্রদান সম্ভব হয়, যা পরবর্তীকালে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক ক্ষতি কমাতে সহায়তা করে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, সংকট শুধু শারীরিক বা সামাজিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে না; মানসিক অবস্থাতেও গভীর প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও যত্নের ক্ষেত্রে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন—যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, সেবাদাতা ও প্রত্যক্ষদর্শী সবাই সহায়তা পায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় শারীরিক নিরাপত্তার পাশাপাশি মানসিক সহায়তাও সমান গুরুত্ব পেতে হবে।
# মানসিক_স্বাস্থ্য, দুর্যোগ_ব্যবস্থাপনা, বিশ্ব_মানসিক_স্বাস্থ্য_দিবস, আহসানিয়া_মিশন, সংকটকালীন_সহায়তা, সারাক্ষণ_রিপোর্ট