০১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
বগুড়ায় মাদকপাচার ও এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত সিলেট সীমান্তে বিপুল চোরাচালান আটক — এক দিনে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ঢাকায় গ্রেপ্তার ফেনীর যুবদল কর্মী — ব্যবসায়ীকে মারধর ও পাঁচ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ রংপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা—ট্রাক্টরের ধাক্কায় অটোভ্যান দুমড়ে দুইজন নিহত, আহত পাঁচ কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’: প্রশংসায় ভাসলেও কেন বক্স অফিসে ব্যর্থ পল টমাস অ্যান্ডারসনের নতুন ছবি উপদেষ্টাদের ‘পক্ষপাত’ নিয়ে কোন দলের কী অবস্থান চীনে অবিবাহিত সন্তানদের জন্য পাত্র-পাত্রীর খোঁজে প্রবীণদের ভিড়—‘বিবাহবাজার’ হয়ে উঠেছে পার্ক নাসার সঙ্গে স্পেসএক্সের চাঁদ মিশনে অনিশ্চয়তা—এলন মাস্কের তীব্র আক্রমণ শন ডাফির বিরুদ্ধে কেভিন পার্কারের নতুন অ্যালবাম ‘ডেডবিট’: প্রযুক্তিগত পরিপূর্ণতায় হারিয়ে যাওয়া মানবিক স্পর্শ

উপদেষ্টাদের ‘পক্ষপাত’ নিয়ে কোন দলের কী অবস্থান

সমকালের একটি শিরোনাম “উপদেষ্টাদের ‘পক্ষপাত’ নিয়ে কোন দলের কী অবস্থান”

‘অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতের’ অভিযোগ এনে নির্বাচনের আগে তাদের সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত মঙ্গল ও বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে দলগুলো নিজের অবস্থান তুলে ধরে এ আহ্বান জানায়। পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত সরকারকে শিগগির তত্ত্বাবধায়কের মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো প্রশাসন এবং উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে।

এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা প্রকাশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সংশোধন না হলে পক্ষপাতে জড়িত উপদেষ্টাদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে জামায়াত।

গত মঙ্গলবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে তাদের আপত্তি জানায়। দলটির ভাষ্য, ওইসব উপদেষ্টাকে সরানো না হলে সরকারের অবস্থান নিরপেক্ষ হবে না এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা কঠিন হবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি। আর ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।

এ ছাড়া বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার কথাও কমিশনকে বলেছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। আলোচনার টকিং পয়েন্ট হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ যদিও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাব সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।

সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের এবারের ভোটের প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

আর ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনাসহ দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া হয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন কে?”

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে সংস্থাটির পরবর্তী মহাসচিব কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত জোরালোভাবে তিনজন প্রার্থীর নাম আলোচনায় আছে। এছাড়া আরো কয়েকজনের সম্ভাবনা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ, যার মধ্যে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অবশ্য বলছে, জাতিসংঘ মহাসচিব পদে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি রিউমার। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু না থাকলেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম আলোচনায় থাকার বিষয়টি পুরনো এবং তার নাম আলোচনায় আসা অস্বাভাবিক নয়।

জানা গেছে, জাতিসংঘ মহাসচিব পদের প্রার্থী নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ শুরু হবে। সেই হিসাবে সাধারণ পরিষদের সর্বশেষ তথা ৮০তম অধিবেশন থেকেই নতুন মহাসচিব নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নামও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে এমন আন্তর্জাতিক প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইনগুলোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মহাসচিব পদে জোরালোভাবে যে তিনজনের নাম প্রকাশ্যে এসেছে তারা হলেন—চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলে, আর্জেন্টিনার নাগরিক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি এবং কোস্টারিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই সনদ নিয়ে আইনি ভিত্তির আদেশের চিন্তা”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও এর আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সনদে স্বাক্ষর করেছে ২৫টি রাজনৈতিক দল, তবে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেলে সই করবে না বলে আগেই জানিয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সে সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর এনসিপি সনদ স্বাক্ষর করবে। এক্ষেত্রে জুলাই সনদ নিয়ে একটি সাংবিধানিক আদেশের কথা জানিয়েছে তারা। যে আদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে জারি করবেন এমনটা দাবি দলটির। সূত্র বলছে, এনসিপিকে সনদে সই করাতে সরকারের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জামায়াতসহ অন্য দলগুলো যে আইনি ভিত্তির দাবির কথা বলছে তা বিবেচনায় নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই দাবি পূরণে সনদের আইনি ভিত্তি দিতে একটি আদেশ জারির বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এই আদেশের একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দেয়া হতে পারে।

সূত্র বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)’। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গত ১৭ই অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে। পরে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম। তবে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ এখনো সই করেনি। এদিকে, জুলাই সনদে সই করলেও মাঠে পিআর ও সনদের বাস্তবায়নে ভিত্তি এবং বিশেষ আদেশে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরব জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন না করলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের মৌলিক ভিত্তি। এটি আগে হওয়া জরুরি। একদিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হবে। নভেম্বরের শেষ দিকে গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপি বলছে, সরকারপ্রধানের আইন জারি করার কোনো রাইট আমাদের কনস্টিটিউশনে নেই। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে মনে সুখ পাওয়ার মতো কোনো প্রস্তাব না দেয়।

সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কিনা, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কিনা, এমন প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কিনা। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় মাদকপাচার ও এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত

উপদেষ্টাদের ‘পক্ষপাত’ নিয়ে কোন দলের কী অবস্থান

০৮:৩৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “উপদেষ্টাদের ‘পক্ষপাত’ নিয়ে কোন দলের কী অবস্থান”

‘অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতের’ অভিযোগ এনে নির্বাচনের আগে তাদের সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত মঙ্গল ও বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে দলগুলো নিজের অবস্থান তুলে ধরে এ আহ্বান জানায়। পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত সরকারকে শিগগির তত্ত্বাবধায়কের মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো প্রশাসন এবং উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে।

এর আগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা প্রকাশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সংশোধন না হলে পক্ষপাতে জড়িত উপদেষ্টাদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে জামায়াত।

গত মঙ্গলবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে তাদের আপত্তি জানায়। দলটির ভাষ্য, ওইসব উপদেষ্টাকে সরানো না হলে সরকারের অবস্থান নিরপেক্ষ হবে না এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা কঠিন হবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”ভোটের সাত দিন আগেই কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি। আর ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।

এ ছাড়া বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার কথাও কমিশনকে বলেছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। আলোচনার টকিং পয়েন্ট হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ যদিও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাব সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।

সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের এবারের ভোটের প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

আর ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনাসহ দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া হয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন কে?”

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে সংস্থাটির পরবর্তী মহাসচিব কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত জোরালোভাবে তিনজন প্রার্থীর নাম আলোচনায় আছে। এছাড়া আরো কয়েকজনের সম্ভাবনা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ, যার মধ্যে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অবশ্য বলছে, জাতিসংঘ মহাসচিব পদে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি রিউমার। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু না থাকলেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম আলোচনায় থাকার বিষয়টি পুরনো এবং তার নাম আলোচনায় আসা অস্বাভাবিক নয়।

জানা গেছে, জাতিসংঘ মহাসচিব পদের প্রার্থী নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ শুরু হবে। সেই হিসাবে সাধারণ পরিষদের সর্বশেষ তথা ৮০তম অধিবেশন থেকেই নতুন মহাসচিব নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নামও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তি এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে এমন আন্তর্জাতিক প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইনগুলোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মহাসচিব পদে জোরালোভাবে যে তিনজনের নাম প্রকাশ্যে এসেছে তারা হলেন—চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলে, আর্জেন্টিনার নাগরিক ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি এবং কোস্টারিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই সনদ নিয়ে আইনি ভিত্তির আদেশের চিন্তা”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও এর আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সনদে স্বাক্ষর করেছে ২৫টি রাজনৈতিক দল, তবে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেলে সই করবে না বলে আগেই জানিয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সে সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর এনসিপি সনদ স্বাক্ষর করবে। এক্ষেত্রে জুলাই সনদ নিয়ে একটি সাংবিধানিক আদেশের কথা জানিয়েছে তারা। যে আদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে জারি করবেন এমনটা দাবি দলটির। সূত্র বলছে, এনসিপিকে সনদে সই করাতে সরকারের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জামায়াতসহ অন্য দলগুলো যে আইনি ভিত্তির দাবির কথা বলছে তা বিবেচনায় নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই দাবি পূরণে সনদের আইনি ভিত্তি দিতে একটি আদেশ জারির বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এই আদেশের একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দেয়া হতে পারে।

সূত্র বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)’। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গত ১৭ই অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে। পরে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম। তবে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ এখনো সই করেনি। এদিকে, জুলাই সনদে সই করলেও মাঠে পিআর ও সনদের বাস্তবায়নে ভিত্তি এবং বিশেষ আদেশে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরব জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন না করলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের মৌলিক ভিত্তি। এটি আগে হওয়া জরুরি। একদিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হবে। নভেম্বরের শেষ দিকে গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপি বলছে, সরকারপ্রধানের আইন জারি করার কোনো রাইট আমাদের কনস্টিটিউশনে নেই। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে মনে সুখ পাওয়ার মতো কোনো প্রস্তাব না দেয়।

সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কিনা, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কিনা, এমন প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কিনা। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।