মিশিগান জীবনের প্রথম বছরগুলোতে, নিজেকে- স্ট্র্যাটেজিস্টদের স্ট্র্যাটেজিক চিন্তাধারার যুক্তিগুলোর সমালোচনা ও ত্রুটিনির্দেশ করার মধ্যে।
প্রফেসর সরদার ফজলুল করিম দর্শনশাস্ত্রের উপর বাংলাভাষায় কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। এ তাছাড়াও, তিনি প্ল্যাটো, অ্যারিস্টোটল, রুশো এবং অ্যাঙ্গেলস-য়ের রচনা বাংলায় অনুবাদ করেন। তিনি স্বাধীনতা পদক এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।১৯৫৭ সালে প্রফেসর করিম সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন; তাঁরা এক কন্যা ও দুই পুত্রের জনকজননী।

প্রফেসর সংসার ফজলুল করিম।
২০১৪ সালের ১৫ জুন প্রফেসর করিম প্রয়াত হন।ঢাকার কুর্মিটোলা থেকে আনাতোল র্যাপাপোর্ট (Anatol Rapoporn) দে ফিরে আসার পরে, প্রথমে সংক্ষিপ্ত কালের জন্য ইলিনয় ইনস্টিউট অব টেকনোলজিতে গণিত বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কমিটি অব ম্যাথেমেটিকেল বায়োলজি’তে যোগদান করেন। শিক্ষক-গবেষক বুদ্ধিজীবি আনাতোল একদিকে যেমন গণিত-গবেষণায় ‘ব্রেকন্তু’ বা প্রধান সাফল্য অর্জন করেন, তেমনি আবার শান্তির জন্য বিজ্ঞান এবং মানব-সমাজের কল্যাণ সম্পৃক্ত বিষয়ে বিজ্ঞানির গুরুদায়িত্ব প্রমোশনে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।
১৯৫৪ সালে আনাতোল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথেমেটিকেল বায়োলজির প্রফেসর থাকাকালে যুদ্ধ-বিরোধি প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন এবং ভিয়েতনাম-যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে সক্রিয় হন। তাঁর নিজের ভাষায়: “মিশিগান জীবনের প্রথম বছরগুলোতে, নিজেকে- স্ট্র্যাটেজিস্টদের স্ট্র্যাটেজিক চিন্তাধারার যুক্তিগুলোর সমালোচনা ও ত্রুটিনির্দেশ করার মধ্যে। সীমিত রাখা আমার জন্য কষ্টকর ছিল; যুক্তরাষ্ট্র যখন উত্তর ভিয়েতনামে বোমাবর্ষণ শুরু করল, সূচনা করল দশ বছর মেয়াদের বীভৎস পৈশাচিক ধ্বংসযজ্ঞ এগুলোর সঙ্গে জড়িত নীতিবোধ ও নৈতিকতা এবং আবেগ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোকে বর্জন করে পাশ কাটানো চলে না, যায় না।”
(চলবে)
নাঈম হক 

















