নানবাইরা রুটির মধ্যে বাকরখানি, শিরমল পাঞ্জাকাশ, নানখাতা, কুলি পরটা, এমনকি পরবর্তীকালে পাউরুটিও বানাতেন।
নটরডেম কলেজ
ঢাকার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীবাজারে সেন্ট গ্রেগরী স্কুল। এই স্কুলের কলেজ শাখা স্থাপিত হয় ১৯৪৯ সালে, নাম দেয়া হয় সেন্ট গ্রেগরী কলেজ।ক্যাথলিক পরিচালিত প্রথম কলেজ। স্কুলেই কলেজের ক্লাশ শুরু হয়। অবশ্য এক বছর পর তা অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে বর্তমান জায়গায় কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। নটরডেম কলেজ কংগ্রেগেশন অফ হলিক্রস, সোসাইট অফ প্রিস্টস দ্বারা পরিচালিত হয় কলেজটি।

নটরডেম কলেজ
নয়ন সুখ
মুঘল আমলে ঢাকায় তৈরি হতো এক ধরনের মসলিন, নাম নয়ন সুখ। অর্থাৎ যা দেখে চোখেও সুখ। মসলিনের নানা নামের মধ্যে এ নামটিই বোধ হয় শুধু বাংলায়। নয়ন সুখ সাধারণত ব্যবহার করা হতো গলাবদ্ধ রুমাল হিসেবে। নয়ন সুখ-এর একেকটি টুকরো ছিল লম্বা বিশ গজ ও চওড়ায় এক গজ।
নাখখাস
পুরনো নাখখাস এলাকাটির নাম পাওয়া যায়। হাকিম হাবিবুর রহমানের লেখায়। নাখখাস হচ্ছে দাস বাজার। ঢাকায়তো একসময় দাস কেনাবেচা হতো। যেখানে তা হতো তাই নাখখাস। পুরনো নাখখাস অনেকের মতে ছিল বর্তমান কার্জন হল, শিশু একাডেমি, বিজ্ঞান লাইব্রেরির মাঝের রাস্তাটুকু। চকবাজারেও বিক্রি হতো দাস।
নানবাই
নানবাইরা রুটি ও মাংসের খাবার বানাতেন। শুধু তাই নয় লোকের বাড়িতে নানা ধরনের খাবার সরবরাহ বা ভোজের আয়োজন করে দিতেন। বর্তমান ‘ক্যাটারার’দের মতো। এদের দোকানেও খাওয়ার বন্দোবস্ত ছিল।
নানবাইরা রুটির মধ্যে বাকরখানি, শিরমল পাঞ্জাকাশ, নানখাতা, কুলি পরটা, এমনকি পরবর্তীকালে পাউরুটিও বানাতেন। আর মাংসের খাবারের মধ্যে তৈরি করতেন কাবাবি রোস্ট, ঘিয়ে ভাজা মাংসের কিমা, কালিয়া, কোরমা ও দো-পিঁয়াজা।’
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 

















