১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’-এ অশালীনতা ও রক্ষণশীলতার মিশেল—আমেরিকার সাংস্কৃতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫২) পরবর্তী পাঁচ বছরে ঘরোয়া ভোগব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি চীনের ভয়াবহ এক আত্মজীবনী—যৌন নির্যাতন, ক্ষমতার অন্ধকার এবং এক নারীর করুণ লড়াইয়ের কাহিনি চীনের নারী দর্শকশক্তি বদলে দিচ্ছে দেশটির চলচ্চিত্রজগৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৫) ঢাকার অর্থনীতির ৫৬ শতাংশ উৎপাদন খাতে—ডিসিসিআই প্রতিবেদন শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশ এশিয়া সফরে ট্রাম্প—চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে বড় বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা ইসলামাবাদ–কাবুল দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু

জিরো এমিশন ব্লক গড়তে চায় জাপান: টাকাইচির প্রথম বিদেশ সফরেই জলবায়ু এজেন্ডা

*আসিয়ান মঞ্চে জ্বালানি রূপান্তরের প্রস্তাব*
জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে টাকাইচি মালয়েশিয়ায় তার প্রথম কূটনৈতিক সফরে যাচ্ছেন এবং সেখানেই এশিয়া জিরো এমিশন কমিউনিটি নামে এক আঞ্চলিক জোটের বার্তা দিচ্ছেন। টোকিও বলছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য কার্বন নির্গমন কমানো, পরিষ্কার জ্বালানি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া এবং জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়মিত করা। ভাষ্যটি ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তবমুখী: কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল শিল্প অর্থনীতিগুলোকে একধাক্কায় “সবুজ” চাপে ফেলা নয়, বরং ধাপে ধাপে জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানো ও কম-কার্বন জ্বালানিতে সরে যাওয়া।
এশিয়ার বিদ্যুৎ চাহিদা এখনও দ্রুত বাড়ছে, ফলে সরাসরি কয়লা ত্যাগ করা কঠিন। জাপান নিজেও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা ও শিল্প প্রতিযোগিতা নিয়ে চাপের মধ্যে আছে। তাই টোকিও নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির করছে—তারা বলছে, জ্বালানি রূপান্তর শুধু পরিবেশের দায় নয়; এটা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও দামের পূর্বানুমান নিশ্চিত করার কৌশল। এইভাবে জলবায়ু নীতি ও জ্বালানি নিরাপত্তাকে একই প্যাকেজে বেঁধে টাকাইচি নিজেকে প্রথম দিন থেকেই একজন আঞ্চলিক খেলোয়াড় হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন।

*রাজনীতি, বিশ্বাসযোগ্যতা ও অর্থের প্রশ্ন*
তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো বারবার বলেছে, তাদেরকে কাঠোর শর্ত দিয়ে কয়লা ছাড়তে বলা হলে চলবে না যদি না প্রযুক্তি ও অর্থ সহায়তা স্পষ্টভাবে টেবিলে থাকে। জাপান দীর্ঘদিন ধরে “ট্রানজিশন ফুয়েল”, বিশেষ করে অ্যামোনিয়া মিশ্রিত কয়লা জ্বালানি, তুলে ধরে এসেছে। সমালোচকেরা বলেন, এতে পুরোনো প্ল্যান্টগুলো নতুন নাম পেয়েও টিকে যেতে পারে, প্রকৃত নির্গমন হ্রাস সীমিত থাকে। এখন টাকাইচিকে প্রমাণ করতে হবে যে “এশিয়া জিরো এমিশন কমিউনিটি” আসলেই নির্গমন কমাবে, কেবল রিব্র্যান্ডিং নয়।
একই সঙ্গে এটি টাকাইচির ঘরোয়া পরীক্ষাও। তিনি মাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন, আর এখনই তাকে দেখাতে হচ্ছে যে জাপান জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না ফেলে অঞ্চলকে জলবায়ু সহযোগিতার পথে টানতে পারে। সফল হলে তিনি বলতে পারবেন, জাপান বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো দিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্যর্থ হলে সমালোচকেরা তাঁকে একযোগে অভিযুক্ত করবে—কেউ বলবে তিনি জলবায়ুতে নরম, কেউ বলবে তিনি শিল্পে ঝুঁকি তুলেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’-এ অশালীনতা ও রক্ষণশীলতার মিশেল—আমেরিকার সাংস্কৃতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি

জিরো এমিশন ব্লক গড়তে চায় জাপান: টাকাইচির প্রথম বিদেশ সফরেই জলবায়ু এজেন্ডা

০৮:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

*আসিয়ান মঞ্চে জ্বালানি রূপান্তরের প্রস্তাব*
জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে টাকাইচি মালয়েশিয়ায় তার প্রথম কূটনৈতিক সফরে যাচ্ছেন এবং সেখানেই এশিয়া জিরো এমিশন কমিউনিটি নামে এক আঞ্চলিক জোটের বার্তা দিচ্ছেন। টোকিও বলছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য কার্বন নির্গমন কমানো, পরিষ্কার জ্বালানি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া এবং জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়মিত করা। ভাষ্যটি ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তবমুখী: কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল শিল্প অর্থনীতিগুলোকে একধাক্কায় “সবুজ” চাপে ফেলা নয়, বরং ধাপে ধাপে জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানো ও কম-কার্বন জ্বালানিতে সরে যাওয়া।
এশিয়ার বিদ্যুৎ চাহিদা এখনও দ্রুত বাড়ছে, ফলে সরাসরি কয়লা ত্যাগ করা কঠিন। জাপান নিজেও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা ও শিল্প প্রতিযোগিতা নিয়ে চাপের মধ্যে আছে। তাই টোকিও নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির করছে—তারা বলছে, জ্বালানি রূপান্তর শুধু পরিবেশের দায় নয়; এটা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও দামের পূর্বানুমান নিশ্চিত করার কৌশল। এইভাবে জলবায়ু নীতি ও জ্বালানি নিরাপত্তাকে একই প্যাকেজে বেঁধে টাকাইচি নিজেকে প্রথম দিন থেকেই একজন আঞ্চলিক খেলোয়াড় হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন।

*রাজনীতি, বিশ্বাসযোগ্যতা ও অর্থের প্রশ্ন*
তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো বারবার বলেছে, তাদেরকে কাঠোর শর্ত দিয়ে কয়লা ছাড়তে বলা হলে চলবে না যদি না প্রযুক্তি ও অর্থ সহায়তা স্পষ্টভাবে টেবিলে থাকে। জাপান দীর্ঘদিন ধরে “ট্রানজিশন ফুয়েল”, বিশেষ করে অ্যামোনিয়া মিশ্রিত কয়লা জ্বালানি, তুলে ধরে এসেছে। সমালোচকেরা বলেন, এতে পুরোনো প্ল্যান্টগুলো নতুন নাম পেয়েও টিকে যেতে পারে, প্রকৃত নির্গমন হ্রাস সীমিত থাকে। এখন টাকাইচিকে প্রমাণ করতে হবে যে “এশিয়া জিরো এমিশন কমিউনিটি” আসলেই নির্গমন কমাবে, কেবল রিব্র্যান্ডিং নয়।
একই সঙ্গে এটি টাকাইচির ঘরোয়া পরীক্ষাও। তিনি মাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন, আর এখনই তাকে দেখাতে হচ্ছে যে জাপান জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না ফেলে অঞ্চলকে জলবায়ু সহযোগিতার পথে টানতে পারে। সফল হলে তিনি বলতে পারবেন, জাপান বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো দিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্যর্থ হলে সমালোচকেরা তাঁকে একযোগে অভিযুক্ত করবে—কেউ বলবে তিনি জলবায়ুতে নরম, কেউ বলবে তিনি শিল্পে ঝুঁকি তুলেছেন।