০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
কিশোরদের এআই চ্যাট সীমাবোধে নতুন সুইচ দিল মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানসিক সান্ত্বনার নতুন সহচর নাকি কেবল যান্ত্রিক প্রতিফলন? ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’-এ অশালীনতা ও রক্ষণশীলতার মিশেল—আমেরিকার সাংস্কৃতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫২) পরবর্তী পাঁচ বছরে ঘরোয়া ভোগব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি চীনের ভয়াবহ এক আত্মজীবনী—যৌন নির্যাতন, ক্ষমতার অন্ধকার এবং এক নারীর করুণ লড়াইয়ের কাহিনি চীনের নারী দর্শকশক্তি বদলে দিচ্ছে দেশটির চলচ্চিত্রজগৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৫) ঢাকার অর্থনীতির ৫৬ শতাংশ উৎপাদন খাতে—ডিসিসিআই প্রতিবেদন শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশ

ইসলামাবাদ–কাবুল দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু

ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শুরু

শনিবার ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসলামাবাদ এ বৈঠকে আফগান তালেবান কর্তৃক সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসী হামলা রোধে কার্যকর ও ‘যাচাইযোগ্য’ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গঠনের প্রস্তাব তুলতে চায়।

এই বৈঠকটি কাতার ও তুরস্কের যৌথ মধ্যস্থতায় গত ১৮–১৯ অক্টোবর দোহায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফা সংলাপের পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দোহা বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী অস্ত্রবিরতিতে রূপ নেয় এবং স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে ইস্তাম্বুলে পুনরায় বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।


দোহা থেকে ইস্তাম্বুল: শান্তির নতুন ধাপ

দোহা সংলাপের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে একটি রাজনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল। এবার ইস্তাম্বুল বৈঠকে সে অগ্রগতিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—যেখানে ‘সীমান্ত অতিক্রম করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ কীভাবে সংজ্ঞায়িত হবে, লঙ্ঘন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া কী হবে এবং বিবাদ মেটানোর উপায় কী হবে—এসব নির্দিষ্ট করা হবে।

তুর্কি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে গঠিত একটি প্রযুক্তিগত কমিটি যুদ্ধবিরতি, সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ও অভিবাসন ইস্যু পর্যালোচনা করবে।


পাকিস্তানের মূল প্রস্তাব ও লক্ষ্য

পাকিস্তান এ আলোচনায় আফগান পক্ষের কাছে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপের নিশ্চয়তা চাইবে। এর মধ্যে থাকবে টিটিপির ঘাঁটি ধ্বংস, নেতাদের গ্রেপ্তার বা বহিষ্কার, এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অভিযান পরিচালনার প্রতিশ্রুতি।

বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদ গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সীমান্তে সমন্বয় ও তাৎক্ষণিক নজরদারির প্রস্তাব রাখবে। পাশাপাশি তুরস্ক ও কাতারের সহ-সভাপতিত্বে একটি তৃতীয় পক্ষীয় তত্ত্বাবধান কাঠামো গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হবে, যা অগ্রগতি যাচাই ও অনুপালন না হলে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

অন্য অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে—আফগান ভূখণ্ডে শত্রু সংগঠনগুলোর নিরাপদ আশ্রয় বন্ধ, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার, সন্ত্রাসী অর্থায়নের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা।


ইসলামাবাদের প্রত্যাশা

পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসেইন আন্দ্রাবি শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা তুরস্কে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল বৈঠকে এমন একটি কার্যকর ও যাচাইযোগ্য পর্যবেক্ষণ কাঠামো স্থাপনের প্রত্যাশা করছি, যা আফগান মাটি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস রোধ করবে এবং পাকিস্তানিদের প্রাণহানি প্রতিরোধ করবে।”

তিনি আরও বলেন, দোহা বৈঠকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া যায়নি। “আমরা দোহায় যেমন আন্তরিকভাবে অংশ নিয়েছিলাম, ইস্তাম্বুলেও তেমনি উদ্দেশ্য ও নিষ্ঠা নিয়ে অংশ নিচ্ছি,” বলেন আন্দ্রাবি।

তুরস্কে ফের আলোচনার টেবিলে বিবাদমান দুই পড়শি

খোয়াজা আসিফের সতর্কতা: চুক্তি ব্যর্থ হলে ‘খোলা যুদ্ধ’

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইস্তাম্বুল আলোচনায় কোনো চুক্তি না হয়, তবে তা “খোলা যুদ্ধ”-এর দিকে যেতে পারে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তান শান্তি চায়।

তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির পর গত চার–পাঁচ দিন ধরে কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি, উভয় পক্ষই চুক্তি মানছে। তবে সমঝোতা না হলে আমাদের সামনে যুদ্ধের বিকল্পও খোলা আছে।”


তুরস্ক: আস্থার অংশীদার

তুরস্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে—বিশেষত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর বিরুদ্ধে—যা তাকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত ইস্যুতে বিশ্বাসযোগ্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছে।

পাকিস্তান ও তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা বহু পুরোনো, এবং চলতি বছরও উভয় দেশ পরামর্শ বৈঠক করেছে। পাকিস্তানের দৃষ্টিতে তুরস্ক এমন এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার, যিনি শান্তি প্রক্রিয়াকে স্বল্পমেয়াদি কূটনীতি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় রূপ দিতে পারেন।


পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ

আন্তর্জাতিক সংকট বিশ্লেষক ইব্রাহিম বাহিস বলেছেন, এই বৈঠক “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”, কারণ এখানে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে তথ্য বিনিময় কাঠামো গড়ে উঠতে পারে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যেমন পাকিস্তান টিটিপি জঙ্গিদের অবস্থানের স্থানাঙ্ক দিতে পারে, আর আফগানিস্তান সেগুলোর বিরুদ্ধে নিজেই অভিযান চালাবে।” তবে তিনি সতর্ক করেন, “শুধু প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া তৈরি করলেই মূল সংকট সমাধান হবে না; দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলোও মোকাবিলা করতে হবে।”

দোহায় অর্জিত অস্থায়ী শান্তি এখন ইস্তাম্বুলে এক কাঠামোবদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়ায় রূপ নিতে পারে। যদি পক্ষদ্বয় আস্থা, যাচাই এবং বাস্তব সহযোগিতার ভিত্তিতে অগ্রসর হয়, তবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক নতুন স্থিতিশীলতার সূচনা হতে পারে।

#পাকিস্তান-আফগানিস্তান_সংলাপ, ইস্তাম্বুল_বৈঠক, টিটিপি, সীমান্ত_নিরাপত্তা, তুরস্ক, কাতার, যুদ্ধবিরতি, সন্ত্রাসবিরোধী_সহযোগিতা

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরদের এআই চ্যাট সীমাবোধে নতুন সুইচ দিল মেটা

ইসলামাবাদ–কাবুল দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু

০৮:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শুরু

শনিবার ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসলামাবাদ এ বৈঠকে আফগান তালেবান কর্তৃক সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসী হামলা রোধে কার্যকর ও ‘যাচাইযোগ্য’ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গঠনের প্রস্তাব তুলতে চায়।

এই বৈঠকটি কাতার ও তুরস্কের যৌথ মধ্যস্থতায় গত ১৮–১৯ অক্টোবর দোহায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফা সংলাপের পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দোহা বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী অস্ত্রবিরতিতে রূপ নেয় এবং স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে ইস্তাম্বুলে পুনরায় বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।


দোহা থেকে ইস্তাম্বুল: শান্তির নতুন ধাপ

দোহা সংলাপের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে একটি রাজনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল। এবার ইস্তাম্বুল বৈঠকে সে অগ্রগতিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—যেখানে ‘সীমান্ত অতিক্রম করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ কীভাবে সংজ্ঞায়িত হবে, লঙ্ঘন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া কী হবে এবং বিবাদ মেটানোর উপায় কী হবে—এসব নির্দিষ্ট করা হবে।

তুর্কি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে গঠিত একটি প্রযুক্তিগত কমিটি যুদ্ধবিরতি, সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ও অভিবাসন ইস্যু পর্যালোচনা করবে।


পাকিস্তানের মূল প্রস্তাব ও লক্ষ্য

পাকিস্তান এ আলোচনায় আফগান পক্ষের কাছে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপের নিশ্চয়তা চাইবে। এর মধ্যে থাকবে টিটিপির ঘাঁটি ধ্বংস, নেতাদের গ্রেপ্তার বা বহিষ্কার, এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অভিযান পরিচালনার প্রতিশ্রুতি।

বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদ গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সীমান্তে সমন্বয় ও তাৎক্ষণিক নজরদারির প্রস্তাব রাখবে। পাশাপাশি তুরস্ক ও কাতারের সহ-সভাপতিত্বে একটি তৃতীয় পক্ষীয় তত্ত্বাবধান কাঠামো গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হবে, যা অগ্রগতি যাচাই ও অনুপালন না হলে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

অন্য অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে—আফগান ভূখণ্ডে শত্রু সংগঠনগুলোর নিরাপদ আশ্রয় বন্ধ, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার, সন্ত্রাসী অর্থায়নের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা।


ইসলামাবাদের প্রত্যাশা

পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসেইন আন্দ্রাবি শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা তুরস্কে অনুষ্ঠিত ইস্তাম্বুল বৈঠকে এমন একটি কার্যকর ও যাচাইযোগ্য পর্যবেক্ষণ কাঠামো স্থাপনের প্রত্যাশা করছি, যা আফগান মাটি থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস রোধ করবে এবং পাকিস্তানিদের প্রাণহানি প্রতিরোধ করবে।”

তিনি আরও বলেন, দোহা বৈঠকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া যায়নি। “আমরা দোহায় যেমন আন্তরিকভাবে অংশ নিয়েছিলাম, ইস্তাম্বুলেও তেমনি উদ্দেশ্য ও নিষ্ঠা নিয়ে অংশ নিচ্ছি,” বলেন আন্দ্রাবি।

তুরস্কে ফের আলোচনার টেবিলে বিবাদমান দুই পড়শি

খোয়াজা আসিফের সতর্কতা: চুক্তি ব্যর্থ হলে ‘খোলা যুদ্ধ’

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইস্তাম্বুল আলোচনায় কোনো চুক্তি না হয়, তবে তা “খোলা যুদ্ধ”-এর দিকে যেতে পারে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তান শান্তি চায়।

তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির পর গত চার–পাঁচ দিন ধরে কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি, উভয় পক্ষই চুক্তি মানছে। তবে সমঝোতা না হলে আমাদের সামনে যুদ্ধের বিকল্পও খোলা আছে।”


তুরস্ক: আস্থার অংশীদার

তুরস্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে—বিশেষত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর বিরুদ্ধে—যা তাকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত ইস্যুতে বিশ্বাসযোগ্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছে।

পাকিস্তান ও তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা বহু পুরোনো, এবং চলতি বছরও উভয় দেশ পরামর্শ বৈঠক করেছে। পাকিস্তানের দৃষ্টিতে তুরস্ক এমন এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার, যিনি শান্তি প্রক্রিয়াকে স্বল্পমেয়াদি কূটনীতি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় রূপ দিতে পারেন।


পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ

আন্তর্জাতিক সংকট বিশ্লেষক ইব্রাহিম বাহিস বলেছেন, এই বৈঠক “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”, কারণ এখানে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে তথ্য বিনিময় কাঠামো গড়ে উঠতে পারে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যেমন পাকিস্তান টিটিপি জঙ্গিদের অবস্থানের স্থানাঙ্ক দিতে পারে, আর আফগানিস্তান সেগুলোর বিরুদ্ধে নিজেই অভিযান চালাবে।” তবে তিনি সতর্ক করেন, “শুধু প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া তৈরি করলেই মূল সংকট সমাধান হবে না; দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলোও মোকাবিলা করতে হবে।”

দোহায় অর্জিত অস্থায়ী শান্তি এখন ইস্তাম্বুলে এক কাঠামোবদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়ায় রূপ নিতে পারে। যদি পক্ষদ্বয় আস্থা, যাচাই এবং বাস্তব সহযোগিতার ভিত্তিতে অগ্রসর হয়, তবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক নতুন স্থিতিশীলতার সূচনা হতে পারে।

#পাকিস্তান-আফগানিস্তান_সংলাপ, ইস্তাম্বুল_বৈঠক, টিটিপি, সীমান্ত_নিরাপত্তা, তুরস্ক, কাতার, যুদ্ধবিরতি, সন্ত্রাসবিরোধী_সহযোগিতা