০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্য ঘাটতি নতুন উচ্চতার পথে, সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা প্রাকযুদ্ধের বিএমডব্লিউ ক্যাব্রিওলেট পেবল বিচে গৌরব, ইতিহাসের গাড়িতে মঞ্চ জয় বয়স্কদের ওষুধের অতিভার: একসঙ্গে আটটির বেশি ওষুধে বাড়ছে মাথাঘুরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছুটিতে পরিবারের প্রযুক্তি ঝামেলা কমানোর সহজ কৌশল চীনের প্রযুক্তি উত্থান, অর্থনীতির ভেতরে গভীর ফাটল বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ নতুন ড্রোন মডেলে নিষেধাজ্ঞা আরও কড়াকড়ি যুক্তরাষ্ট্রে, তালিকায় ডিজেআইসহ সব বিদেশি ড্রোন জবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন: নারী-বান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে জেসিডির ১৩ দফা ইশতেহার ক্রীড়াপ্রেমী প্রকৌশলী মাসুদ হাসান জামালীর ইন্তেকাল

আসিয়ানে থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্ত যুদ্ধবিরতি, ট্রাম্পের সামনে চুক্তি

আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপ
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া রোববার কুয়ালালামপুরে এক সম্প্রসারিত সীমান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছে। এই সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে গোলাগুলি, আর্টিলারি ফায়ার ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশ বলছে, সামনের পোস্টগুলো আংশিকভাবে পিছু নেওয়া হবে, স্থগিত থাকা যৌথ টহল আবার চালু করা হবে, আর সরাসরি “ইনসিডেন্ট হটলাইন” খোলা হবে যাতে হঠাৎ গুলি ছোড়ার ঘটনা বড় সংঘাতে না গড়ায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্ণভিরাকুল। তারা জানালেন, এটি কেবল প্রতীকী কোনো ছবি তোলার মুহূর্ত নয়; বাস্তবে সেনাদের আচরণ বদলানোর অঙ্গীকার।


যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার পটভূমি
আসিয়ান (ASEAN) কূটনীতিকরা বলছেন, মূল উদ্দেশ্য শুধু থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্ত শান্ত করা নয়। বড় লক্ষ্য হলো দেখানো যে, মূল ভূখণ্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিং উভয়েই প্রতিরক্ষা ঘাঁটি, দুর্লভ ধাতু ও ডেটা অবকাঠামো নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে। ট্রাম্পের এশিয়া সফর তার প্রথম পূর্ণ আঞ্চলিক মঞ্চ। বার্তাটা স্পষ্ট: যুক্তরাষ্ট্র বড় প্রতিপক্ষ চীনের দিকে মন দেবে, আর মিত্ররা তাদের “লোকাল ঝামেলা” নিজেরাই সামলাবে। ব্যাংকক ও নমপেনের কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, সীমান্তের টানাপোড়েন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও কাজে লাগানো হয়েছে। এখন প্রতিশ্রুতি হলো, ভবিষ্যৎ যে কোনো ঘটনার তথ্য উভয় দেশ একসঙ্গে প্রকাশ করবে, যাতে উস্কানি দিয়ে জাতীয়তাবাদী তাপ বাড়ানো কঠিন হয়। আসিয়ান নেতারা বলছেন, ক্যামেরা সরে গেলে মাঠের কমান্ডাররা কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়। তবু ব্লকটি এটিকে “তাৎক্ষণিক সাফল্য” বলে দাবি করছে, কারণ এটি দেখায় যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অন্তত নিজেদের ভেতরের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফ্রন্ট শান্ত করতে পারছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্য ঘাটতি নতুন উচ্চতার পথে, সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা

আসিয়ানে থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্ত যুদ্ধবিরতি, ট্রাম্পের সামনে চুক্তি

০৪:২৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপ
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া রোববার কুয়ালালামপুরে এক সম্প্রসারিত সীমান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছে। এই সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে গোলাগুলি, আর্টিলারি ফায়ার ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশ বলছে, সামনের পোস্টগুলো আংশিকভাবে পিছু নেওয়া হবে, স্থগিত থাকা যৌথ টহল আবার চালু করা হবে, আর সরাসরি “ইনসিডেন্ট হটলাইন” খোলা হবে যাতে হঠাৎ গুলি ছোড়ার ঘটনা বড় সংঘাতে না গড়ায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্ণভিরাকুল। তারা জানালেন, এটি কেবল প্রতীকী কোনো ছবি তোলার মুহূর্ত নয়; বাস্তবে সেনাদের আচরণ বদলানোর অঙ্গীকার।


যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার পটভূমি
আসিয়ান (ASEAN) কূটনীতিকরা বলছেন, মূল উদ্দেশ্য শুধু থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্ত শান্ত করা নয়। বড় লক্ষ্য হলো দেখানো যে, মূল ভূখণ্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিং উভয়েই প্রতিরক্ষা ঘাঁটি, দুর্লভ ধাতু ও ডেটা অবকাঠামো নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে। ট্রাম্পের এশিয়া সফর তার প্রথম পূর্ণ আঞ্চলিক মঞ্চ। বার্তাটা স্পষ্ট: যুক্তরাষ্ট্র বড় প্রতিপক্ষ চীনের দিকে মন দেবে, আর মিত্ররা তাদের “লোকাল ঝামেলা” নিজেরাই সামলাবে। ব্যাংকক ও নমপেনের কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, সীমান্তের টানাপোড়েন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও কাজে লাগানো হয়েছে। এখন প্রতিশ্রুতি হলো, ভবিষ্যৎ যে কোনো ঘটনার তথ্য উভয় দেশ একসঙ্গে প্রকাশ করবে, যাতে উস্কানি দিয়ে জাতীয়তাবাদী তাপ বাড়ানো কঠিন হয়। আসিয়ান নেতারা বলছেন, ক্যামেরা সরে গেলে মাঠের কমান্ডাররা কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়। তবু ব্লকটি এটিকে “তাৎক্ষণিক সাফল্য” বলে দাবি করছে, কারণ এটি দেখায় যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অন্তত নিজেদের ভেতরের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফ্রন্ট শান্ত করতে পারছে।