আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপ
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া রোববার কুয়ালালামপুরে এক সম্প্রসারিত সীমান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছে। এই সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে গোলাগুলি, আর্টিলারি ফায়ার ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশ বলছে, সামনের পোস্টগুলো আংশিকভাবে পিছু নেওয়া হবে, স্থগিত থাকা যৌথ টহল আবার চালু করা হবে, আর সরাসরি “ইনসিডেন্ট হটলাইন” খোলা হবে যাতে হঠাৎ গুলি ছোড়ার ঘটনা বড় সংঘাতে না গড়ায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্ণভিরাকুল। তারা জানালেন, এটি কেবল প্রতীকী কোনো ছবি তোলার মুহূর্ত নয়; বাস্তবে সেনাদের আচরণ বদলানোর অঙ্গীকার।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার পটভূমি
আসিয়ান (ASEAN) কূটনীতিকরা বলছেন, মূল উদ্দেশ্য শুধু থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্ত শান্ত করা নয়। বড় লক্ষ্য হলো দেখানো যে, মূল ভূখণ্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে এমন এক সময়ে যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিং উভয়েই প্রতিরক্ষা ঘাঁটি, দুর্লভ ধাতু ও ডেটা অবকাঠামো নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে। ট্রাম্পের এশিয়া সফর তার প্রথম পূর্ণ আঞ্চলিক মঞ্চ। বার্তাটা স্পষ্ট: যুক্তরাষ্ট্র বড় প্রতিপক্ষ চীনের দিকে মন দেবে, আর মিত্ররা তাদের “লোকাল ঝামেলা” নিজেরাই সামলাবে। ব্যাংকক ও নমপেনের কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, সীমান্তের টানাপোড়েন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও কাজে লাগানো হয়েছে। এখন প্রতিশ্রুতি হলো, ভবিষ্যৎ যে কোনো ঘটনার তথ্য উভয় দেশ একসঙ্গে প্রকাশ করবে, যাতে উস্কানি দিয়ে জাতীয়তাবাদী তাপ বাড়ানো কঠিন হয়। আসিয়ান নেতারা বলছেন, ক্যামেরা সরে গেলে মাঠের কমান্ডাররা কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়। তবু ব্লকটি এটিকে “তাৎক্ষণিক সাফল্য” বলে দাবি করছে, কারণ এটি দেখায় যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অন্তত নিজেদের ভেতরের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফ্রন্ট শান্ত করতে পারছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















