০৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
অধিকাংশ শেয়ারদরের পতনে ডিএসই ও সিএসই সপ্তাহ শুরু করল লাল সূচকে শেহবাজ শরিফ ও আসিম মুনির ‘মহান মানুষ’, বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকার ফেরত দাবি—দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় গ্রাহকরা এক টাকার নিচে মূল্যের শেয়ারে ‘টিক সাইজ’ হবে ০.০১ টাকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৬) পুলিশের প্রশাসনিক রদবদল—একযোগে বদলি ১১ কর্মকর্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউটিএল আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন নির্বাচন নিশ্চিতে ৩০ অক্টোবর প্রস্তুতিমূলক বৈঠক গুলশান ও মতিঝিলের ব্যাংক হিসাবে দেশের ২০% আমানত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে করুণ মৃত্যু—সাঁতারের সময় পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর প্রাণহানি

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তাকাইচির প্রথম পদক্ষেপ: ‘ক্যাশ রিলিফ’ আর দ্রুত সামরিক শক্তি

খরচ বাড়িয়ে জনপ্রিয়তা বাঁচানোর চেষ্টা
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানা এ তাকাইচি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এক বৃহৎ প্রণোদনা প্যাকেজের ইঙ্গিত দিয়েছেন। লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেওয়া। খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ায় জাপানি পরিবারগুলোর দৈনন্দিন বাজেট টানটান হয়ে আছে; তাকাইচি সরাসরি নগদ সহায়তা ও কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ গ্র্যান্টের কথাও এসেছে, যাতে মজুরি, কাঁচামাল ও বিদ্যুতের খরচ টিকে থাকা ব্যবসাকে ভেঙে না ফেলে। একইসঙ্গে তিনি বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সরবরাহ শৃঙ্খলকে ‘কৌশলগত শিল্প’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেয়া হবে। তার দপ্তর থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে সাময়িক জ্বালানি কর (গ্যাসোলিন ট্যাক্স) তুলে নেওয়ার বিষয়টিও টেবিলে আছে। রাজনৈতিক পাঠ সহজ: ভোক্তা ও ছোট ব্যবসা যদি দ্রুত টের পায় সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তি মজবুত হবে।
রেকর্ড ঋণ, দুর্বল ইয়েন, নিরাপত্তা হুমকি
কিন্তু এই পথ ঝুঁকিমুক্ত নয়। জাপানের সরকারি ঋণ ইতোমধ্যে উন্নত অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বাড়তি ব্যয় মানে নতুন বন্ড বিক্রি, ব্যাংক অব জাপানের ওপর চাপে থাকা, আর ইয়েনকে আরও নরম হতে দেওয়া। দুর্বল ইয়েন রফতানি ও পর্যটনকে সাহায্য করে বটে, কিন্তু জ্বালানি ও খাদ্য আমদানি আরও দামী হয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ ভোটারেই গিয়ে ঠেকে। তাকাইচি সমান্তরালে প্রতিরক্ষা ব্যয়ও টেনে তুলতে চান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, সামরিক খাতে জিডিপির ২% লক্ষ্যমাত্রা আগাম মার্চ ২০২৬-এর মধ্যেই পৌঁছাতে হবে; এতে মিসাইল প্রতিরক্ষা, সাইবর ইউনিট ও জাপানের নিজস্ব গোলাবারুদ মজুদ জোরদার হবে। টোকিওর কূটনৈতিক বার্তা হলো: শুধু মার্কিন নিরাপত্তা ছায়াতেই থাকব না, আমরা নিজেরাও দাঁড়াব। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিকরা বলছেন, এই একই বাজেট থেকেই জাপান ওই অঞ্চলে অবকাঠামো ও নিরাপত্তা সহায়তা বাড়াবে, যাতে চীনের প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি হয়। এখন বিনিয়োগকারীরা তাকাইচিকে সময় দিচ্ছে; প্রশ্ন হলো সাধারণ ভোটার, যাদের পকেট ইতোমধ্যে পাতলা, তারাও কি সেই সময় দেবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অধিকাংশ শেয়ারদরের পতনে ডিএসই ও সিএসই সপ্তাহ শুরু করল লাল সূচকে

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তাকাইচির প্রথম পদক্ষেপ: ‘ক্যাশ রিলিফ’ আর দ্রুত সামরিক শক্তি

০৫:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

খরচ বাড়িয়ে জনপ্রিয়তা বাঁচানোর চেষ্টা
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানা এ তাকাইচি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এক বৃহৎ প্রণোদনা প্যাকেজের ইঙ্গিত দিয়েছেন। লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেওয়া। খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ায় জাপানি পরিবারগুলোর দৈনন্দিন বাজেট টানটান হয়ে আছে; তাকাইচি সরাসরি নগদ সহায়তা ও কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ গ্র্যান্টের কথাও এসেছে, যাতে মজুরি, কাঁচামাল ও বিদ্যুতের খরচ টিকে থাকা ব্যবসাকে ভেঙে না ফেলে। একইসঙ্গে তিনি বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত সরবরাহ শৃঙ্খলকে ‘কৌশলগত শিল্প’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেয়া হবে। তার দপ্তর থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে সাময়িক জ্বালানি কর (গ্যাসোলিন ট্যাক্স) তুলে নেওয়ার বিষয়টিও টেবিলে আছে। রাজনৈতিক পাঠ সহজ: ভোক্তা ও ছোট ব্যবসা যদি দ্রুত টের পায় সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তি মজবুত হবে।
রেকর্ড ঋণ, দুর্বল ইয়েন, নিরাপত্তা হুমকি
কিন্তু এই পথ ঝুঁকিমুক্ত নয়। জাপানের সরকারি ঋণ ইতোমধ্যে উন্নত অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বাড়তি ব্যয় মানে নতুন বন্ড বিক্রি, ব্যাংক অব জাপানের ওপর চাপে থাকা, আর ইয়েনকে আরও নরম হতে দেওয়া। দুর্বল ইয়েন রফতানি ও পর্যটনকে সাহায্য করে বটে, কিন্তু জ্বালানি ও খাদ্য আমদানি আরও দামী হয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ ভোটারেই গিয়ে ঠেকে। তাকাইচি সমান্তরালে প্রতিরক্ষা ব্যয়ও টেনে তুলতে চান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, সামরিক খাতে জিডিপির ২% লক্ষ্যমাত্রা আগাম মার্চ ২০২৬-এর মধ্যেই পৌঁছাতে হবে; এতে মিসাইল প্রতিরক্ষা, সাইবর ইউনিট ও জাপানের নিজস্ব গোলাবারুদ মজুদ জোরদার হবে। টোকিওর কূটনৈতিক বার্তা হলো: শুধু মার্কিন নিরাপত্তা ছায়াতেই থাকব না, আমরা নিজেরাও দাঁড়াব। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিকরা বলছেন, এই একই বাজেট থেকেই জাপান ওই অঞ্চলে অবকাঠামো ও নিরাপত্তা সহায়তা বাড়াবে, যাতে চীনের প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি হয়। এখন বিনিয়োগকারীরা তাকাইচিকে সময় দিচ্ছে; প্রশ্ন হলো সাধারণ ভোটার, যাদের পকেট ইতোমধ্যে পাতলা, তারাও কি সেই সময় দেবে।