১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
অ্যাপল ম্যাপসেও এখন বিজ্ঞাপন? ‘নিয়ার মি’ সার্চই হবে বিডিং ওয়ার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চার দিন- ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত শতাধিক যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যায় যাবজ্জীবন হালাল পণ্যের মান ও স্বীকৃতিতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান এমওইউ স্বাক্ষর নিরপেক্ষতা হারিয়েছে উইকিপিডিয়া—ল্যারি স্যাঙ্গারের নেতৃত্বে রক্ষণশীল অভিযাত্রা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শিল্প ও সেবা খাতে পরিবর্তন, প্রয়োজন শিক্ষিত, দক্ষ মানবসম্পদ ঢাকার সব উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের নিরাপত্তা যাচাইয়ে হাইকোর্টে আবেদন হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে ওয়ার্কওভার কাজ শুরু—১৫ এমএমসিএফডি গ্যাস যোগের আশা ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩ জন শারিয়তপুরে চিরনিদ্রায় আবুল কালাম—ফার্মগেটে মেট্রো পিলার থেকে পড়ে নিহত

এআই ডেটা সেন্টার এত বিদ্যুৎ খাচ্ছে যে গ্রিড কাঁপছে — সমাধান কি ‘কার্বন-অওয়্যার’ ট্রেনিং

বিদ্যুৎ কখন খরচ হবে, সেটাও এখন নীতি
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ জানাচ্ছে, বড় ক্লাউড কোম্পানিগুলো এখন শুধু কত বিদ্যুৎ লাগে তা নয়, কখন লাগে সেটিও রেকর্ড ও শিফট করার চেষ্টা করছে। লক্ষ্য হলো এআই মডেল ট্রেনিংয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী ধাপগুলো এমন সময়ে চালানো, যখন বাতাসের টারবাইন আর সোলার ফার্ম থেকে বাড়তি শক্তি গ্রিডে জমে থাকে, আর ডিজেল ব্যাকআপ চালু করার দরকার পড়ে না। পাশাপাশি কিছু ডেটা সেন্টার নিজেদের জায়গায় দীর্ঘমেয়াদি স্টোরেজ বসাচ্ছে—অতিরিক্ত নবায়নযোগ্য শক্তি ধরে রেখে পরে সেটি ব্যবহার করতে পারবে, যাতে হঠাৎ চাহিদা বাড়লেও নতুন গ্যাস টারবাইন না জ্বালাতে হয়। আরেকটি দিক হলো অ্যালগরিদম: একই এআই পারফরম্যান্স কম ক্যালকুলেশন অপারেশন দিয়ে আনা, যাতে প্রতি সেকেন্ডে কম ভাসমান-পয়েন্ট অপারেশন মানে কম শক্তি খরচ হয়। একে কেউ কেউ বলছে “কার্বন-অওয়্যার স্কেজুলিং”—যেন এয়ারলাইনের ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট, কিন্তু কিলোওয়াটের জন্য।


রাজনৈতিক অনুমতি পেতে এখন গ্রিন হতে হবে
এত তাড়া কেন? কারণ এআই ডেটা সেন্টারগুলো এখন বিদ্যুৎ খরচের দিক থেকে ছোটখাটো কারখানা। মার্কিন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় প্রশাসকরা বলছেন, নতুন এআই ক্যাম্পাসগুলো এমন বেসলোড চাচ্ছে যা ওই এলাকার পুরো টাউনের চাহিদার কাছাকাছি। যদি বলা হয় যে এই লোড সামলাতে নতুন গ্যাস টারবাইন লাগবে, তবে জলবায়ু অঙ্গীকার ভেঙে যাবে—এবং ভোটাররাও ক্ষেপে যাবে, কারণ তাদের বিল বাড়বে। ক্লাইমেট প্ল্যানাররা সতর্ক করছেন: “সবুজ এআই” এখন শুধু কর্পোরেট স্লোগান নয়; এটি লাইসেন্স পাওয়ার শর্তে পরিণত হচ্ছে। আগাম ধারণা হলো, সরকারগুলো শিগগিরই এআই ডেটা সেন্টারের পারমিট, কর ছাড় ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনিং এমনভাবে বেঁধে দেবে যাতে স্পষ্ট ডিকার্বনাইজেশন রোডম্যাপ থাকে—যেভাবে ব্যাটারি ফ্যাক্টরি বা সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে। মানে, এআই বিস্তারের পথ এখন শক্তি নীতির ভেতর দিয়েই যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অ্যাপল ম্যাপসেও এখন বিজ্ঞাপন? ‘নিয়ার মি’ সার্চই হবে বিডিং ওয়ার

এআই ডেটা সেন্টার এত বিদ্যুৎ খাচ্ছে যে গ্রিড কাঁপছে — সমাধান কি ‘কার্বন-অওয়্যার’ ট্রেনিং

০৭:০৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

বিদ্যুৎ কখন খরচ হবে, সেটাও এখন নীতি
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ জানাচ্ছে, বড় ক্লাউড কোম্পানিগুলো এখন শুধু কত বিদ্যুৎ লাগে তা নয়, কখন লাগে সেটিও রেকর্ড ও শিফট করার চেষ্টা করছে। লক্ষ্য হলো এআই মডেল ট্রেনিংয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী ধাপগুলো এমন সময়ে চালানো, যখন বাতাসের টারবাইন আর সোলার ফার্ম থেকে বাড়তি শক্তি গ্রিডে জমে থাকে, আর ডিজেল ব্যাকআপ চালু করার দরকার পড়ে না। পাশাপাশি কিছু ডেটা সেন্টার নিজেদের জায়গায় দীর্ঘমেয়াদি স্টোরেজ বসাচ্ছে—অতিরিক্ত নবায়নযোগ্য শক্তি ধরে রেখে পরে সেটি ব্যবহার করতে পারবে, যাতে হঠাৎ চাহিদা বাড়লেও নতুন গ্যাস টারবাইন না জ্বালাতে হয়। আরেকটি দিক হলো অ্যালগরিদম: একই এআই পারফরম্যান্স কম ক্যালকুলেশন অপারেশন দিয়ে আনা, যাতে প্রতি সেকেন্ডে কম ভাসমান-পয়েন্ট অপারেশন মানে কম শক্তি খরচ হয়। একে কেউ কেউ বলছে “কার্বন-অওয়্যার স্কেজুলিং”—যেন এয়ারলাইনের ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট, কিন্তু কিলোওয়াটের জন্য।


রাজনৈতিক অনুমতি পেতে এখন গ্রিন হতে হবে
এত তাড়া কেন? কারণ এআই ডেটা সেন্টারগুলো এখন বিদ্যুৎ খরচের দিক থেকে ছোটখাটো কারখানা। মার্কিন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় প্রশাসকরা বলছেন, নতুন এআই ক্যাম্পাসগুলো এমন বেসলোড চাচ্ছে যা ওই এলাকার পুরো টাউনের চাহিদার কাছাকাছি। যদি বলা হয় যে এই লোড সামলাতে নতুন গ্যাস টারবাইন লাগবে, তবে জলবায়ু অঙ্গীকার ভেঙে যাবে—এবং ভোটাররাও ক্ষেপে যাবে, কারণ তাদের বিল বাড়বে। ক্লাইমেট প্ল্যানাররা সতর্ক করছেন: “সবুজ এআই” এখন শুধু কর্পোরেট স্লোগান নয়; এটি লাইসেন্স পাওয়ার শর্তে পরিণত হচ্ছে। আগাম ধারণা হলো, সরকারগুলো শিগগিরই এআই ডেটা সেন্টারের পারমিট, কর ছাড় ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনিং এমনভাবে বেঁধে দেবে যাতে স্পষ্ট ডিকার্বনাইজেশন রোডম্যাপ থাকে—যেভাবে ব্যাটারি ফ্যাক্টরি বা সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে। মানে, এআই বিস্তারের পথ এখন শক্তি নীতির ভেতর দিয়েই যাবে।