বিদ্যুৎ কখন খরচ হবে, সেটাও এখন নীতি
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ জানাচ্ছে, বড় ক্লাউড কোম্পানিগুলো এখন শুধু কত বিদ্যুৎ লাগে তা নয়, কখন লাগে সেটিও রেকর্ড ও শিফট করার চেষ্টা করছে। লক্ষ্য হলো এআই মডেল ট্রেনিংয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী ধাপগুলো এমন সময়ে চালানো, যখন বাতাসের টারবাইন আর সোলার ফার্ম থেকে বাড়তি শক্তি গ্রিডে জমে থাকে, আর ডিজেল ব্যাকআপ চালু করার দরকার পড়ে না। পাশাপাশি কিছু ডেটা সেন্টার নিজেদের জায়গায় দীর্ঘমেয়াদি স্টোরেজ বসাচ্ছে—অতিরিক্ত নবায়নযোগ্য শক্তি ধরে রেখে পরে সেটি ব্যবহার করতে পারবে, যাতে হঠাৎ চাহিদা বাড়লেও নতুন গ্যাস টারবাইন না জ্বালাতে হয়। আরেকটি দিক হলো অ্যালগরিদম: একই এআই পারফরম্যান্স কম ক্যালকুলেশন অপারেশন দিয়ে আনা, যাতে প্রতি সেকেন্ডে কম ভাসমান-পয়েন্ট অপারেশন মানে কম শক্তি খরচ হয়। একে কেউ কেউ বলছে “কার্বন-অওয়্যার স্কেজুলিং”—যেন এয়ারলাইনের ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট, কিন্তু কিলোওয়াটের জন্য।

রাজনৈতিক অনুমতি পেতে এখন গ্রিন হতে হবে
এত তাড়া কেন? কারণ এআই ডেটা সেন্টারগুলো এখন বিদ্যুৎ খরচের দিক থেকে ছোটখাটো কারখানা। মার্কিন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় প্রশাসকরা বলছেন, নতুন এআই ক্যাম্পাসগুলো এমন বেসলোড চাচ্ছে যা ওই এলাকার পুরো টাউনের চাহিদার কাছাকাছি। যদি বলা হয় যে এই লোড সামলাতে নতুন গ্যাস টারবাইন লাগবে, তবে জলবায়ু অঙ্গীকার ভেঙে যাবে—এবং ভোটাররাও ক্ষেপে যাবে, কারণ তাদের বিল বাড়বে। ক্লাইমেট প্ল্যানাররা সতর্ক করছেন: “সবুজ এআই” এখন শুধু কর্পোরেট স্লোগান নয়; এটি লাইসেন্স পাওয়ার শর্তে পরিণত হচ্ছে। আগাম ধারণা হলো, সরকারগুলো শিগগিরই এআই ডেটা সেন্টারের পারমিট, কর ছাড় ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনিং এমনভাবে বেঁধে দেবে যাতে স্পষ্ট ডিকার্বনাইজেশন রোডম্যাপ থাকে—যেভাবে ব্যাটারি ফ্যাক্টরি বা সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে। মানে, এআই বিস্তারের পথ এখন শক্তি নীতির ভেতর দিয়েই যাবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















