০৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শ্রদ্ধাঞ্জলি: বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমান এর ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু সেনাপ্রধানের সাথে পাকিস্তানের এর জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শর্ত রাখল এনসিপি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে এগোতে অঙ্গীকার পৃথিবীতে এখনও ৬৬ কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন জীবন কাটাচ্ছে রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১০) সাজালেন মুফতি মোহেববুল্লাহ’র অপহরণ, তদন্তে বেরিয়ে এলো মিথ্যা নাটক আদালতে চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে জামায়াতের দাবি—তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবারের নির্বাচন সম্ভব নয়

জেন জেড প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে ‘নিরাপদ’ সামাজিক যোগাযোগের বার্তা

সংকট থেকে পুনরুত্থান: পিন্টারেস্টের নতুন দিশা

২০২২ সালে বিল রেডি পিন্টারেস্টের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেন, এমন এক সময় যখন এই ভার্চুয়াল পিনবোর্ড প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই সন্দেহে ছিলেন। একসময় ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকের মতো ঝলমলে উপস্থিতি থাকলেও, পিন্টারেস্ট তার পরিচিতি হারিয়ে ফেলেছিল। ব্যবহারকারী ও শেয়ারমূল্য দুই–ই কমছিল।

রেডি, যিনি ভেনমো ও ব্রেইনট্রির মতো প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তখন ঘোষণা দেন—পিন্টারেস্টকে তিনি আবারও প্রাসঙ্গিক করে তুলবেন। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানি বিনিয়োগ বাড়ায় ভিজ্যুয়াল সার্চ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে, এবং নতুন করে জেন জেড প্রজন্মকে লক্ষ্য করে রিব্র্যান্ডিং শুরু করে।


‘নিরাপদ সামাজিক মাধ্যম’—নতুন প্রতিশ্রুতি

রেডির মতে, পিন্টারেস্ট এমন এক জায়গা হতে চায়, যেখানে মানুষ সময় কাটিয়ে মানসিকভাবে ভালো অনুভব করবে। সামাজিক মাধ্যমগুলো যেখানে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সেখানে পিন্টারেস্ট নিজেকে তুলে ধরছে ‘নিরাপদ বিকল্প’ হিসেবে।

এই লক্ষ্যে ২০২৩ সালে কোম্পানি ঘোষণা করে—১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যক্তিগত (private) করা হবে এবং তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। “আমাদের উদ্দেশ্য হলো, ব্যবহারকারী যেন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে যাওয়ার বদলে শান্তি খুঁজে পায় — বলেন রেডি।”


জেন জেড ব্যবহারকারীদের উত্থান

সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকগুলোতে পিন্টারেস্টের বিক্রি ও ব্যবহারকারী সংখ্যা, দুটোই দ্বিগুণ অঙ্কে বেড়েছে। এখন অর্ধেকেরও বেশি ব্যবহারকারী জেন জেড প্রজন্মের, যারা সরাসরি সাইট থেকেই পণ্য কেনাকাটা করছে।

রেডি বলেন, “আমরা এমন কিছু করছি যা খুব কম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম করতে পারে—আমরা তরুণদের মধ্যে আমাদের অবস্থান মজবুত করছি।”

তবে সবকিছু নিখুঁত নয়। অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, প্ল্যাটফর্মে এআই–তৈরি ছবির ভিড়ে আসল মানবসৃষ্ট কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। রেডির ভাষায়, “আমরা এখন এসব ছবি (“Gen AI”) হিসেবে লেবেল দিচ্ছি এবং ব্যবহারকারীদের সুযোগ দিচ্ছি ‘কম দেখতে চাই’ বিকল্প বেছে নেওয়ার।”


ভিন্নধর্মী ব্যবসা মডেল

রেডি বলেন, “আমরা প্রমাণ করতে চাই, সামাজিক মাধ্যমেও ইতিবাচক ব্যবসা মডেল সম্ভব।” অন্য প্ল্যাটফর্ম যেখানে ‘ক্রোধ দিয়ে সম্পৃক্ততা’ বাড়ানোর দিকে ঝোঁকে, পিন্টারেস্ট সেখানে শান্ত ও অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা দিতে চায়।

তিনি তুলনা টানেন গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে—“যেভাবে গাড়ি কোম্পানিগুলো নিরাপত্তায় প্রতিযোগিতা করে, তেমনভাবেই সামাজিক মাধ্যমগুলোও নিরাপত্তার দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।”


ভিজ্যুয়াল সার্চের বিপ্লব

রেডির মতে, পিন্টারেস্ট শুধু ছবি সংরক্ষণের জায়গা নয়—এটি একটি ‘ভিজ্যুয়াল সার্চ ও ডিসকভারি প্ল্যাটফর্ম’। আগে ব্যবহারকারীরা অনেক ছবি দেখলেও, তা থেকে বাস্তবে কিছু করা যেত না। এখন প্ল্যাটফর্মে ‘ড্রিমিং থেকে ডুয়িং’-এর যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে—অর্থাৎ অনুপ্রেরণা থেকে সিদ্ধান্ত, এবং সেখান থেকে কাজ পর্যন্ত।


কেনাকাটা ও বিজ্ঞাপন কৌশল

অর্থনীতি মন্দা থাকলেও, রেডির মতে, পিন্টারেস্টে ক্রেতাদের উপস্থিতি স্থিতিশীল। বরং বাজেট-বান্ধব সার্চ ২০০ শতাংশ বেড়েছে, যা পরিকল্পিত কেনাকাটার দিকেই ঝুঁকে থাকা ব্যবহারকারীদের জন্য ইতিবাচক।

বিজ্ঞাপনদাতারাও প্ল্যাটফর্মটির প্রতি আগ্রহী, কারণ পিন্টারেস্টের সার্চের ৯৫ শতাংশই “আনব্র্যান্ডেড”। অর্থাৎ ব্যবহারকারী যখন খোঁজেন “কুল রানিং শু” বা “স্কার্টের সঙ্গে স্নিকার্স কীভাবে মানাবে”, তখন তিনি এখনো সিদ্ধান্ত নেননি কী কিনবেন—এই অবস্থায় বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়।


দায়িত্বশীল এআই ব্যবহারে নেতৃত্ব

রেডি স্বীকার করেন, এআই প্রকৌশলীরা এখন সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পেশাজীবী, কিন্তু পিন্টারেস্টের দায়িত্বশীল এআই ব্যবহারের নীতি দক্ষ জনবলকে আকৃষ্ট করছে।

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এআই একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি—তবে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে। কেউ কেউ বলে, নিরাপত্তা ভুলে অগ্রগতি আনতে হবে; আমরা তার বিপরীতে আছি।”


ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শন

রেডি যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির একটি ছোট শহরে বড় হয়েছেন। বাবা-মায়ের ছোট অটো রিপেয়ার দোকানেই কাজ শিখেছেন। একবার এক গ্রাহকের ট্রাক মেরামতে ভুল করলে বাবা-মা তাকে বলেছিলেন ‘তুমি নিজেই গিয়ে ক্ষমা চাও এবং ঠিক করো।’

এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি শিখেছেন—যিনি প্রযুক্তি তৈরি করেন, তাঁরও উচিত মানুষের সঙ্গে সরাসরি দায়বদ্ধতা অনুভব করা।

একজন পরামর্শদাতার কাছ থেকে পাওয়া উপদেশও আজও মনে রেখেছেন রেডি: “তুমি কাদের নিয়ে তোমার দল গড়তে চাও—ভাড়াটে সৈন্য নাকি মুক্তিযোদ্ধা?” তিনি বলেন, “আমরা মুক্তচিন্তার যোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ করছি, কারণ আমরা বিশ্বাস করি—এআই মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হতে পারে।”


রেডির পিনবোর্ডের ব্যক্তিগত ছোঁয়া

সম্প্রতি এক কনফারেন্সে অংশ নিতে মিয়ামি যাওয়ার আগে তিনি পিন্টারেস্ট থেকে খুঁজে নিয়েছিলেন একটি গোলাপি লিনেন জ্যাকেট ও হালকা সুয়েড জুতো — যা পরে নিজেও অবাক হয়েছিলেন।

তাঁর মেয়ের জন্মদিনের পার্টির থিমও পিন্টারেস্ট থেকে নেওয়া—গত বছর ‘টেইলর সুইফট’, এবার ‘উইকেড’। তিনি বলেন, “আমি পুরো বছরজুড়ে মেয়ের উপহারের আইডিয়া বোর্ডে সেভ রাখি, যাতে শেষ মুহূর্তে দৌড়াতে না হয়।”


বিল রেডি বিশ্বাস করেন, সামাজিক মাধ্যমের ভবিষ্যৎ শুধু বিনোদনে নয়, মানসিক ভারসাম্য ও ইতিবাচক সংযোগ তৈরিতেও নিহিত। তাঁর ভাষায়, “আমরা হয়তো সফল হব কিনা নিশ্চিত নই, কিন্তু নিশ্চিতভাবে মানবিক দিকের পক্ষে লড়ব।”

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রদ্ধাঞ্জলি: বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমান এর ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী

জেন জেড প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে ‘নিরাপদ’ সামাজিক যোগাযোগের বার্তা

০৫:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

সংকট থেকে পুনরুত্থান: পিন্টারেস্টের নতুন দিশা

২০২২ সালে বিল রেডি পিন্টারেস্টের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেন, এমন এক সময় যখন এই ভার্চুয়াল পিনবোর্ড প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই সন্দেহে ছিলেন। একসময় ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকের মতো ঝলমলে উপস্থিতি থাকলেও, পিন্টারেস্ট তার পরিচিতি হারিয়ে ফেলেছিল। ব্যবহারকারী ও শেয়ারমূল্য দুই–ই কমছিল।

রেডি, যিনি ভেনমো ও ব্রেইনট্রির মতো প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তখন ঘোষণা দেন—পিন্টারেস্টকে তিনি আবারও প্রাসঙ্গিক করে তুলবেন। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানি বিনিয়োগ বাড়ায় ভিজ্যুয়াল সার্চ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে, এবং নতুন করে জেন জেড প্রজন্মকে লক্ষ্য করে রিব্র্যান্ডিং শুরু করে।


‘নিরাপদ সামাজিক মাধ্যম’—নতুন প্রতিশ্রুতি

রেডির মতে, পিন্টারেস্ট এমন এক জায়গা হতে চায়, যেখানে মানুষ সময় কাটিয়ে মানসিকভাবে ভালো অনুভব করবে। সামাজিক মাধ্যমগুলো যেখানে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সেখানে পিন্টারেস্ট নিজেকে তুলে ধরছে ‘নিরাপদ বিকল্প’ হিসেবে।

এই লক্ষ্যে ২০২৩ সালে কোম্পানি ঘোষণা করে—১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যক্তিগত (private) করা হবে এবং তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। “আমাদের উদ্দেশ্য হলো, ব্যবহারকারী যেন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে যাওয়ার বদলে শান্তি খুঁজে পায় — বলেন রেডি।”


জেন জেড ব্যবহারকারীদের উত্থান

সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকগুলোতে পিন্টারেস্টের বিক্রি ও ব্যবহারকারী সংখ্যা, দুটোই দ্বিগুণ অঙ্কে বেড়েছে। এখন অর্ধেকেরও বেশি ব্যবহারকারী জেন জেড প্রজন্মের, যারা সরাসরি সাইট থেকেই পণ্য কেনাকাটা করছে।

রেডি বলেন, “আমরা এমন কিছু করছি যা খুব কম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম করতে পারে—আমরা তরুণদের মধ্যে আমাদের অবস্থান মজবুত করছি।”

তবে সবকিছু নিখুঁত নয়। অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, প্ল্যাটফর্মে এআই–তৈরি ছবির ভিড়ে আসল মানবসৃষ্ট কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। রেডির ভাষায়, “আমরা এখন এসব ছবি (“Gen AI”) হিসেবে লেবেল দিচ্ছি এবং ব্যবহারকারীদের সুযোগ দিচ্ছি ‘কম দেখতে চাই’ বিকল্প বেছে নেওয়ার।”


ভিন্নধর্মী ব্যবসা মডেল

রেডি বলেন, “আমরা প্রমাণ করতে চাই, সামাজিক মাধ্যমেও ইতিবাচক ব্যবসা মডেল সম্ভব।” অন্য প্ল্যাটফর্ম যেখানে ‘ক্রোধ দিয়ে সম্পৃক্ততা’ বাড়ানোর দিকে ঝোঁকে, পিন্টারেস্ট সেখানে শান্ত ও অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা দিতে চায়।

তিনি তুলনা টানেন গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে—“যেভাবে গাড়ি কোম্পানিগুলো নিরাপত্তায় প্রতিযোগিতা করে, তেমনভাবেই সামাজিক মাধ্যমগুলোও নিরাপত্তার দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।”


ভিজ্যুয়াল সার্চের বিপ্লব

রেডির মতে, পিন্টারেস্ট শুধু ছবি সংরক্ষণের জায়গা নয়—এটি একটি ‘ভিজ্যুয়াল সার্চ ও ডিসকভারি প্ল্যাটফর্ম’। আগে ব্যবহারকারীরা অনেক ছবি দেখলেও, তা থেকে বাস্তবে কিছু করা যেত না। এখন প্ল্যাটফর্মে ‘ড্রিমিং থেকে ডুয়িং’-এর যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে—অর্থাৎ অনুপ্রেরণা থেকে সিদ্ধান্ত, এবং সেখান থেকে কাজ পর্যন্ত।


কেনাকাটা ও বিজ্ঞাপন কৌশল

অর্থনীতি মন্দা থাকলেও, রেডির মতে, পিন্টারেস্টে ক্রেতাদের উপস্থিতি স্থিতিশীল। বরং বাজেট-বান্ধব সার্চ ২০০ শতাংশ বেড়েছে, যা পরিকল্পিত কেনাকাটার দিকেই ঝুঁকে থাকা ব্যবহারকারীদের জন্য ইতিবাচক।

বিজ্ঞাপনদাতারাও প্ল্যাটফর্মটির প্রতি আগ্রহী, কারণ পিন্টারেস্টের সার্চের ৯৫ শতাংশই “আনব্র্যান্ডেড”। অর্থাৎ ব্যবহারকারী যখন খোঁজেন “কুল রানিং শু” বা “স্কার্টের সঙ্গে স্নিকার্স কীভাবে মানাবে”, তখন তিনি এখনো সিদ্ধান্ত নেননি কী কিনবেন—এই অবস্থায় বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়।


দায়িত্বশীল এআই ব্যবহারে নেতৃত্ব

রেডি স্বীকার করেন, এআই প্রকৌশলীরা এখন সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পেশাজীবী, কিন্তু পিন্টারেস্টের দায়িত্বশীল এআই ব্যবহারের নীতি দক্ষ জনবলকে আকৃষ্ট করছে।

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এআই একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি—তবে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে। কেউ কেউ বলে, নিরাপত্তা ভুলে অগ্রগতি আনতে হবে; আমরা তার বিপরীতে আছি।”


ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শন

রেডি যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির একটি ছোট শহরে বড় হয়েছেন। বাবা-মায়ের ছোট অটো রিপেয়ার দোকানেই কাজ শিখেছেন। একবার এক গ্রাহকের ট্রাক মেরামতে ভুল করলে বাবা-মা তাকে বলেছিলেন ‘তুমি নিজেই গিয়ে ক্ষমা চাও এবং ঠিক করো।’

এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি শিখেছেন—যিনি প্রযুক্তি তৈরি করেন, তাঁরও উচিত মানুষের সঙ্গে সরাসরি দায়বদ্ধতা অনুভব করা।

একজন পরামর্শদাতার কাছ থেকে পাওয়া উপদেশও আজও মনে রেখেছেন রেডি: “তুমি কাদের নিয়ে তোমার দল গড়তে চাও—ভাড়াটে সৈন্য নাকি মুক্তিযোদ্ধা?” তিনি বলেন, “আমরা মুক্তচিন্তার যোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ করছি, কারণ আমরা বিশ্বাস করি—এআই মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হতে পারে।”


রেডির পিনবোর্ডের ব্যক্তিগত ছোঁয়া

সম্প্রতি এক কনফারেন্সে অংশ নিতে মিয়ামি যাওয়ার আগে তিনি পিন্টারেস্ট থেকে খুঁজে নিয়েছিলেন একটি গোলাপি লিনেন জ্যাকেট ও হালকা সুয়েড জুতো — যা পরে নিজেও অবাক হয়েছিলেন।

তাঁর মেয়ের জন্মদিনের পার্টির থিমও পিন্টারেস্ট থেকে নেওয়া—গত বছর ‘টেইলর সুইফট’, এবার ‘উইকেড’। তিনি বলেন, “আমি পুরো বছরজুড়ে মেয়ের উপহারের আইডিয়া বোর্ডে সেভ রাখি, যাতে শেষ মুহূর্তে দৌড়াতে না হয়।”


বিল রেডি বিশ্বাস করেন, সামাজিক মাধ্যমের ভবিষ্যৎ শুধু বিনোদনে নয়, মানসিক ভারসাম্য ও ইতিবাচক সংযোগ তৈরিতেও নিহিত। তাঁর ভাষায়, “আমরা হয়তো সফল হব কিনা নিশ্চিত নই, কিন্তু নিশ্চিতভাবে মানবিক দিকের পক্ষে লড়ব।”