০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্গান সঙ্গীতে ধ্যানের আমন্ত্রণ এলেন আরকব্রো ম্যানহাটনে ফিরছে বামিয়ান বুদ্ধ, ধ্বংসের স্মৃতি থেকে মানবতার নতুন প্রতীক ক্যামেরায় ধরা পড়ল মেরু ভালুকের বিরল দত্তক গল্প, প্রকৃতিতে নজিরবিহীন ঘটনা আগুনের ঘরে একা কুকুর, ধোঁয়া ভেদ করে মানবতার সাহসী উদ্ধার থাই সীমান্তের দুর্গম খেমার মন্দির ঘিরে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত থাই সেনা ও গ্রামবাসী ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৌদি সম্মানে ভূষিত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নতুন বার্তা ভ্যান্সকে ঘিরে ডানপন্থীদের নতুন সমীকরণ, ২০২৮ দৌড়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু স্বাস্থ্য উপহারই এবার উৎসবের নতুন ট্রেন্ড

হংকং বাজারে সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার বিক্রি শুরু

চীনের ভারী যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রি হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়ে প্রায় ১.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২.৩৬ বিলিয়ন হংকং ডলার) তোলার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে তারা বৈশ্বিক বিক্রয় নেটওয়ার্ক, গবেষণা, এবং উৎপাদন ঘাঁটি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়।


শেয়ার বিক্রির কাঠামো

নিবন্ধন নথি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ৫৮ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, যার দাম নির্ধারিত হয়েছে ২০.৩০ থেকে ২১.৩০ হংকং ডলারের মধ্যে। চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে শুক্রবার, এবং শেয়ারটি লেনদেন শুরু করবে ২৮ অক্টোবর থেকে।

সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির সাংহাই-তালিকাভুক্ত শেয়ারের দাম এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৬.৫ শতাংশ বেড়েছে, যা স্থানীয় বাজারের গড় প্রবৃদ্ধির দ্বিগুণেরও বেশি।


কোম্পানির কার্যক্রম ও পণ্য

সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রি ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষায়িত। তাদের পণ্যের মধ্যে রয়েছে খননযন্ত্র, ক্রেন, সড়ক নির্মাণ এবং পাইল-ড্রাইভিং সরঞ্জাম।
প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত, ব্রাজিল ও জার্মানিতে কারখানা রয়েছে, পাশাপাশি চীনের ভেতরে পাঁচটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রও পরিচালিত হচ্ছে।


তহবিলের ব্যবহার পরিকল্পনা

হংকংয়ে শেয়ার বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থের প্রায় ৪৫ শতাংশ ব্যয় হবে বৈশ্বিক বিক্রয় ও সেবা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে। প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায় এবং একই সঙ্গে এশিয়া ও সৌদি আরবজুড়ে বিক্রয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

আরও ২৫ শতাংশ যাবে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে, এবং ২০ শতাংশ ব্যয় হবে বিদেশে নতুন উৎপাদন ঘাঁটি নির্মাণে।


মূল বিনিয়োগকারীরা

নিবন্ধনপত্র অনুযায়ী, কর্নারস্টোন বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৭৫৯ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনেছেন। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের তেমাসেক প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার নিচ্ছে। পাশাপাশি হিলহাউস, ইউবিএস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, ব্ল্যাকরক এবং ওকট্রি-ও এই প্রস্তাবে অংশ নিচ্ছে।


হংকং বাজারের উত্থান

এই তালিকাভুক্তি হংকংয়ের পুনরুত্থানকে নির্দেশ করছে, যেখানে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কিন বাজারের কঠোর নজরদারি এড়িয়ে পুঁজিতোলার নতুন বিকল্প হিসেবে শহরটিকে বেছে নিচ্ছে।

সম্প্রতি টয়মেকার মিনিসো ঘোষণা দিয়েছে যে তারা তাদের ‘টপ টয়’ ব্র্যান্ডকে আলাদা করে হংকংয়ে তালিকাভুক্ত করবে। একই সঙ্গে, চীনের স্বচালিত গাড়ি প্রযুক্তি কোম্পানি ‘মোমেন্টা’ও নিউইয়র্কের বদলে হংকংয়ে আইপিও স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে।

এ বছরের তথ্য অনুযায়ী, চীনা কোম্পানিগুলোর আইপিওর ঢলে হংকং এখন বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার হিসেবে উঠে এসেছে, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জকেও ছাড়িয়ে।

সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির এই পদক্ষেপ চীনা শিল্পখাতের বৈশ্বিক সম্প্রসারণের আরেকটি বড় ইঙ্গিত। একই সঙ্গে এটি হংকংয়ের বাজারে নতুন আস্থার বার্তা দিচ্ছে—যেখানে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা আবারও চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।


# চীন,# শেয়ারবাজার, #হংকং, #সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রি,# বিনিয়োগ, #অর্থনীতি,# আইপিও,# সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্গান সঙ্গীতে ধ্যানের আমন্ত্রণ এলেন আরকব্রো

হংকং বাজারে সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার বিক্রি শুরু

১০:০০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

চীনের ভারী যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রি হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়ে প্রায় ১.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২.৩৬ বিলিয়ন হংকং ডলার) তোলার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে তারা বৈশ্বিক বিক্রয় নেটওয়ার্ক, গবেষণা, এবং উৎপাদন ঘাঁটি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়।


শেয়ার বিক্রির কাঠামো

নিবন্ধন নথি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ৫৮ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, যার দাম নির্ধারিত হয়েছে ২০.৩০ থেকে ২১.৩০ হংকং ডলারের মধ্যে। চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে শুক্রবার, এবং শেয়ারটি লেনদেন শুরু করবে ২৮ অক্টোবর থেকে।

সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির সাংহাই-তালিকাভুক্ত শেয়ারের দাম এ বছর এখন পর্যন্ত ৩৬.৫ শতাংশ বেড়েছে, যা স্থানীয় বাজারের গড় প্রবৃদ্ধির দ্বিগুণেরও বেশি।


কোম্পানির কার্যক্রম ও পণ্য

সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রি ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষায়িত। তাদের পণ্যের মধ্যে রয়েছে খননযন্ত্র, ক্রেন, সড়ক নির্মাণ এবং পাইল-ড্রাইভিং সরঞ্জাম।
প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত, ব্রাজিল ও জার্মানিতে কারখানা রয়েছে, পাশাপাশি চীনের ভেতরে পাঁচটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রও পরিচালিত হচ্ছে।


তহবিলের ব্যবহার পরিকল্পনা

হংকংয়ে শেয়ার বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থের প্রায় ৪৫ শতাংশ ব্যয় হবে বৈশ্বিক বিক্রয় ও সেবা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে। প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায় এবং একই সঙ্গে এশিয়া ও সৌদি আরবজুড়ে বিক্রয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

আরও ২৫ শতাংশ যাবে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে, এবং ২০ শতাংশ ব্যয় হবে বিদেশে নতুন উৎপাদন ঘাঁটি নির্মাণে।


মূল বিনিয়োগকারীরা

নিবন্ধনপত্র অনুযায়ী, কর্নারস্টোন বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৭৫৯ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনেছেন। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের তেমাসেক প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার নিচ্ছে। পাশাপাশি হিলহাউস, ইউবিএস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, ব্ল্যাকরক এবং ওকট্রি-ও এই প্রস্তাবে অংশ নিচ্ছে।


হংকং বাজারের উত্থান

এই তালিকাভুক্তি হংকংয়ের পুনরুত্থানকে নির্দেশ করছে, যেখানে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কিন বাজারের কঠোর নজরদারি এড়িয়ে পুঁজিতোলার নতুন বিকল্প হিসেবে শহরটিকে বেছে নিচ্ছে।

সম্প্রতি টয়মেকার মিনিসো ঘোষণা দিয়েছে যে তারা তাদের ‘টপ টয়’ ব্র্যান্ডকে আলাদা করে হংকংয়ে তালিকাভুক্ত করবে। একই সঙ্গে, চীনের স্বচালিত গাড়ি প্রযুক্তি কোম্পানি ‘মোমেন্টা’ও নিউইয়র্কের বদলে হংকংয়ে আইপিও স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে।

এ বছরের তথ্য অনুযায়ী, চীনা কোম্পানিগুলোর আইপিওর ঢলে হংকং এখন বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার হিসেবে উঠে এসেছে, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জকেও ছাড়িয়ে।

সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রির এই পদক্ষেপ চীনা শিল্পখাতের বৈশ্বিক সম্প্রসারণের আরেকটি বড় ইঙ্গিত। একই সঙ্গে এটি হংকংয়ের বাজারে নতুন আস্থার বার্তা দিচ্ছে—যেখানে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা আবারও চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।


# চীন,# শেয়ারবাজার, #হংকং, #সানি হেভি ইন্ডাস্ট্রি,# বিনিয়োগ, #অর্থনীতি,# আইপিও,# সারাক্ষণ রিপোর্ট