জলবায়ু পরিবর্তন ও নগর পরিকল্পনার ঘাটতির যৌথ প্রভাব
টানা ভারি বৃষ্টিতে ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় উপকূলীয় অঞ্চলে অন্তত ১০ জন নিহত ও আটজন নিখোঁজ। পর্যটনকেন্দ্র হোই আনের আশপাশে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১.৭ মিটার বৃষ্টি হয়েছে; ৬০ বছরে দেখা যায়নি এমন উচ্চতার পানিতে ১ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি বাড়ি প্লাবিত। নদী উপচে সড়ক অদৃশ্য, সাবস্টেশন ডুবে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। নিম্নভূমির ওয়ার্ডে তিন মিটার পর্যন্ত পানিতে ফায়ার-রেসকিউ দল বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুসমেত পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছে। পরিবহন ও কৃষি অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি নিরূপণে আরো সময় লাগবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রতিরোধে ড্রেনেজ, রিটেনশন ও নির্মাণশৃঙ্খলা জরুরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনে বর্ষণের তীব্রতা বেড়েছে; পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণ ড্রেনেজ ঢেকে দিয়ে পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে। হোই আনের ঐতিহ্য এলাকায় পলিতে ভরা খাল ও নির্মাণবর্জ্য ব্যাকফ্লো বাড়িয়েছে—এটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছে। প্রাদেশিক পূর্বসতর্কতা ও নদী অববাহিকা-সমন্বয়নভিত্তিক যে মডেলটি ভিয়েতনাম ব্যবহার করে, সেটিও বড় পরীক্ষায় পড়েছে। বন্যাপ্রবণ জমিতে নির্মাণে কঠোর কোড, বড় রিটেনশন বেসিন ও স্বচ্ছ ভূমি-ব্যবহারের অডিটের দাবি জোরালো হচ্ছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে পানিবাহিত রোগ ঠেকাতে স্বাস্থ্যদল মাঠে নেমেছে। পর্যটন খাত শীতকালীন মৌসুমের আগে পুনরায় খোলার আশায় থাকলেও সড়ক ও সেতু মেরামতের গতিই পুনরুদ্ধার নির্ধারণ করবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















