শুল্কে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন ও খাতভিত্তিক প্রভাব
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীনা পণ্যে কিছু বিশেষ শুল্ক কমানো হবে—প্রথম ধাপে ফেন্টানিল-সংশ্লিষ্ট আইটেমে শুল্ক ১০ শতাংশে নামানো হবে। হোয়াইট হাউস বলছে, এর বিনিময়ে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ও কৃষিপণ্য বেশি কিনবে এবং সিন্থেটিক ওপিওইড তৈরির পূর্বধাপের রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণে আইন-প্রয়োগ সহযোগিতা বাড়াবে। বাজার এটিকে বড় ধরনের পুনরায় সমঝোতা নয়, বরং উত্তেজনা কমানোর কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাত বলছে—শুল্ক পরিষ্কার হলে শীত মৌসুমে সরবরাহ পরিকল্পনা সহজ হবে; তবে এক্সপোর্ট-কন্ট্রোল, ডেটা প্রবাহ ও নিরাপত্তাজনিত বিতর্ক অমীমাংসিতই রইল।

পরবর্তী ধাপ: বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও কূটনীতির সমীকরণ
এখন নজর থাকবে—শুল্ক কমানো কত দ্রুত বিধিতে পরিণত হয় এবং চীনের ক্রয়-অঙ্গীকার বাস্তবে কতটা আসে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল-শ্রেণির উন্নত এআই চিপ আলোচনায় ছিল না—মানে উন্নত কম্পিউটিং-নির্ভর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিত। খাতভিত্তিক সীমিত শুল্ক-রিলিফ ও প্রযুক্তিতে কড়া গার্ডরেইল—এই দ্বিমুখী পন্থা পূর্ণ সমঝোতার বদলে নিয়ন্ত্রিত ট্রুসের ইঙ্গিত দেয়। মিত্র রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে কোরিয়া-জাপান, স্বল্পমেয়াদে সরবরাহ শৃঙ্খলের অস্থিরতা কমবে বলে মানলেও, মাঝমেয়াদে মুদ্রা-শেয়ারবাজারে প্রবাহ পরিবর্তনের প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রে ঘটনাপ্রবাহ ও সংকট হটলাইন নিয়ে পাশের আলোচনাগুলোর বাস্তবায়ন হলে আস্থার সেতু গড়া যাবে। আপাতত কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্সিং, এন্টিটি-লিস্ট ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকি মাথায় রেখে কন্টিনজেন্সি পরিকল্পনা বজায় রাখতেই বলা হচ্ছে—কারণ মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতি যেকোনো সময় অবস্থান কঠোর করতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















