এশীয় মিত্রদের উদ্বেগ ও কূটনৈতিক প্রভাব
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে চীনের শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের দিনই প্রায় তিন দশকের বিরতি ভেঙে পারমাণবিক বিস্ফোরণমূলক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে “সমান ভিত্তিতে” আমেরিকা এগোবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্তারা জানান, কোনো সময়সূচি বা স্থানের সিদ্ধান্ত হয়নি; বর্তমানে নিয়মিত অ-বিস্ফোরণমূলক পরীক্ষা ও সিমুলেশন চলমান। কিন্তু বিস্ফোরক পরীক্ষা হলে কার্যত সমগ্র বিশ্বে সৃষ্ট নীতি—সামাজিক চাপ ভেঙে পড়তে পারে, বিশেষ করে সামগ্রিকভাবে কার্যকর না হলেও কমপ্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট–ব্যান ট্রিটির (CTBT) অনানুষ্ঠানিক মানদণ্ড ক্ষুণ্ন হবে।
কৌশলগত হিসাব–নিকাশ ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের বার্তা বাণিজ্য–প্রযুক্তি উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শি–এর সঙ্গে ‘স্থিতিশীলতা’ আলোচনার আড়ালে আলো কাড়ে। বেইজিং স্থিতিশীলতা চাইলেও মস্কো তাদের নিজস্ব পরীক্ষার কথাই সামনে আনে। মার্কিন পরীক্ষা হলে প্রতিসম প্রতিক্রিয়া উসকে যেতে পারে; কোরীয় উপদ্বীপ, ইরান ও বৈশ্বিক নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টা জটিল হবে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা এটিকে আধুনিকীকরণ হিসেবে দেখছেন; ডেমোক্র্যাটরা পরিবেশগত ঝুঁকি ও কূটনৈতিক খরচ স্মরণ করাচ্ছেন। নেভাদা সাইটের প্রস্তুতি, সরবরাহ ব্যবস্থা, ও চুক্তি–রাজনীতির প্রশ্নে পরিকল্পনাকারীদের ‘ডেটা লাভ’ বনাম উন্নত সাবক্রিটিক্যাল পরীক্ষা–সিমুলেশনের তুলনামূলক মূল্য বিবেচনা করতে হবে। সিউল–টোকিওর মতো মিত্রদের কাছে এটি আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি, যদিও তারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউক্লিয়ার আবর’–এর ওপর নির্ভরশীল। লক্ষ্য যদি প্রতিপক্ষের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো হয়, তবে হোয়াইট হাউসকে দেখাতে হবে—মাশরুম ক্লাউড নয়, বিশ্বাসযোগ্য সংকেত দিয়েই যে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















