কেন কমাতে হচ্ছে, কতটা কমছে
অস্ট্রেলিয়ায় ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে বাতাস-সৌর বিদ্যুৎ ‘কার্টেইলমেন্ট’ বা জোরপূর্বক কমানো তিনগুণের বেশি বেড়ে ৩.৯ টেরাওয়াট-ঘণ্টায় পৌঁছেছে—নবায়নের মোট আউটপুটের প্রায় ৬.৮ শতাংশ। কারণ—প্রকল্প দ্রুত বাড়লেও সংযোগ-সুবিধা, উচ্চ-ভোল্টেজ লাইন ও গ্রিড-স্ট্যাবিলিটি আপগ্রেড সে হারে এগোয়নি; বড় ব্যাটারি সংরক্ষণও এখনো যথেষ্ট স্কেলে নয়। কিছু সময় সূর্য-বায়ু প্রাচুর্যে দাম শূন্য বা নেতিবাচক হয়; সিস্টেম স্থিতি রক্ষায় অপারেটররা উৎপাদন কমাতে বলে। ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসে বোতল-গলা তীব্র, আন্তঃসংযোগ ও সিস্টেম-স্ট্রেংথ প্রকল্প পিছিয়ে। জাপান-কোরিয়াসহ এশীয় বাজারে রেকর্ড সৌর-বায়ু যুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই চিত্র দেখায়—লাইন-স্টোরেজ না বাড়ালে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ অপচয় হবেই।

সমাধানের পথ ও আঞ্চলিক শিক্ষা
বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব তিন ভাগে। এক, দ্রুত উচ্চ-ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন, ইন্টারকানেক্টর ও সিনক্রোনাস কনডেনসার বসানো—যাতে ট্রান্সফার-ক্যাপাসিটি ও সিস্টেম-স্ট্রেংথ বাড়ে। দুই, ইউটিলিটি-স্কেল স্টোরেজ ত্বরান্বিত করা—দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও পাম্পড-হাইড্রো দিয়ে দুপুরের উদ্বৃত্ত ধরে সন্ধ্যার পিকে ছাড়ানো। তিন, বাজার-নিয়ম হালনাগাদ—ইভি চার্জিং, সবুজ হাইড্রোজেন, নমনীয় শিল্প-লোডকে উদ্বৃত্ত শোষণে দরপত্র দিতে দেওয়া। এশিয়ার জন্য বার্তা পরিষ্কার—‘জেনারেশন-ফার্স্ট’ নয়, ‘গ্রিড-ফার্স্ট’ পরিকল্পনা প্রয়োজন। সুফল হলো—কার্টেইলমেন্ট সমাধানযোগ্য; ঝুঁকি—রাজনৈতিক বিলম্ব ও ব্যয়ের চাপ। বিদ্যুতায়ন দ্রুত এগোচ্ছে, কয়লা প্ল্যান্ট অবসর নিচ্ছে—প্রতি পরিচ্ছন্ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা কাজে লাগানো তাই অর্থনীতি ও জলবায়ু—দুই দিক থেকেই অপরিহার্য।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















