ঘোষণা কী, প্রতিক্রিয়া কেমন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, রাশিয়া-চীনের ‘সমান ভিত্তিতে’ যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করবে—যাতে বাস্তবসম্মত পরিস্থিতিতে প্রতিরোধক্ষমতা যাচাই সম্ভব হয়। সাবক্রিটিক্যাল পরীক্ষা ও সুপারকম্পিউটার সিমুলেশনে ভর করে যে বহু দশকের ‘মোরাটোরিয়াম’ চলছিল, এটি তার বড় বিচ্যুতি। সমর্থকেরা বলছেন—এতে বার্তা যায় যে মার্কিন ‘ডিটারেন্স’ বাস্তবিকই কার্যকর। তবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণপন্থীরা সতর্ক করছেন—নতুন করে পরীক্ষা শুরু হলে প্রতিদ্বন্দ্বী ও আঞ্চলিক শক্তিরাও একই পথে হাঁটতে পারে। আইনি দৃষ্টিতেও প্রশ্ন আছে—কংগ্রেস ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কীভাবে অবহিত করা হবে, সম্ভাব্য সাইটে পরিবেশগত নিরাপত্তা কী প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত হবে।

ঝুঁকি: জোট, অ-প্রসারণ ও দেশীয় রাজনীতি
যদি বাস্তবে পরীক্ষা হয়, মিত্র-রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়বে। ইউরোপ-এশিয়ার অংশীদারেরা স্থিতিশীলতা চান; ঘরোয়া রাজনীতিতে প্রতিবাদ বাড়তে পারে। টেকনিক্যাল যুক্তিও খতিয়ে দেখা হবে: বহু বিজ্ঞানীর মতে, আধুনিক ডায়াগনস্টিক-সিমুলেশনেই ওয়ারহেডের নিরাপত্তা-বিশ্বস্ততা যাচাই সম্ভব। দেশীয়ভাবে ঐতিহাসিক টেস্ট-রেঞ্জের আশপাশের কমিউনিটি পরিবেশ মূল্যায়ন, স্বাস্থ্য গ্যারান্টি ও ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা চাইবে। বড় কৌশলগত মূল্য—পরীক্ষায় ফেরত গেলে অন্যদের কাছে সংযমের বার্তা দেওয়ার নৈতিক অবস্থান দুর্বল হতে পারে; ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়াম উৎপাদন বা ক্ষেপণাস্ত্র সীমায় চাপ কমে। পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত নাও হতে পারে, তবু এই সংকেতই আলোচনার মানচিত্র বদলে দেয় এবং কংগ্রেসে বিধিবদ্ধ তদারকি নিয়ে নতুন বিতর্ক ডেকে আনে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















