অঙ্গীকার বনাম ময়দানের বাস্তবতা
অস্ত্রবিরতির প্রতি নতুন করে সমর্থন জানানো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজায় আবার বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সেনাবাহিনী বলছে, রকেট ছোড়া ও জনবহুল এলাকায় টানেল-মুভমেন্টের জবাবে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হতাহত ও নতুন বাস্তুচ্যুতির খবর দিয়েছে; আগের ধ্বংসস্তূপের ওপর আরও ধ্বংস যোগ হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা সতর্ক করেছেন—যে কোনো ভুল পদক্ষেপ বন্দি-বিনিময় ও মানবিক সহায়তা-সমন্বয়ের গতি থামিয়ে দিতে পারে, যা শান্ত দিনগুলোর ওপরই নির্ভর করে। ত্রাণকর্মীরা বলছেন, জ্বালানি ও সার্জিক্যাল সরঞ্জাম মারাত্মকভাবে সংকটে; নিরাপত্তা তল্লাশি ও বিচ্ছিন্ন গোলাবর্ষণের কারণে করিডরগুলো খোলা-বন্ধ হচ্ছে।

প্রতিবেশী চাপ ও ডি-এস্কেলেশনের রূপরেখা
মিশর ও কাতার উভয় পক্ষকে যাচাইযোগ্য পদক্ষেপে রাজি করাতে চাপ দিচ্ছে—রকেট ছোড়া বন্ধ, জিপিএস-ট্যাগ করা ত্রাণ কনভয়, ও তৃতীয় পক্ষের নজরদারিতে ধাপে ধাপে বন্দি-বিনিময়। ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী সভা দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্যে কড়াকড়ি ও প্রবেশপথে স্ক্রিনিং জোরদারের কথা বলছে। প্রভাব বজায় রাখতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ‘প্রতিরোধের ধারাবাহিকতা’ দেখাচ্ছে, যদিও বেসামরিক দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র সংযমের আহ্বান জানিয়েছে; নতুন উত্তেজনা বৃহত্তর আঞ্চলিক কূটনীতিকে জটিল করবে। বিশ্লেষকদের মতে, টেকসই শান্তির জন্য সময়-সীমাবদ্ধ বিরতি, বিশ্বাসযোগ্য যাচাইব্যবস্থা ও দেশীয় পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক কাভার—এই সমন্বিত প্যাকেজ জরুরি। নচেৎ ‘অস্ত্রবিরতির ভাষা, রাতে এয়ারস্ট্রাইক’—এই বৈপরীত্যই স্থায়ী বাস্তবতা হয়ে উঠতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















