পিএমআই দেখাচ্ছে রপ্তানি অর্ডার কমেছে
অক্টোবরে প্রকাশিত ব্যবসায়িক জরিপে এশিয়ার বড় উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে গতি কমার ইঙ্গিত মিলেছে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে রপ্তানি অর্ডার সংকুচিত হয়েছে। প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধি ও জটিল কমপ্লায়েন্স, সঙ্গে প্রত্যাশিত টেক-চক্রের পুনরুদ্ধার না হওয়া। ওয়াশিংটন-বেইজিং সাময়িক ট্রুজে আস্থা কিছুটা ফিরলেও ভলিউম বাড়েনি। আগের শুল্কসীমার আগে যে সব প্রতিষ্ঠান অগ্রিম চালান দিয়েছিল, তারা এখন পাতলা পাইপলাইনে পড়েছে। বিপরীতে ভারত ঘরোয়া চাহিদায় অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল, ভিয়েতনাম-ইন্দোনেশিয়া ভোক্তাপণ্যে মিশ্র প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
‘চায়না-প্লাস-ওয়ান’ ও পণ্য বিন্যাসে পাল্টা কৌশল
উৎপাদকরা দ্রুত বৈচিত্র্য আনছে—ভারত বা আসিয়ানে নতুন টুলিং, ডুয়াল-সোর্সিং, আর নন-ইউএস বাজারে বিক্রির প্রচেষ্টা। দক্ষিণ কোরিয়া সেমিকন্ডাক্টর ও ইভি পার্টসে প্রণোদনা দিচ্ছে। চীন দুর্বল ইউয়ান ও রাজস্ব প্রণোদনায় অর্ডার টিকিয়ে রাখতে চাইছে, পাশাপাশি স্থানীয় চিপ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল-সফটওয়্যার স্ট্যাক গড়ছে। লজিস্টিকস ম্যানেজাররা বলছেন, শুল্কজনিত রাউটিং-কমপ্লায়েন্সে খরচ বেড়েছে, ফলে রাজস্ব স্থিত থাকলেও মার্জিনে চাপ। ২০২৬ শুরুর ঝুঁকি হলো দীর্ঘ ‘প্ল্যাটো’—না ধস, না বুম; কিন্তু কম ব্যবহার হার, যা পুঁজি বিনিয়োগকে ঠেকায়। নীতিনির্ধারকেরা লক্ষ্যভিত্তিক ভর্তুকি-করছাড়ে এ ফাঁক কাটাতে চান। আপাতত কারখানার মন্ত্র—‘কার্যকারিতার চেয়ে স্থিতিস্থাপকতা’।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















