সরবরাহ-চাহিদার ভারসাম্যে সতর্কতা
ওপেক+ ডিসেম্বরের ক্ষুদ্র বৃদ্ধি ছাড়াও ২০২৬-এর প্রথম প্রান্তিকে উৎপাদন স্থির রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। লক্ষ্য—শীতকালীন অতিরিক্ত সরবরাহ এড়ানো। সাম্প্রতিক দুর্বল চাহিদা ও অস্থির অর্থনৈতিক সূচকে সদস্য দেশগুলো বাজেট স্থিতি চাইছে। সিদ্ধান্তের পর ব্রেন্ট একটু বেড়েছে; শোধনাগারগুলো মৌসুমি জ্বালানি চাহিদা ও সম্ভাব্য রান-কাটের হিসাব কষছে।
দীর্ঘমেয়াদি সংকেত ও ইভি রূপান্তর
সংযম দামকে সহায়তা দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে এটি বিদ্যুতায়িত পরিবহন ও জ্বালানি দক্ষতাকে ত্বরান্বিত করতে পারে। বিশ্বব্যাপী দৈনিক চাহিদা এখনো ১০ কোটির বেশি ব্যারেল, তাই বাজার স্থিতি রাখতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনাই জোটের প্রধান টুল। তবে মার্কিন শেল, নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার রপ্তানি, আর চীনের পণ্য রপ্তানি কোটার দিকেও নজর রাখতে হবে—এসবই ওপেক+-এর পদক্ষেপকে শক্ত বা দুর্বল করতে পারে। ২০২৬-এর মাঝামাঝি চাহিদা জোরদার হলে আবারও ‘বাজার ভাগ বনাম মূল্য শৃঙ্খলা’—এই পুরোনো দ্বিধায় পড়তে পারে জোট।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















