যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা সংস্থা চরম সংকটে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অর্থ ছাঁট ও নীতিগত সিদ্ধান্তে সংস্থাটির কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে দুই হাজার ছাব্বিশ সালের শুরুতেই তহবিল ফুরিয়ে যেতে পারে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য আর্থিক অনিয়ম ও প্রতারণার বিরুদ্ধে শেষ আশ্রয়টিও হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভোক্তার জীবনে বদল আনা সংস্থার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
এই সংস্থার সহায়তায় বহু মানুষ ঋণ সংক্রান্ত ভুল, প্রতারণা ও বেআইনি আদায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। শিক্ষক বিয়াঙ্কা জোন্সের মতো ভুক্তভোগীরা ভুল ক্রেডিট তথ্য সংশোধন করে বাড়ি কেনার সুযোগ পেয়েছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ হয়েছে, সংস্থাটির হস্তক্ষেপ ছাড়া অনেক ভোক্তার পক্ষে বড় করপোরেশনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কার্যক্রম স্থবির
সংস্থাটির জন্ম হয়েছিল দুই হাজার দশ সালে আর্থিক সংকটের পর ভোক্তাদের সুরক্ষায়। তবে বর্তমান প্রশাসন একে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে আখ্যা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছে। প্রশাসনের দাবি, সংস্থাটি অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুক্তবাজারে বাধা সৃষ্টি করছে। এর ফলে কর্মী ছাঁটাই, তদন্ত স্থগিত ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।

সমর্থন ও সমালোচনার টানাপোড়েন
সমর্থকদের মতে, সংস্থাটি না থাকলে সাধারণ মানুষ আবারও ছড়ানো ছিটানো বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে, যেখানে দ্রুত সমাধান পাওয়া কঠিন। অন্যদিকে সমালোচকদের অভিযোগ, বিদ্যমান ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোই যথেষ্ট এবং নতুন সংস্থার প্রয়োজন নেই। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই আদালতে মামলা ও বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত সংস্থাটির অস্তিত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
বন্ধ হলে বাড়বে আর্থিক নির্যাতন
ভোক্তা অধিকারকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গেলে ঋণগ্রহীতা, নিম্নআয়ের পরিবার ও প্রতারণার শিকার মানুষদের জন্য সুরক্ষা কমে যাবে। গত এক দশকে সংস্থাটি ভোক্তাদের জন্য বিপুল অর্থ ফেরত আদায় করেছে, যা আর্থিক ন্যায়বিচারের একটি বড় দৃষ্টান্ত। সেই সুরক্ষা হারালে সাধারণ মানুষের ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















