ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন
ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) কাছে লাইসেন্সের আবেদন জমা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ অনলাইন ও অ্যাপ-ভিত্তিক সেবা প্রদান করবে, যেখানে নগদ লেনদেন ছাড়াই মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আবেদন জমার সময়সীমা ও প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ ব্যাংক ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করে। প্রথমে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারিত থাকলেও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এই তারিখেই চূড়ান্তভাবে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা শেষ হয়।
আবেদনকারী ১২টি প্রতিষ্ঠান
ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদন করা ১২টি প্রতিষ্ঠান হলো:
১. ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি
২. ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে
৩. আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই
৪. ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি

৫. বুস্ট-রবি
৬. আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত)
৭. অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মার্স
৮. নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ারের যৌথ উদ্যোগ)
৯. মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি
১০. উপকারি ডিজিটাল ব্যাংক
১১. মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ
১২. বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক

ডিজিটাল ব্যাংক নীতিমালার মূল বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের ১৪ জুন ডিজিটাল ব্যাংক নীতিমালা প্রকাশ করে। এই নীতিমালায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়।
১. মূলধন:
ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে।
২. শাখাবিহীন কার্যক্রম:
ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম, সিডিএম বা সিআরএম স্থাপন করতে পারবে না। ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবাও দেওয়া যাবে না।
৩. সেবা প্রদানের ধরন:
সব সেবা সম্পূর্ণভাবে অ্যাপ বা অনলাইন-ভিত্তিক হতে হবে, যাতে ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান নিশ্চিত করা যায়।
৪. পণ্য ও লেনদেন:
ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোডসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। তবে তারা কোনো প্লাস্টিক কার্ড (যেমন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড) ইস্যু করতে পারবে না। গ্রাহকরা চাইলে অন্যান্য প্রচলিত ব্যাংকের এটিএম ও এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
.jpg)
৫. ঋণ নীতিমালা:
ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কোনো এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারবে না এবং বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না। তারা শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
৬. আইপিও বাধ্যবাধকতা:
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি ডিজিটাল ব্যাংককে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে (আইপিও)। এ সময় তাদের আইপিওর পরিমাণ প্রতিষ্ঠাতাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ধারণা
ডিজিটাল ব্যাংকিং হলো অনলাইন ব্যাংকিংয়ের একটি বিস্তৃত ধারা, যা মূলত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সম্পূর্ণ ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এর মাধ্যমে নগদহীন লেনদেন, সময় সাশ্রয়, এবং সার্বক্ষণিক ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
																			
																সারাক্ষণ রিপোর্ট								 



















