০৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫১) মৃতদের আহ্বান: মেক্সিকোর মৃত্যু সংস্কৃতির পুনর্মূল্যায়ন সীতাকুণ্ডে প্রার্থী ঘোষণাকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের প্রশাসনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে শেয়ারবাজারে টানা পতন: ডিএসই ও সিএসই-তে লেনদেন কমেছে অনলাইন জুয়া লেনদেন বন্ধে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে কঠোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশের বিমান খাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে এয়ারবাস: ফরাসি দূত তালেবানের ‘গ্রেটার আফগানিস্তান’ মানচিত্র: শক্তির নয়, হতাশার প্রতিফলন সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অন্তত ৩০ ঢাকায় এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জাপানের বিনিয়োগে রেকো ডিক খনি: তামার ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত

বিশ্বজুড়ে তামার ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে জাপান পাকিস্তানের রেকো ডিক তামা-স্বর্ণ খনিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে জাপানের খনিজ নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।


জাপানের খনিজ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ইসলামাবাদ — বৈশ্বিক তামার ঘাটতির আশঙ্কা ঘনীভূত হওয়ায় জাপান এখন পাকিস্তানের রেকো ডিক তামা-স্বর্ণ খনি প্রকল্পে বিনিয়োগের পথে এগোচ্ছে। জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (JBIC) ও অন্যান্য জাপানি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটিতে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সুরক্ষায় জাপানের ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে ইঙ্গিত করছে।


জেবিআইসির আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি

গত মাসে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব জেবিআইসির গভর্নর নোবুমিতসু হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১৬ অক্টোবরের বিবৃতিতে বলা হয়, “রেকো ডিক ঋণদাতা গোষ্ঠীতে জেবিআইসির আনুষ্ঠানিক যোগদান বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং জাপানি ব্যবসাগুলিকে পাকিস্তানে সম্প্রসারণে উৎসাহিত করবে।”

যদিও জেবিআইসি আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে তারা প্রকল্পটিতে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।

এক সরকারি সূত্র নিক্কেই এশিয়াকে জানায়, জেবিআইসি পাকিস্তানের খনিজ খাতে আগ্রহী এবং আগামী বছরের প্রথম দিকে ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


রেকো ডিক: বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তামা খনি

রেকো ডিক পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানে অবস্থিত এক বিশাল তামা-স্বর্ণ খনি প্রকল্প। এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তামা খনি হতে পারে। জেবিআইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডিগবি ওয়েলসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটি দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি ধাপে বছরে ৪ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন আকরিক প্রক্রিয়াজাত করা হবে, যার মাধ্যমে ৮ লাখ টন তামা কনসেনট্রেট উৎপাদন হবে, যেখানে তামার ঘনত্ব থাকবে ২৬ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

খনি কার্যক্রম ২০২৮ সালে শুরু হয়ে ৩৮ বছর ধরে চলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


কমাতসুর ৪৪ কোটি ডলারের চুক্তি

রেকো ডিক প্রকল্পে জাপানের আগ্রহ শুধু জেবিআইসির মধ্যে সীমিত নয়। জাপানি খনির যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কমাতসু ইতিমধ্যে ৪৪ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে, যার আওতায় তারা প্রকল্পের জন্য ভারী খনির যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে।

সূত্র জানায়, কমাতসু করাচিতে একটি স্থানীয় ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে এবং সেখানে জাপানি ও অন্যান্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।


এডিবির (ADB) অংশগ্রহণ

রেকো ডিক প্রকল্পে জাপানের অংশগ্রহণ আরও একটি পথে প্রতিফলিত হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (ADB) মাধ্যমে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ব্যাংকটির ১৫.৫ শতাংশ শেয়ারধারী, এবং ঐতিহাসিকভাবে এর সকল প্রেসিডেন্টই জাপানি নাগরিক।

এই বছরের আগস্টে এডিবি রেকো ডিক প্রকল্পের জন্য ৩০ কোটি ডলার ঋণ এবং ১১ কোটি ডলারের ঋণ-গ্যারান্টি অনুমোদন করেছে।

এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেছেন, “রেকো ডিক প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে মজবুত করবে, পরিষ্কার জ্বালানি পরিবর্তনে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিকভাবে ডিজিটাল উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেবে।”

World Bank tribunal rules against Pakistan in Reko Diq project case -  Pakistan - DAWN.COM

কৌশলগত খনিজ সরবরাহে জাপানের আগ্রহ

সবকিছু মিলিয়ে, এই পদক্ষেপগুলো দেখাচ্ছে যে জাপান এখন বৈশ্বিক খনিজ সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন কৌশল নিচ্ছে। জেবিআইসির মুখপাত্র বলেন, “তামাসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বৈশ্বিক সরবরাহ ক্রমেই সীমিত হচ্ছে। রেকো ডিক পাকিস্তানের প্রথম বৃহৎ খনিজ উন্নয়ন প্রকল্প হতে পারে, যা বৈশ্বিক তামা সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”


তামার ঘাটতি ও বৈশ্বিক চাহিদা

তামা নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি, স্মার্টফোন ও ডেটা সেন্টার উৎপাদনে অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (IEA) মে মাসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “২০৩৫ সালের মধ্যে ঘোষিত প্রকল্পগুলোর তামা ও লিথিয়াম উৎপাদন প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে, ফলে সরবরাহে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতি দেখা দিতে পারে।”


পাকিস্তানের নতুন বাজার সুযোগ

এই বৈশ্বিক ঘাটতির মধ্যেই পাকিস্তান তার খনিজ সম্পদ আন্তর্জাতিক বাজারে সফলভাবে উপস্থাপন করছে বলে মনে করেন ইসলামাবাদভিত্তিক চিন্তক সংস্থা সানোবার ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কামার চীমা।

তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে জাপানের রেকো ডিকে বিনিয়োগ স্বাভাবিক।”


জাপানের ভৌগোলিক সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা

কনসোর্টিয়াম ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড ইউরেশিয়ান স্টাডিজের (CAPES) প্রেসিডেন্ট খুররম ইকবাল বলেন, “পেরু, চিলে ও কানাডার তুলনায় রেকো ডিক জাপানের কাছাকাছি অবস্থিত, যা বিনিয়োগের জন্য ভূগোলগতভাবে সুবিধাজনক।”

তিনি আরও বলেন, জাপানের অংশগ্রহণ পাকিস্তানের খনি খাতে নতুন বিনিয়োগ উৎস যোগ করবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খনি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

“কমাতসুর উন্নত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা পাকিস্তানের খনি খাতের কার্যকারিতা ও উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে,” ইকবাল আরও বলেন।


#Reko_Diq_Japan_Investment

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫১)

জাপানের বিনিয়োগে রেকো ডিক খনি: তামার ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত

০৫:১৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

বিশ্বজুড়ে তামার ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে জাপান পাকিস্তানের রেকো ডিক তামা-স্বর্ণ খনিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে জাপানের খনিজ নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।


জাপানের খনিজ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ইসলামাবাদ — বৈশ্বিক তামার ঘাটতির আশঙ্কা ঘনীভূত হওয়ায় জাপান এখন পাকিস্তানের রেকো ডিক তামা-স্বর্ণ খনি প্রকল্পে বিনিয়োগের পথে এগোচ্ছে। জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (JBIC) ও অন্যান্য জাপানি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটিতে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সুরক্ষায় জাপানের ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে ইঙ্গিত করছে।


জেবিআইসির আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি

গত মাসে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব জেবিআইসির গভর্নর নোবুমিতসু হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১৬ অক্টোবরের বিবৃতিতে বলা হয়, “রেকো ডিক ঋণদাতা গোষ্ঠীতে জেবিআইসির আনুষ্ঠানিক যোগদান বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং জাপানি ব্যবসাগুলিকে পাকিস্তানে সম্প্রসারণে উৎসাহিত করবে।”

যদিও জেবিআইসি আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে তারা প্রকল্পটিতে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।

এক সরকারি সূত্র নিক্কেই এশিয়াকে জানায়, জেবিআইসি পাকিস্তানের খনিজ খাতে আগ্রহী এবং আগামী বছরের প্রথম দিকে ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


রেকো ডিক: বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তামা খনি

রেকো ডিক পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানে অবস্থিত এক বিশাল তামা-স্বর্ণ খনি প্রকল্প। এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তামা খনি হতে পারে। জেবিআইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডিগবি ওয়েলসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটি দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি ধাপে বছরে ৪ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন আকরিক প্রক্রিয়াজাত করা হবে, যার মাধ্যমে ৮ লাখ টন তামা কনসেনট্রেট উৎপাদন হবে, যেখানে তামার ঘনত্ব থাকবে ২৬ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

খনি কার্যক্রম ২০২৮ সালে শুরু হয়ে ৩৮ বছর ধরে চলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


কমাতসুর ৪৪ কোটি ডলারের চুক্তি

রেকো ডিক প্রকল্পে জাপানের আগ্রহ শুধু জেবিআইসির মধ্যে সীমিত নয়। জাপানি খনির যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কমাতসু ইতিমধ্যে ৪৪ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে, যার আওতায় তারা প্রকল্পের জন্য ভারী খনির যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে।

সূত্র জানায়, কমাতসু করাচিতে একটি স্থানীয় ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে এবং সেখানে জাপানি ও অন্যান্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।


এডিবির (ADB) অংশগ্রহণ

রেকো ডিক প্রকল্পে জাপানের অংশগ্রহণ আরও একটি পথে প্রতিফলিত হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (ADB) মাধ্যমে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ব্যাংকটির ১৫.৫ শতাংশ শেয়ারধারী, এবং ঐতিহাসিকভাবে এর সকল প্রেসিডেন্টই জাপানি নাগরিক।

এই বছরের আগস্টে এডিবি রেকো ডিক প্রকল্পের জন্য ৩০ কোটি ডলার ঋণ এবং ১১ কোটি ডলারের ঋণ-গ্যারান্টি অনুমোদন করেছে।

এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেছেন, “রেকো ডিক প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে মজবুত করবে, পরিষ্কার জ্বালানি পরিবর্তনে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিকভাবে ডিজিটাল উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেবে।”

World Bank tribunal rules against Pakistan in Reko Diq project case -  Pakistan - DAWN.COM

কৌশলগত খনিজ সরবরাহে জাপানের আগ্রহ

সবকিছু মিলিয়ে, এই পদক্ষেপগুলো দেখাচ্ছে যে জাপান এখন বৈশ্বিক খনিজ সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন কৌশল নিচ্ছে। জেবিআইসির মুখপাত্র বলেন, “তামাসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বৈশ্বিক সরবরাহ ক্রমেই সীমিত হচ্ছে। রেকো ডিক পাকিস্তানের প্রথম বৃহৎ খনিজ উন্নয়ন প্রকল্প হতে পারে, যা বৈশ্বিক তামা সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”


তামার ঘাটতি ও বৈশ্বিক চাহিদা

তামা নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি, স্মার্টফোন ও ডেটা সেন্টার উৎপাদনে অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (IEA) মে মাসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “২০৩৫ সালের মধ্যে ঘোষিত প্রকল্পগুলোর তামা ও লিথিয়াম উৎপাদন প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে, ফলে সরবরাহে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতি দেখা দিতে পারে।”


পাকিস্তানের নতুন বাজার সুযোগ

এই বৈশ্বিক ঘাটতির মধ্যেই পাকিস্তান তার খনিজ সম্পদ আন্তর্জাতিক বাজারে সফলভাবে উপস্থাপন করছে বলে মনে করেন ইসলামাবাদভিত্তিক চিন্তক সংস্থা সানোবার ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কামার চীমা।

তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ খনিজের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে জাপানের রেকো ডিকে বিনিয়োগ স্বাভাবিক।”


জাপানের ভৌগোলিক সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা

কনসোর্টিয়াম ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড ইউরেশিয়ান স্টাডিজের (CAPES) প্রেসিডেন্ট খুররম ইকবাল বলেন, “পেরু, চিলে ও কানাডার তুলনায় রেকো ডিক জাপানের কাছাকাছি অবস্থিত, যা বিনিয়োগের জন্য ভূগোলগতভাবে সুবিধাজনক।”

তিনি আরও বলেন, জাপানের অংশগ্রহণ পাকিস্তানের খনি খাতে নতুন বিনিয়োগ উৎস যোগ করবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খনি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

“কমাতসুর উন্নত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা পাকিস্তানের খনি খাতের কার্যকারিতা ও উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে,” ইকবাল আরও বলেন।


#Reko_Diq_Japan_Investment