০৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫১) মৃতদের আহ্বান: মেক্সিকোর মৃত্যু সংস্কৃতির পুনর্মূল্যায়ন সীতাকুণ্ডে প্রার্থী ঘোষণাকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের প্রশাসনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে শেয়ারবাজারে টানা পতন: ডিএসই ও সিএসই-তে লেনদেন কমেছে অনলাইন জুয়া লেনদেন বন্ধে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে কঠোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশের বিমান খাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে এয়ারবাস: ফরাসি দূত তালেবানের ‘গ্রেটার আফগানিস্তান’ মানচিত্র: শক্তির নয়, হতাশার প্রতিফলন সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অন্তত ৩০ ঢাকায় এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কপ৩০ শুরুর আগেই নতুন জলবায়ু লক্ষ্য ঠিক করতে হুড়োহুড়ি ইইউর

শীর্ষ বৈঠকে প্রতিশ্রুতি না থাকায় অস্বস্তি
ব্রাসেলসে মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রীরা বসেছেন এক কঠিন বাস্তবতা নিয়ে—ব্রাজিলের বেলেঁমে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলন শুরু হতে আর কয়েকদিনও নেই, কিন্তু ইইউর হাতে এখনও আপডেট করা লক্ষ্য নেই। কয়েকটি দেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী খসড়াকে সমর্থন করেছে; এতে নির্গমন আরও কমানোর পাশাপাশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য বাড়তি অর্থের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু কিছু সদস্য বলেছে, এমন সময়ে বাড়তি অঙ্গীকার দেওয়া কঠিন যখন বিদ্যুতের দাম উঁচু, প্রতিযোগিতা বাড়ছে এবং বাজেট চাপে আছে। কূটনীতিকেরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যখন ইউরোপ বারবার আরও বাড়তি প্রতিশ্রুতি দিতে বলেছে, তখন নিজেদেরই ফাঁকা হাতে কপে পৌঁছানো রাজনৈতিকভাবে বিব্রতকর হবে।

শিল্পের চাপের সঙ্গে নেতৃত্ব ধরে রাখার চেষ্টা
বিতর্কের মূল জায়গা হলো গতি। অধিকাংশ দেশ জানে, ২০৩০ সালের ৫৫ শতাংশ কাটছাঁটের লক্ষ্য দিয়ে আর সামাল দেওয়া যাবে না; ২০৩৫-এর পরের জন্য আরও কড়া পথরেখা দরকার। কিন্তু কতটা কঠোর হওয়া যায়, সে বিষয়ে একমত নয় সবাই। উত্তর ইউরোপ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ ও ভবনখাতে দ্রুত ছাঁটাই চায়; পূর্ব ইউরোপ বলছে, তাদেরকে সময় ও বাড়তি তহবিল ছাড়া তা সম্ভব নয়। আলোচনায় থাকা সমঝোতা খসড়ায় তাই একটি শক্তিশালী নির্গমন লক্ষ্যকে জ্বালানি আন্তঃসংযোগ, সীমান্ত পারাপারে বিদ্যুৎ বিনিয়োগ, পরমাণুসমর্থিত অর্থায়ন ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মাধ্যমে বেসরকারি অর্থ টানার পরিকল্পনার সঙ্গে বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত হলেও বেলেঁমে গিয়ে ইইউকে দেখাতে হবে যে ২০২৬ বা ২০২৭ সালে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এই অঙ্গীকারকে ভেঙে দেবে না। জলবায়ু কর্মীরা বলছেন, রেকর্ড তাপপ্রবাহের পর এমন দুর্বল উপস্থিতি একেবারেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫১)

কপ৩০ শুরুর আগেই নতুন জলবায়ু লক্ষ্য ঠিক করতে হুড়োহুড়ি ইইউর

০৫:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

শীর্ষ বৈঠকে প্রতিশ্রুতি না থাকায় অস্বস্তি
ব্রাসেলসে মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রীরা বসেছেন এক কঠিন বাস্তবতা নিয়ে—ব্রাজিলের বেলেঁমে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলন শুরু হতে আর কয়েকদিনও নেই, কিন্তু ইইউর হাতে এখনও আপডেট করা লক্ষ্য নেই। কয়েকটি দেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী খসড়াকে সমর্থন করেছে; এতে নির্গমন আরও কমানোর পাশাপাশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য বাড়তি অর্থের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু কিছু সদস্য বলেছে, এমন সময়ে বাড়তি অঙ্গীকার দেওয়া কঠিন যখন বিদ্যুতের দাম উঁচু, প্রতিযোগিতা বাড়ছে এবং বাজেট চাপে আছে। কূটনীতিকেরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যখন ইউরোপ বারবার আরও বাড়তি প্রতিশ্রুতি দিতে বলেছে, তখন নিজেদেরই ফাঁকা হাতে কপে পৌঁছানো রাজনৈতিকভাবে বিব্রতকর হবে।

শিল্পের চাপের সঙ্গে নেতৃত্ব ধরে রাখার চেষ্টা
বিতর্কের মূল জায়গা হলো গতি। অধিকাংশ দেশ জানে, ২০৩০ সালের ৫৫ শতাংশ কাটছাঁটের লক্ষ্য দিয়ে আর সামাল দেওয়া যাবে না; ২০৩৫-এর পরের জন্য আরও কড়া পথরেখা দরকার। কিন্তু কতটা কঠোর হওয়া যায়, সে বিষয়ে একমত নয় সবাই। উত্তর ইউরোপ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ ও ভবনখাতে দ্রুত ছাঁটাই চায়; পূর্ব ইউরোপ বলছে, তাদেরকে সময় ও বাড়তি তহবিল ছাড়া তা সম্ভব নয়। আলোচনায় থাকা সমঝোতা খসড়ায় তাই একটি শক্তিশালী নির্গমন লক্ষ্যকে জ্বালানি আন্তঃসংযোগ, সীমান্ত পারাপারে বিদ্যুৎ বিনিয়োগ, পরমাণুসমর্থিত অর্থায়ন ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মাধ্যমে বেসরকারি অর্থ টানার পরিকল্পনার সঙ্গে বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত হলেও বেলেঁমে গিয়ে ইইউকে দেখাতে হবে যে ২০২৬ বা ২০২৭ সালে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এই অঙ্গীকারকে ভেঙে দেবে না। জলবায়ু কর্মীরা বলছেন, রেকর্ড তাপপ্রবাহের পর এমন দুর্বল উপস্থিতি একেবারেই গ্রহণযোগ্য হবে না।