০৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
শেখ হাসিনা : ভারত কি অবশেষে তাকে ‘আনলক’ করছে? গাজায় সহিংসতা ও মানবিক সংকটের মাঝে ইসরায়েলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সুদানে দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ বিস্তার আরও দুই অঞ্চলে – বিপর্যয়ের মুখে লাখো মানুষ আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ জন নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহাসিক নীল মসজিদ মানবতার পরীক্ষায় বিশ্বব্যাপী আহ্বান ৯০ বছরের পুরানো জ্যাজ রেকর্ডের রাজত্ব ভিডিও গেমস এবং যুব সমাজ: আধুনিক প্রযুক্তি ও খেলাধুলার প্রভাব জাপানে বিমানযাত্রার খাবার: আকাশে এয়ারলাইন্সগুলো খাবারের মান উন্নত করেছে WTA ফাইনাল: ইগা শোয়াটেক ও এলেনা রাইবাকিনা প্রাথমিক জয়ে আধিপত্য কে-পপ শিল্পে চুক্তির ক্ষমতার প্রমাণ — নিউজিনস ও এক্সও সদস্যদের মামলায় রায় ব্যবস্থাপনার পক্ষে

মাইক্রোচিপ যুগের অবসান: প্রযুক্তি দুনিয়ায় আসছে “ওয়েফার” বিপ্লব

প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত

মানব সভ্যতা এখন মাইক্রোচিপ যুগের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিপ্লব ঘটিয়েছে। তবে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে “ওয়েফার স্কেল” প্রযুক্তি, যা মাইক্রোচিপের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এক নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।


এনভিডিয়ার নেতৃত্ব ও বর্তমান চিপ বিপ্লব

বর্তমান মাইক্রোচিপ বিপ্লবের শীর্ষে রয়েছে এনভিডিয়া কর্পোরেশন। কোম্পানিটির বাজারমূল্য প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেনসেন হুয়াং সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত কোম্পানির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সম্মেলনে সর্বশেষ চিপ প্রযুক্তির উন্নয়ন তুলে ধরেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান দেশের অভ্যন্তরে চিপ উৎপাদন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য, যা দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল।


আধুনিক চিপের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা

এনভিডিয়ার নতুন চিপগুলো প্লাস্টিকের আবরণে তৈরি, প্রতিটিতে রয়েছে প্রায় ২০৮ বিলিয়ন ট্রানজিস্টর সুইচ, যার দাম প্রায় ৩০ হাজার ডলার। এসব চিপ এখন আর পৃথকভাবে কাজ করে না, বরং ডেটা সেন্টারে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বিশাল এক “হাইপারস্কেল” কম্পিউটার তৈরি করে—যা সমষ্টিগতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে।


বিশ্বের বৃহত্তম ডেটা সেন্টার “কলসাস ২”, যা এলন মাস্কের xAI প্রকল্প পরিচালনা করে, তাতে রয়েছে প্রায় এক মিলিয়ন এনভিডিয়া চিপ—যা গ্রোক ও স্বয়ংচালিত গাড়ির মতো প্রযুক্তির চালিকাশক্তি।


যুক্তরাষ্ট্রের চিপনীতি ও চীনের উত্থান

২০২২ সালের “চিপস অ্যাক্ট”-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চিপ উৎপাদনে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেয়, যার লক্ষ্য ছিল চিপ উৎপাদনকে চীনের প্রভাব থেকে দূরে রাখা।
তবে এই নীতির বিপরীত ফলও দেখা গেছে। ২০২০ সালের পর থেকে চীনে সেমিকন্ডাক্টর সরঞ্জাম উৎপাদন বছরে ৩০-৪০ শতাংশ হারে বেড়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই হার মাত্র ১০ শতাংশ।
হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপগুলিও দেশটির শিল্পখাতে বিপরীত প্রভাব ফেলেছে—যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রয় হারিয়েছে, অথচ হুয়াওয়ের বৈশ্বিক বাজার শেয়ার বেড়েছে।


সুরক্ষা নীতি ও শিল্পের স্থবিরতা

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্প সুরক্ষা নীতিগুলো প্রায়ই পুরোনো ও অচল শিল্পকে রক্ষা করে, নতুন উদ্ভাবনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। “চিপস অ্যাক্ট” তেমনি এক উদাহরণ, যা এখন ভুট্টা থেকে ইথানল, লুইজিয়ানার চিনিবিট কিংবা বিরল ধাতু খননের মতোই ভর্তুকি-নির্ভর শিল্পনীতির অংশে পরিণত হয়েছে।


এক্সট্রিম মেশিন: সীমারেখার পদার্থবিদ্যা

মাইক্রোচিপ উৎপাদনের কেন্দ্রে রয়েছে এক বিস্ময়কর যন্ত্র—“এক্সট্রিম মেশিন।” নেদারল্যান্ডসের কোম্পানি ASML তৈরি করে এই যন্ত্র, যার দাম প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন ডলার।
এটি এক ধরনের ক্যামেরা, যা আলোর প্যাটার্ন সিলিকন ওয়েফারের ওপর প্রক্ষেপণ করে চিপের নকশা তৈরি করে।
তবে পদার্থবিজ্ঞানের এক সীমা—যাকে বলা হয় “রেটিকল লিমিট”—নির্ধারণ করে দেয় চিপের সর্বোচ্চ আকার। প্রায় ৮০০ বর্গ মিলিমিটার (১.২৫ বর্গ ইঞ্চি) এর বেশি চিপ তৈরি করা আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারণে অসম্ভব।
এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে এখন ছোট ছোট “চিপলেট” তৈরি করা হচ্ছে, যা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বড় কাজ সম্পন্ন করে, কিন্তু এতে বাড়ছে জটিলতা, শক্তি খরচ ও যোগাযোগ ব্যয়।


চিপের পরবর্তী ধাপ: ওয়েফার স্কেল ইন্টিগ্রেশন

মাইক্রোচিপ যুগের অবসান ঘটাচ্ছে “ওয়েফার স্কেল ইন্টিগ্রেশন” ধারণা, যেখানে চিপ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
এই ধারণার প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন এলন মাস্ক তার টেসলার “ডোজো” প্রকল্পে, যা পরে “ডেনসিটি এআই” নামে পুনর্গঠিত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি সেরিব্রাস তাদের WSE-3 ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিনে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ট্রানজিস্টর ব্যবহার করেছে—যা এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল চিপের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি এবং মেমোরি ব্যান্ডউইথে ৭,০০০ গুণ দ্রুত। এই প্রযুক্তি ডেটা সেন্টারের আকারকে একটি ছোট বাক্সে সীমিত করতে সক্ষম।


নতুন উদ্ভাবন ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশ

ল্যাম রিসার্চ কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ল্যামও “মাল্টিবিম কর্প” প্রতিষ্ঠা করে এক নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা “মাল্টি-কলাম ই-বিম লিথোগ্রাফি” নামে পরিচিত।


এই পদ্ধতিতে রেটিকল সীমা অতিক্রম করে সরাসরি ওয়েফারে নকশা তৈরি করা সম্ভব।
ফলাফল—আর চিপ নয়, ওয়েফারই হবে ভবিষ্যতের প্রসেসর। এতে চীনের ওপর নির্ভরতা কমবে, আর ডেটা সেন্টার হয়ে উঠবে এক ক্ষুদ্র শক্তিশালী বাক্সে পরিণত কম্পিউটার।


 আমেরিকার সামনে নতুন সুযোগ

“চিপ যুগের” অবসান এক নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ওয়েফার স্কেল কম্পিউটিং কেবল শক্তি সাশ্রয় করবে না, বরং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কাঠামোকেও বদলে দেবে।
এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব যদি আমেরিকা নিতে পারে, তবে আগামী প্রজন্মের কম্পিউটিং ভবিষ্যৎ আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই গড়ে উঠবে।


#প্রযুক্তি #চিপবিপ্লব #কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা : ভারত কি অবশেষে তাকে ‘আনলক’ করছে?

মাইক্রোচিপ যুগের অবসান: প্রযুক্তি দুনিয়ায় আসছে “ওয়েফার” বিপ্লব

১২:০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত

মানব সভ্যতা এখন মাইক্রোচিপ যুগের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিপ্লব ঘটিয়েছে। তবে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে “ওয়েফার স্কেল” প্রযুক্তি, যা মাইক্রোচিপের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে এক নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।


এনভিডিয়ার নেতৃত্ব ও বর্তমান চিপ বিপ্লব

বর্তমান মাইক্রোচিপ বিপ্লবের শীর্ষে রয়েছে এনভিডিয়া কর্পোরেশন। কোম্পানিটির বাজারমূল্য প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেনসেন হুয়াং সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত কোম্পানির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সম্মেলনে সর্বশেষ চিপ প্রযুক্তির উন্নয়ন তুলে ধরেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান দেশের অভ্যন্তরে চিপ উৎপাদন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য, যা দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল।


আধুনিক চিপের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা

এনভিডিয়ার নতুন চিপগুলো প্লাস্টিকের আবরণে তৈরি, প্রতিটিতে রয়েছে প্রায় ২০৮ বিলিয়ন ট্রানজিস্টর সুইচ, যার দাম প্রায় ৩০ হাজার ডলার। এসব চিপ এখন আর পৃথকভাবে কাজ করে না, বরং ডেটা সেন্টারে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বিশাল এক “হাইপারস্কেল” কম্পিউটার তৈরি করে—যা সমষ্টিগতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে।


বিশ্বের বৃহত্তম ডেটা সেন্টার “কলসাস ২”, যা এলন মাস্কের xAI প্রকল্প পরিচালনা করে, তাতে রয়েছে প্রায় এক মিলিয়ন এনভিডিয়া চিপ—যা গ্রোক ও স্বয়ংচালিত গাড়ির মতো প্রযুক্তির চালিকাশক্তি।


যুক্তরাষ্ট্রের চিপনীতি ও চীনের উত্থান

২০২২ সালের “চিপস অ্যাক্ট”-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চিপ উৎপাদনে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেয়, যার লক্ষ্য ছিল চিপ উৎপাদনকে চীনের প্রভাব থেকে দূরে রাখা।
তবে এই নীতির বিপরীত ফলও দেখা গেছে। ২০২০ সালের পর থেকে চীনে সেমিকন্ডাক্টর সরঞ্জাম উৎপাদন বছরে ৩০-৪০ শতাংশ হারে বেড়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই হার মাত্র ১০ শতাংশ।
হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপগুলিও দেশটির শিল্পখাতে বিপরীত প্রভাব ফেলেছে—যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রয় হারিয়েছে, অথচ হুয়াওয়ের বৈশ্বিক বাজার শেয়ার বেড়েছে।


সুরক্ষা নীতি ও শিল্পের স্থবিরতা

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্প সুরক্ষা নীতিগুলো প্রায়ই পুরোনো ও অচল শিল্পকে রক্ষা করে, নতুন উদ্ভাবনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। “চিপস অ্যাক্ট” তেমনি এক উদাহরণ, যা এখন ভুট্টা থেকে ইথানল, লুইজিয়ানার চিনিবিট কিংবা বিরল ধাতু খননের মতোই ভর্তুকি-নির্ভর শিল্পনীতির অংশে পরিণত হয়েছে।


এক্সট্রিম মেশিন: সীমারেখার পদার্থবিদ্যা

মাইক্রোচিপ উৎপাদনের কেন্দ্রে রয়েছে এক বিস্ময়কর যন্ত্র—“এক্সট্রিম মেশিন।” নেদারল্যান্ডসের কোম্পানি ASML তৈরি করে এই যন্ত্র, যার দাম প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন ডলার।
এটি এক ধরনের ক্যামেরা, যা আলোর প্যাটার্ন সিলিকন ওয়েফারের ওপর প্রক্ষেপণ করে চিপের নকশা তৈরি করে।
তবে পদার্থবিজ্ঞানের এক সীমা—যাকে বলা হয় “রেটিকল লিমিট”—নির্ধারণ করে দেয় চিপের সর্বোচ্চ আকার। প্রায় ৮০০ বর্গ মিলিমিটার (১.২৫ বর্গ ইঞ্চি) এর বেশি চিপ তৈরি করা আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারণে অসম্ভব।
এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে এখন ছোট ছোট “চিপলেট” তৈরি করা হচ্ছে, যা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বড় কাজ সম্পন্ন করে, কিন্তু এতে বাড়ছে জটিলতা, শক্তি খরচ ও যোগাযোগ ব্যয়।


চিপের পরবর্তী ধাপ: ওয়েফার স্কেল ইন্টিগ্রেশন

মাইক্রোচিপ যুগের অবসান ঘটাচ্ছে “ওয়েফার স্কেল ইন্টিগ্রেশন” ধারণা, যেখানে চিপ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
এই ধারণার প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন এলন মাস্ক তার টেসলার “ডোজো” প্রকল্পে, যা পরে “ডেনসিটি এআই” নামে পুনর্গঠিত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি সেরিব্রাস তাদের WSE-3 ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিনে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ট্রানজিস্টর ব্যবহার করেছে—যা এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল চিপের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি এবং মেমোরি ব্যান্ডউইথে ৭,০০০ গুণ দ্রুত। এই প্রযুক্তি ডেটা সেন্টারের আকারকে একটি ছোট বাক্সে সীমিত করতে সক্ষম।


নতুন উদ্ভাবন ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশ

ল্যাম রিসার্চ কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ল্যামও “মাল্টিবিম কর্প” প্রতিষ্ঠা করে এক নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা “মাল্টি-কলাম ই-বিম লিথোগ্রাফি” নামে পরিচিত।


এই পদ্ধতিতে রেটিকল সীমা অতিক্রম করে সরাসরি ওয়েফারে নকশা তৈরি করা সম্ভব।
ফলাফল—আর চিপ নয়, ওয়েফারই হবে ভবিষ্যতের প্রসেসর। এতে চীনের ওপর নির্ভরতা কমবে, আর ডেটা সেন্টার হয়ে উঠবে এক ক্ষুদ্র শক্তিশালী বাক্সে পরিণত কম্পিউটার।


 আমেরিকার সামনে নতুন সুযোগ

“চিপ যুগের” অবসান এক নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ওয়েফার স্কেল কম্পিউটিং কেবল শক্তি সাশ্রয় করবে না, বরং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কাঠামোকেও বদলে দেবে।
এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব যদি আমেরিকা নিতে পারে, তবে আগামী প্রজন্মের কম্পিউটিং ভবিষ্যৎ আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই গড়ে উঠবে।


#প্রযুক্তি #চিপবিপ্লব #কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা