০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
উত্তর ভিয়েতনামের একটি মোটরসাইকেল যাত্রা শিল্পকে ছাড় দিয়ে ইইউর ২০৪০ জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত” আল্ট্রা-থিন অ্যান্ড্রয়েড ‘মটোরোলা এজ ৭০’ বাজারে ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু: এ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা মার্কিন সরকারে অচলাবস্থা অবসানে আলোচনায় গতি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত ট্রাম্পের সব শুল্ক স্থগিত করবে না সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আবেদন: আদালতে উত্তপ্ত শুনানি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ ঘোষণা শ্বাসকষ্ট: শরীরের ভেতরের সতর্ক সংকেত ও নিয়ন্ত্রণের উপায় প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ ঘোষণার পরে আবার বাতিল নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল সরকার গাজায় মানসিক আঘাতের সুনামি: সহিংসতার পর চিকিৎসা নিতে ছুটছেন হাজারো মানুষ

এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কৃষি বাণিজ্যে নতুন গতি

ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশের তিন শীর্ষ সয়াবিন ক্রাশিং কোম্পানি—মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং ডেল্টা অ্যাগ্রো—আগামী ১২ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে ইউ.এস. সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (USSEC) সঙ্গে, যা মার্কিন সয়াবিন কৃষকদের আন্তর্জাতিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের কৃষি খাতে মার্কিন পণ্যের জন্য একটি দ্রুত বর্ধনশীল বাজারের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং দুই দেশের মধ্যে কৃষি-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্সের প্রতিক্রিয়া

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এখন মার্কিন রপ্তানি বাজারে ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠছে। এই নতুন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে সয়াবিন বিক্রির পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।”

কৃষি-বাণিজ্যে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি

এই চুক্তি শুধু কৃষিপণ্য বাণিজ্যেই নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বাংলাদেশের ভোক্তা চাহিদা ও শিল্পখাতে সয়াবিনের ব্যবহারের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মার্কিন কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষক ও রপ্তানিকারকরা এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্থিতিশীল বাজার ও আয়ের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি

এক বিলিয়ন ডলারের এই সয়াবিন চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কৃষি বাণিজ্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি উভয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তর ভিয়েতনামের একটি মোটরসাইকেল যাত্রা

এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কৃষি বাণিজ্যে নতুন গতি

০৫:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশের তিন শীর্ষ সয়াবিন ক্রাশিং কোম্পানি—মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং ডেল্টা অ্যাগ্রো—আগামী ১২ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে ইউ.এস. সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (USSEC) সঙ্গে, যা মার্কিন সয়াবিন কৃষকদের আন্তর্জাতিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের কৃষি খাতে মার্কিন পণ্যের জন্য একটি দ্রুত বর্ধনশীল বাজারের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং দুই দেশের মধ্যে কৃষি-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্সের প্রতিক্রিয়া

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এখন মার্কিন রপ্তানি বাজারে ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠছে। এই নতুন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে সয়াবিন বিক্রির পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।”

কৃষি-বাণিজ্যে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি

এই চুক্তি শুধু কৃষিপণ্য বাণিজ্যেই নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বাংলাদেশের ভোক্তা চাহিদা ও শিল্পখাতে সয়াবিনের ব্যবহারের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মার্কিন কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষক ও রপ্তানিকারকরা এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্থিতিশীল বাজার ও আয়ের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি

এক বিলিয়ন ডলারের এই সয়াবিন চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কৃষি বাণিজ্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি উভয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।