০৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

ভালুকের হামলা ঠেকাতে আকিতায় জিএসডিএফ মোতায়েন

উত্তর জাপানের প্রিফেকচারে আতঙ্ক

জাপানের আকিতা প্রিফেকচারে এ বছর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া ভালুকের হামলা সামাল দিতে বুধবার দেশটির স্থল আত্মরক্ষাবাহিনীকে সহায়তায় ডাকা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, সেনারা বনাঞ্চলের ধারে টহল দেবে, গ্রামবাসীদের সতর্ক করবে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় শিকারি দলের সঙ্গে সমন্বয় করবে; তবে তারা সরাসরি প্রাণি নিধনে অংশ নেবে না। উষ্ণ শরৎকাল, বনভূমির পরিসর সঙ্কুচিত হওয়া এবং এ বছর বনে বাদামজাত খাবারের স্বল্পতার কারণে ভালুকগুলো খাবারের সন্ধানে গ্রাম ও কৃষিজমির কাছে চলে আসছে। বন্যপ্রাণি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, শীত ঘনিয়ে আসায় ভালুক এখন খাবার জোগাড়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, ফলে মানুষের জন্য ঝুঁকি বাড়বে।

সহাবস্থান নাকি নিধন

পরিবেশবিদরা বলছেন, জাপান বহু বছর ধরে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও গ্রামীণ নিরাপত্তার মধ্যে একটা ভারসাম্য ধরে রেখেছিল; কিন্তু চলতি মৌসুমের ধারাবাহিক হামলা সেই ভারসাম্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপকে জরুরি করে তুলেছে। কিছু স্থানীয় প্রতিনিধি বৃহত্তর নিধন অভিযানের পক্ষে, কারণ গ্রামে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি এবং তারা সবসময় পাহারা দিতে পারেন না। আবার অন্য পক্ষ মনে করছে, রিয়েল-টাইম সতর্কতা ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক বেড়া, গ্রামসংলগ্ন বর্জ্য পরিষ্কার ও খাবারের উৎস নিয়ন্ত্রণ করলে ভালুককে ঢোকার আগেই ঠেকানো যায়। কৃষি মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফল ও বাদাম ধরার সময় যদি বদলে গিয়ে মাঝেমাঝে খাদ্যসঙ্কট তৈরি করে, তাহলে ভালুক মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে কি না। আপাতত সরকার বলছে, জিএসডিএফ মোতায়েনের উদ্দেশ্য নাগরিকদের আশ্বস্ত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য জোগাড় করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

টরন্টোতে মাধুরী দীক্ষিতের শো ঘিরে বিতর্ক: দেরির দায় টিমের ভুল তথ্য, জানালেন আয়োজকরা

ভালুকের হামলা ঠেকাতে আকিতায় জিএসডিএফ মোতায়েন

০৬:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

উত্তর জাপানের প্রিফেকচারে আতঙ্ক

জাপানের আকিতা প্রিফেকচারে এ বছর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া ভালুকের হামলা সামাল দিতে বুধবার দেশটির স্থল আত্মরক্ষাবাহিনীকে সহায়তায় ডাকা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, সেনারা বনাঞ্চলের ধারে টহল দেবে, গ্রামবাসীদের সতর্ক করবে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় শিকারি দলের সঙ্গে সমন্বয় করবে; তবে তারা সরাসরি প্রাণি নিধনে অংশ নেবে না। উষ্ণ শরৎকাল, বনভূমির পরিসর সঙ্কুচিত হওয়া এবং এ বছর বনে বাদামজাত খাবারের স্বল্পতার কারণে ভালুকগুলো খাবারের সন্ধানে গ্রাম ও কৃষিজমির কাছে চলে আসছে। বন্যপ্রাণি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, শীত ঘনিয়ে আসায় ভালুক এখন খাবার জোগাড়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, ফলে মানুষের জন্য ঝুঁকি বাড়বে।

সহাবস্থান নাকি নিধন

পরিবেশবিদরা বলছেন, জাপান বহু বছর ধরে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও গ্রামীণ নিরাপত্তার মধ্যে একটা ভারসাম্য ধরে রেখেছিল; কিন্তু চলতি মৌসুমের ধারাবাহিক হামলা সেই ভারসাম্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপকে জরুরি করে তুলেছে। কিছু স্থানীয় প্রতিনিধি বৃহত্তর নিধন অভিযানের পক্ষে, কারণ গ্রামে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি এবং তারা সবসময় পাহারা দিতে পারেন না। আবার অন্য পক্ষ মনে করছে, রিয়েল-টাইম সতর্কতা ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক বেড়া, গ্রামসংলগ্ন বর্জ্য পরিষ্কার ও খাবারের উৎস নিয়ন্ত্রণ করলে ভালুককে ঢোকার আগেই ঠেকানো যায়। কৃষি মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফল ও বাদাম ধরার সময় যদি বদলে গিয়ে মাঝেমাঝে খাদ্যসঙ্কট তৈরি করে, তাহলে ভালুক মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে কি না। আপাতত সরকার বলছে, জিএসডিএফ মোতায়েনের উদ্দেশ্য নাগরিকদের আশ্বস্ত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য জোগাড় করা।